‘সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ইভিএম আতঙ্ক শুরু হয়েছে’
আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ইভিএম নিয়ে আতঙ্ক শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমরা দেখতে চাই এবং মানুষকে দেখাতে চাই, সরকার কী করছে, কী করতে চায়? প্রার্থীরা বলছেন সিটি নির্বাচনে ইভিএম চাপিয়ে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ইভিএম আতঙ্ক শুরু হয়েছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশন বলেই যাচ্ছে ইভিএমকে ভয় পাবেন না। দেশের মানুষ কিন্তু বোকা নয়। ইভিএম নিয়ে বর্তমান সরকার কেরিকেচার করেছে।’
সোমবার (৮ মে) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীস্থ কার্যালয়ে বিকল্প স্বেচ্ছাসেবক ধারা সভাপতি আবুল বাসার ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বাবু’র নেতৃত্বে বিকল্পধারার শতাধিক নেতা-কর্মী জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এ সময় নবাগতদের স্বাগত জানিয়ে এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘ইভিএমে কে কোথায় ভোট দিল তার প্রমাণ থাকে না। কে কীভাবে ফলাফল ডিক্লেয়ার করে তার প্রমাণ থাকে না। সাধারণ মানুষ মনে করে, ইভিএম দিয়ে সরকার যাকে খুশি বিজয়ী ঘোষণা করতে পারে। সাধারণ মানুষ বলেন ভোট দিতে গেলে সরকারদলীয় লোকজন ভোট দিয়ে দেয়।’
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে চাইলে ইভিএম বাদ দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে। কোনো সিটি নির্বাচনেই ইভিএম দেওয়া ঠিক হবে না।
ক্ষমতায় থেকে, প্রশাসন ব্যবহার করে এবং দলীয়করণের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করে নির্বাচনে পাস করলে জনগণের সমর্থন প্রয়োজন হয় না। এমন নির্বাচনে যারা বিজয়ী হন জনগণ তাদেরও সম্মান করে না, যোগ করেন তিনি।
জাতীয় পার্টি চেয়রাম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। একটি দল খারাপ কিছু শুরু করলে পরবর্তী সময়ে অন্য দল ক্ষমতায় এসে তা আরও বাড়িয়ে দেয়। দোষ-ত্রুটির দিক থেকে কেউ কারও চেয়ে কম না।
এভাবে দুটি দল দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এমন বাস্তবতায়, আওয়ামী লীগ-বিএনপির বিপক্ষে একটি বিকল্প শক্তি হতেই বিকল্পধারা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু তারা বিকল্প শক্তি হতে পারেনি। তাই যারা বিকল্প শক্তি হতে চেয়েছিল তারা এখন জাতীয় পার্টিতে দলে দলে যোগ দিচ্ছেন।
জিএম কাদের বলেন, ৯১ সালের পর থেকে সংবিধানের ৪টি মূল নীতির একটিও বজায় রাখছে না কেউ। দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রের কথা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছায় সরকার গঠন করা হবে। দেশে এটি সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার সংবিধান সংশোধন করেছে কিন্তু তারা তো রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিতে পারেনি। কারণ, রাষ্ট্রধর্ম দেশের ৯০ ভাগ মানুষের অন্তরের চাওয়া ছিল। ক্ষমতাসীনরা সংবিধানের সকল অঙ্গ তছনছ করে ক্ষমতায় থাকার জন্য সংবিধান-সংবিধান করছে। এর আগে বিএনপিও একই কাজ করেছিল, তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আগামী দিনে আরও রিজার্ভ কমতে পারে। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোও টাকা পয়সা অপচয় করেনি তাই তারা দেশের মানুষকে সাহায্য করতে পারছে। আমরা মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত এবং নিম্নধ্যবিত্তদের জন্য রেশন কার্ড দিতে দাবি জানিয়েছি।
এমএইচ/এমএমএ/