নির্বাচন নিয়ে আমরা বদনাম নিতে চাই না : ওবায়দুল কাদের
ছবি: সংগৃহীত
আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা মরে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এই ব্যবস্থা বিএনপির হাতে ধ্বংস হয়েছে। এই ব্যবস্থা আমরা বাতিল করিনি, বাতিল করেছে বিচার বিভাগ। বিচার বিভাগ রায় দিয়েছে। কাজেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা এখন মরে গেছে। এটাকে জীবিত করার কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের বিচার বিভাগ রায় দিয়েছে, এই ব্যবস্থার আর প্রয়োজন নেই। সংবিধানকে বাঁচিয়ে রাখতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন নিয়ে আমরা বদনাম নিতে চাই না।’
আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়কের জন্য আমরাও লড়াই করেছি। কিন্তু বিএনপি এই ব্যবস্থাটাকে ধ্বংস করেছে, বিকৃত করেছে, আঘাত করেছে। সে কারণে আমরা এটাকে চাই না। এবারের নির্বাচনে আমরা ভালোভাবে করতে চাই। নির্বাচন নিয়ে আমরা বদনাম নিতে চাই না। শেখ হাসিনা সত্যিকার অর্থে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। তার ইচ্ছাকে সার্থক করতে হবে।’
গণতন্ত্রের ভালো উদাহরণ পাকিস্তান নয় জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক আছে, যা তাদের ইচ্ছামতো সবই পাল্টায়। এ ছাড়া সারা পৃথিবীর আর কোথাও নেই। তাই আমরা বলছি দুনিয়ার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, আমাদের এখানেও সেভাবে হবে। আমরা রুটিন দায়িত্ব পালন করব ইলেকশন চলাকালে। এ সময় ইলেকশন কমিশনের অধীনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও থাকবে।’
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশ্ব সংকটের প্রভাবের প্রতিক্রিয়া থেকে আমরাও বিচ্ছিন্ন নই। আমরা গ্লোবাল পলিটিক্সের বিভিন্ন কারণের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য অংশ। গাজায় যে যুদ্ধ চলছে, ইসরায়েলের যে হামলা চলছে, সুদান আবারও বিভক্ত হওয়ার পথে। দুই জেনারেলের লড়াই একটা দেশকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দিয়েছে। এই অবস্থায় আমরা সংকটে আছি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাজারের জিনিসপত্রের যে ঊর্ধ্বগতি তা নিয়ে মানুষের দুঃখ-কষ্টের আবহের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আমরা দায় এড়াতে পারি না। দাম অনেক বেড়ে গেছে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, পরিবহণের অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধি, এসব সংকট আজ আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে একটা সাধারণ জাতীয় নির্বাচন করতে হচ্ছে। এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কেউ যদি বলে এই সংকটের মুহূর্তে এখন নির্বাচন না করে পরে করতে তাহলে আমরা বলব, আমাদের সংবিধান আছে। সংবিধান আমাদের নির্বাচন দিয়েই রক্ষা করতে হবে। এটা আমাদের সংবিধানের বাধ্যবাধকতা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমাদের এ নির্বাচন করতে হচ্ছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তার বাবা দেশের গণতন্ত্রকে নষ্ট করেছে। তার মা এই দেশের ডেমোক্রেটিক প্র্যাকটিস ব্যাহত করেছে। হত্যা ষড়যন্ত্রের এই রাজনীতি এই দেশে যারা চালু করেছে, তারা এই দেশের গণতন্ত্রের বিকাশের ধারা ব্যাহত করবে এটাই স্বাভাবিক। তাদের গণতন্ত্র হ্যাঁ, না ভোট। তাদের গণতন্ত্র এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার।’