‘ক্ষমতাসীনদের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে’
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভূক্তিমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়া চেয়ে ঢাকার ১৫ দেশের দূতাবাসের বিবৃতির প্রেক্ষাপটে অতীত ও বর্তমানের ক্ষমতাসীনদের জনগণের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভূক্তিমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়া চেয়ে ঢাকার ১৫ দেশের দূতাবাসের দে্ওয়া বিবৃতিকে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্য লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫১ বছরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এই ৩ দল দেশ শাসন করলেও তারা জনগণের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত ছিলেন। সুশাসনের পরিবর্তে দুর্নীতি ও দুঃশাসনে দেশের জনগণের সম্পদ লুটপাটে ব্যস্ত ছিল।
যার কারণে দেশের জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের ১৫ দেশের দূতাবাস যথাক্রমে ঢাকার অস্ট্রেলীয় হাইকমিশন, ব্রিটিশ হাইকমিশন, কানাডিয়ান হাইকমিশন, ডেনিশ দূতাবাস, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসকে বিবৃতি দিতে হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অতীতের সরকারগুলোর ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারও যখন মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে মরিয়া তখন ১৫ দূতাবাসের বিবৃতি বলে দেয় অতীতের ও বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা রাজনীতিবিদরা দেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ফাঁকা বুলি দিয়ে দুর্নীতি ও সুশাসনের পরিবর্তে দুঃশাসনে মগ্ন ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘১৫ দূতাবাসের বিবৃতির প্রেক্ষাপটে অতীত ও বর্তমানের ক্ষমতাসীনদের জনগণের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জন দাবিতে পরিণত হয়েছে।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের বন্ধু এবং অংশীদার হিসেবে এর সাফল্যকে আরও সমর্থন করতে আগ্রহী, মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার চেতনায় অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করছি। দূতাবাসসমূহের এই বক্তব্য জনগণের জন্য কল্যাণকর হলেও ক্ষমতাসীনদের জন্য চপেটাঘাত ছাড়া আর কিছুই নয়।
এমএমএ/