আপনাদের সময় শেষ, পালানোর পথ খোঁজেন: যুবদল সভাপতি
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশ্য করে জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেছেন, আপনাদের সময় শেষ, পালানোর পথ খোঁজেন।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের এখন সময় শেষ, যাবার পালা। পালানোর পথ খোঁজেন, কোনদিকে পালাবেন বাংলাদেশ থেকে। এই সরকারের পতন অতি নিকটে।’
শনিবার (২০ মে) বিকাল রাজধানীর মতিঝিল পীরজঙ্গী মাজারের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
টুকু বলেন, ‘সরকার দলীয় ক্যাডার দিয়ে প্রশাসন সাজিয়েছে। প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ এক, চাকরির ক্ষেত্রেও এই অবৈধ সরকার দলীয়করণ করেছে। এই সরকার দলীয় টেষ্ট করছে । দল দেখে চাকরি দিচ্ছে। চাকরি দেওয়ার আগে জিজ্ঞেস করা হয় কোন দল করে আওয়ামী লীগ না বিএনপি। আমরা যারা এই দেশের নাগরিক বিএনপি করি তারা কি এই দেশে ভেসে এসেছি।’
আমাদের রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে স্বশরীরে যুদ্ধ করে এইদেশ স্বাধীন করেছিল। আমাদের অধিকার রয়েছে। আজকে মেধাবীরা চাকরি পায় না। বর্তমান সরকারের আমলে মেধার কোনো মুল্য নাই। তারা মেধাহীন প্রশাসন সাজাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে প্রশাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে, ইতিমধ্যে বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, যোগ করেন তিনি।
তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছিল একজন বিচারপতি তিনি দেশে থাকতে পারে নাই, তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে। এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ থাকবে না, স্বাধীনতা থাকবে না, দেশের মানুষ বাচঁবে না।
যুবদল সভাপতি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সকলের মধ্যে নাভিশ্বাস উঠেছে। টিসিবির পণ্য কিনতে সমাজের সব শ্রেণির মানুষই এখন লাইনে দাঁড়াচ্ছে। এজন্য সরকারের সিন্ডিকেট দায়ী। মধ্যবিত্ত মানুষ দরিদ্র হয়েছে। আর সরকার দুর্নীতি করছে। দ্রব্য মূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি।
তিনি বলেন, ‘যখনই আমরা আন্দোলন করতে যাই, আমাদেরকে নির্যাতন করা হয়, গুম করা হয়, খুন করা হয়। বিনা বিচারে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারেরও নির্মম পরিণতি হয়।’
বিএনপি এই অবৈধ ক্ষমতা দখলদার, ফ্যাসিস্ট, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত অবৈধ সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ চায়। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার চায়, সব খুন-গুমসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের পথকে সুনিশ্চিত করতে চায়।
জনগণ এখন চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে উল্লেখ করে সুলতান সালাউদ্দীন বলেন, আপনাদেরকে অবশ্যই দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ সকল নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।
যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় সেই সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে আগ্রহী হবে-এটা ভাবা যায় না। আওয়ামী লীগ সরকার যতবার ক্ষমতায় এসেছে তারা মানুষের সবস্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।
এসব বাঁচাতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে মাঠে নামতে হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। এবং এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েই আমরা রাজপথ ছাড়ব।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনা ও আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপি নেতা নবীউল্লাহ নবী, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, সহ-সভাপতি হারুনুর রশিদ শিশির, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক অ্যাড. আজিজুর রহমান, সহ-সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাসেল, প্রচার সম্পাদক করিম সরকার, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক প্রমুখ।
এমএইচ/এমএমএ/