মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নির্বাচন প্রশ্নে একই সুর সরকার ও বিরোধী দলীয় এমপিদের

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে সংসদে একই সুরে কথা বলেছেন সরকার ও বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা। তারা অভিযোগ করেছেন, জাতীয় নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি ও তাদের দোসররা দেশে-বিদেশে এই ষড়যন্ত্র করছে। তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ। এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। সকল দলকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণেরও আহ্বান জানান তারা।

শনিবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৪৭ বিধিতে উপস্থাপিত প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন সংসদ সদস্যরা। প্রথমে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক বলেন, বঙ্গবন্ধু এক মাত্র প্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগে অনেক নেতা ছিলেন তারা কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। বাংলাদেশের মানুষের পুরোপুরি মুক্তি চাননি। তারা ক্ষমতায় যেতে চেয়েছেন, আর বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা যিনি স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, এতো কিছু কাজ করার পরও যদি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষে ক্যানভাস করতে হয় তাহলে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বলেন, শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন আছে। তার অধীনে নির্বাচন হবে। রাষ্ট্র চলবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না, নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসতে হবে। তিনি বলেন, এখন বিএনপি বাক স্বাধীনতার কথা বলছে, গণতন্ত্রের কথা বলছে। কিন্তু ২০১৪-১৫ সালে তারা গণতন্ত্রের জিগির তুলে নির্বাচন বানচাল করার জন্য অগ্নি সন্ত্রাস করে। শত শত মানুষকে হত্যা করে, পুড়িয়ে কুপিয়ে মেরেছিলো। তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট যারা বঙ্গবন্ধুকে প্রত্যক্ষভাবে হত্যা করেছিল তাদেরকে এই সংসদে এনে বসিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি তাদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছেলেন, যাদের হাত বঙ্গবন্ধুর রক্তে রঞ্জিত। বিএনপি একইভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের এই সংসদে এনে পবিত্র সংসদকে অপবিত্র-কলুষিত করেছিলো।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে হবে। সব দলকে নির্বাচনে আনা সরকারের দায়িত্ব নয়, দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, আস্থা তৈরি করতে হবে। সে সহায়তা সরকারকে দিতে হবে। সেটাই সরকারের দায়িত্ব। সেটি করার পর কেউ নির্বাচনে না এলে কারো কিছু বলার নেই। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদকে সত্যিকার অর্থে সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র বিন্দু করতে চাইলে সংসদে মানুষের দুঃখ-কষ্ট নিয়ে আলোচনা করতে হবে। এই আলোচনা না হলে মুখে বললেও সংসদ সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র বিন্দু হবে না। না হলে সংসদের বাইরের যে আলোচনা সেটাই হবে কেন্দ্র বিন্দু, পত্রিকার কথা-বার্তাই প্রাধান্য পাবে। তিনি আরো বলেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ কোনো বাধা নয়। সংসদকে কেন্দ্র বিন্দু করতে হলে সব সংসদ সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দলের প্রতি আনুগত্য থাকবে কিন্তু জনগণ ও রাষ্ট্র দলের চেয়ে বড়। তিনি সংসদীয় কমিটিগুলোকে আরো কার্যকর করার পরামর্শ দেন।

বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙা বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আজ গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত। সংসদ প্রাণবন্ত। জাতীয় পার্টি বিরোধীদল হিসেবে তাদের ভুমিকা রেখে চলেছে। কিন্তু কোন কোন রাজনৈতিক দল বা গোষ্টি নির্বাচন নিয়ে জলঘোলা করছে। তারা অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথার দাবি জানাচ্ছে, সেটি আর হতে পারে না, উচ্চ আদালত কতৃক বাতিল হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দেবেন, তার মাধ্যমে ক্ষমতার হাত বদল হবে।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কথা উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, সারা বাংলাদেশের বাক স্বাধীনতা আছে, কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, সংসদের এমপিদের বাক স্বাধীনতা নেই। সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ অ্যামেন্ডমেন্ট, বাজেটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধারা বাদ দিলে, বাকি সব বিষয়ে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সম্পূর্ণ ওপেন করে দেওয়া উচিত। তিনি আরো বলেন, গত ৫০ বছরে শত শত, হাজার হাজার আইন পাস হয়েছে। অনেক মহান আইন পাস হয়েছে, আবার দায়মুক্তি অধ্যাদেশের মতো কালো আইনও পাস হয়েছে। আমরা সরকারকে কতটুকু দায়বদ্ধ করতে পেরেছি? সেই মূল্যায়ন প্রয়োজন। এই সংসদ কাঠামোগতভাবে সরকারকে পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করতে পারে না। এর কারণ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন। এছাড়া প্রশ্নোত্তর পর্ব আনুষ্ঠানিকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, সংসদীয় কমিটিগুলো নিয়মিত বসছে না। কমিটির বেশির ভাগ সভাপতি সরকারি দলের হওয়ায় এখানে সিজার টু সিজার আপিল হয়ে যায়। মন্ত্রী, সভাপতি একই দলের। এটা পরিবর্তন হওয়া দরকার।

সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগামী নির্বাচনটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, নানান ধরনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত হচ্ছে, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক থাকতে হবে। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য আমাদের নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভূলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নৌকা মার্কার পক্ষে কাজ করতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র ধ্বংস করে ক্ষমতা দখলের রাজনীতি, খালকাটা ও ঋণ খেলাপীর রাজনীতি এবং কারফিউ দিয়ে প্রতি দিন মুক্তিযোদ্ধা হত্যা, নিধন করে পাকিস্তানীকরণের তথাকথিত গণতন্ত্র ও ক্যু পাল্টা ক্যু দিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের হত্যাযোগ্যের রাজনীতি চালু করে। তারা এই সংসদেকেও বার বার কুলসিত করেছে। তাদের আমলে অন্তত ২১ বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। হাওয়া ভবন দিয়ে রাজনীতির দুবৃত্তায়ন ও অর্থ লুটপাট করেছে। তারা আবারো এ দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, সকলে মিলে তা প্রতিহত করতে হবে।

বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন কৃষি কাজের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে শিল্পায়ন ঘটাতে হবে, সেজন্য সংবিধানের ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদে তিনি গ্রাম ও শহরের দুরত্ব ঘোচাতে গ্রামাঞ্চলের আমুল পরিবর্তনের কথা বলেন। তিনি সেই সময় ৫টি গ্যাসফিল্ড কিনে নেন, তার দুরদর্শিতার কারণে আজকের বাংলাদেশ জ্বালানী সঙ্কট এত সহজে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্জনের জন্য ২৩ বছর বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।

সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ধারায় দেশ পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু কেউ কেউ গণতন্ত্র পছন্দ করেন না, তারা দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করে পিছনের পথ দিয়ে ক্ষমতায় আসার খোয়াব দেখছেন। এটা আর হতে পারে না। জনগণ একে প্রতিহত করবে।

সাধারণ আলোচনায় আরো অংশ নেন সরকার দলীয় সদস্য রাজী উদ্দিন আহমেদ রাজু, মো. আবদুস শহীদ, সিমিন হোসেন রিমি, তানভীর শাকিল জয়, নাহিম রাজ্জাক, হাবিবা রহমান খান, মো. সাইফুজ্জামান, জাকিয়া পারভিন খানম, সৈয়দা জাকিয়া নূর ও মোসলেম উদ্দিন এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নান।

 

এনএইচবি/

Header Ad

খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ওমরাহ পালনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে (ফিরোজা) তার সঙ্গে সাক্ষাতে সৌদি রাষ্ট্রদূত এ আমন্ত্রণ জানান বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী চলে সাক্ষাৎকার।

সাক্ষাতের সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাতের পর এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, রাষ্ট্রদূত বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন, উনার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছেন। কবে চিকিত্সার জন্য দেশের বাইরে যাবেন, সে বিষয়ে কথা বলেছেন। রাষ্ট্রদূত ম্যাডামকে সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।

আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন নির্বাহী আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে ফিরোজায় গিয়েছিলেন।

Header Ad

লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের উপকূল থেকে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। সেখানে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

ঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আবহাওয়ার ২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিমি-এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

Header Ad

ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি দাবি করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপি। তাকে মুক্তি না দিলে বাংলাদেশ সীমান্ত সনাতনীরা অবরোধ করবে বলেও হুমকি দিয়েছেন রাজ্যটির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পরে ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সোমবার রাতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করছে। এমনকী বাংলাদেশে হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে ইউনূস সরকার গ্রেপ্তার করেছে।

শুভেন্দু আরও বলেন, “সোমবার রাতের মধ্যে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে মুক্তি না দিলে আগামীকাল থেকে সীমান্তে সনাতনীরা অবরোধ করবে। ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে কোনও পরিষেবা বাংলাদেশে ঢুকতে দেব না।”

একই সঙ্গে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারের অফিসও টানা ঘেরাও অবস্থানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এই বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর কথায়, “বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যেভাবে ‘দমন-পীড়ন’ শুরু হয়েছে, তাতে আমরা চিন্তিত, ব্যথিত। এই জিনিস আর বরদাস্ত করা হবে না।”

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ওঠে এবং এই অভিযোগে চট্টগ্রামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে।

অন্যদিকে সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহিষ্কার করেছে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি
আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন