‘লুটেরাদের থেকে দেশকে বাঁচাতে ইসলামই একমাত্র বিকল্প’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর চরমোনাই) বলেছেন, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের হাত থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে ইসলামই একমাত্র বিকল্প শক্তি। ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা ছাড়া দুর্নীতিমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ভাটারাস্থ একটি মিলনায়তনে দায়িত্বশীল প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিগত ৫১ বছরে যারা দেশকে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছে আগামীতে তাদের বর্জন করে আল্লাহভীরু নেতৃত্ব কায়েম করতে হবে। দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে রাজনীতিতে একটি আদর্শিক পরিবর্তন প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, মানুষ অধিকার বঞ্চিত, ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত এমনকি ভোটাধিকার থেকেও বঞ্চিত। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে সরকার দেশে একদলীয় অঘোষিত বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য অর্জনে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণমুখী আন্দোলন গড়ে তুলতে দায়িত্বশীলদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
প্রতিনিধি সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন— দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা নেছার উদ্দিন প্রমুখ।
রেজাউল করীম বলেন, ইসলামের সুমহান আদর্শের আলোকে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবার সঙ্গে সাম্য ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার মানুষের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বিরোধী দলের কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগে নিপতিত করছে। নাগরিক অধিকার খর্ব করার এখতিয়ার কারো নেই। সরকারের হাতে অর্থনীতি, ধর্মীয় শিক্ষা, তাহজীব-তামাদ্দুন, ভোটাধিকার ও দেশের স্বাধীনতা কোনো কিছুই নিরাপদ নয়।
আরএ/