পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর পোশাকে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বৈঠকে আয়রন, রয়েল ব্লু, ডিপখাকি, ডিপব্লু, জলপাইসহ কয়েকটি রংয়ের পোশাকের মডেল উপস্থাপন করা হয়। সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তিন বাহিনীর জন্য আলাদা আলাদা রংয়ের পোশাক চূড়ান্ত করা হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুলিশের পোশাকের রং হচ্ছে ‘আয়রন’। র্যাবের পোশাক হচ্ছে জলপাই বা অলিভ রংয়ের এবং আনসারের পোশাকের রং হচ্ছে ‘গোল্ডেন হুইট’।
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের পরিবর্তিত পোশাক চূড়ান্ত করা হয়েছে। ধীরে ধীরে তা কার্যকর হবে।
পোশাক পরিবর্তনের কারণ হিসেবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এসব সদস্যদের মানসিকতার পরিবর্তন করতেই পোশাকের পরিবর্তন করা হচ্ছে। মনোবল বৃদ্ধি ও দুর্নীতিরোধসহ নানান বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’
নতুন পোশাকে বড় ধরনের অর্থ সংকুলান হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কিছু হবে না। নিয়মিত এসব বাহিনীর সদস্যদের নতুন পোশাক তৈরি হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে পরিবর্তিত পোশাক তৈরি হবে। এটার জন্য বাড়তি অর্থের খুব একটা দরকার হবে না।’
এ সময় অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে ৩৩ হাজার ৬৪৮ জন বিদেশি অবৈধভাবে বসবাসরত আছেন। ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে বৈধ হতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সীমান্ত ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন সীমান্ত পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক আছে। তবে ভারতের বিএসএফ সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করছে। তাই এখন থেকে বিজিবিও ব্যবহার করতে পারবে। বিজিবিকে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড কেনার অনুমতি দেয়া হয়েছে। কেনার পর তারা এগুলো ব্যবহার করতে পারবে।’