জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ পদ নিয়ে টানাটানি শুরু করেছে জাতীয় পার্টি।
প্রথমে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে সরিয়ে ফখরুল ইমামকে চিফ হুইপ করার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত কাজী ফিরোজ রশীদকে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ করার অনুরোধ জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দেয় বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের।
অন্যদিকে বর্তমান বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গাও পাল্টা চিঠি দিয়েছেন। এনিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক। জাতীয় সংসদে কথা হয় মশিউর রহমান রাঙ্গার সঙ্গে।
তিনি বলেন, ওরা কাজী ফিরোজ রশীদকে চিফ হুইপ করতে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছে। আমিও স্পিকারকে চিঠি দিয়েছি যে তাদের প্রস্তাব বিধি সম্মত না। বিরোধী দলীয় নেতা না থাকলে কীভাবে সিদ্ধান্ত হয়? যদি তাদের প্রস্তাব মানা হয় আমি প্রতিবাদ করব।
শনিবার (১ মার্চ) পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি লেখেন, "আমেরিকার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, কংগ্রেস এবং সকল আমেরিকান জনগণকে ধন্যবাদ। বিশেষভাবে যুদ্ধের তিন বছর ধরে যে সমর্থন আমেরিকা আমাদের দিয়েছে, তার জন্য আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব।" তিনি আরও যোগ করেন, "ইউক্রেনের জনগণ এই সমর্থনের জন্য সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবে।"
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে আমেরিকার সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এটি জেলেনস্কির সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে পরিষ্কার হয়ে ওঠে। যদিও বৈঠকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল, তবুও তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চান। তিনি বলেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যুদ্ধ শেষ করতে চান, কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমরা ইউক্রেনবাসীরা প্রথমে শান্তি চাই। এটি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ। আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ।"
We are very grateful to the United States for all the support. I’m thankful to President Trump, Congress for their bipartisan support, and American people. Ukrainians have always appreciated this support, especially during these three years of full-scale invasion. pic.twitter.com/Z9FlWjF101
— Volodymyr Zelenskyy / Володимир Зеленський (ZelenskyyUa) March 1, 2025
শুক্রবারের বৈঠকে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডার পর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার এক পোস্টে দাবি করেন, "আমেরিকা শান্তি চাইলেও, জেলেনস্কি শান্তি চান না।"
বৈঠকে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য দায়ী করেন এবং বলেন, "তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি বাড়িয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছেন।"
তবে, জেলেনস্কি পোস্টে ট্রাম্পের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আমেরিকার বিরুদ্ধে সরাসরি কিছু না বলার চেষ্টা করেছেন, এবং আলোচনার রাস্তা খুলে রাখতে চেয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের এমন আচরণ তার কূটনৈতিক শিষ্টাচারেরই অংশ, যাতে ভবিষ্যতে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত রাখা সম্ভব হয়।
এ প্রজন্মের মডেল-অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান শুধু মডেলিংয়ের দুনিয়ায় নয়, নাটক ও চলচ্চিত্রেও সমান তালে কাজ করছেন। শোবিজে তার ক্যারিয়ারের শুরু উপস্থাপনা দিয়ে, এরপর নাটক, মিউজিক ভিডিও এবং বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনটি নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও, রমজান মাসে তার জীবন একেবারে আলাদা।
রমজান মাস আসন্ন, আর প্রিয়াঙ্কা জামান জানালেন, এই পবিত্র মাসে তার শুটিংয়ের সমস্ত কার্যক্রম সীমিত থাকে। ইবাদত এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোই এখন তার প্রথম অগ্রাধিকার। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে প্রিয়াঙ্কা বলেন, “রমজান মাসে আমি শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদত করব, নামাজ পড়ব, এবং পরিবারের সাথে সময় কাটাব। শুটিংয়ের কাজ আমি একেবারে বন্ধ করে দেই। যদি কোনো ধারাবাহিক নাটক শুটিংয়ে থাকে, তবে সেটির কাজ আমি করব, কিন্তু অন্য কোনো শুটিং আমি করব না।”
তিনি আরও বলেন, “এই এক মাসে আমি নিজের প্রতি যত্ন নিই, শরীর ও মনকে বিশ্রাম দিই, এবং পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে ইবাদতে মশগুল থাকি।”
মডেল-অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা জামান। ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে প্রিয়াঙ্কা জামান তিনটি নাটকে অভিনয় করছেন। দুটি একক নাটক হচ্ছে ‘বিয়ে বাড়ির গল্প’ এবং ‘এতিম বউ’, যেখানে তার বিপরীতে রয়েছেন চিত্রনায়ক অনিক রহমান অভি। এই নাটক দুটি পরিচালনা করেছেন বকুল আহমেদ। আরেকটি নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘ভাইরাল গ্রাম’এও কাজ করছেন, যা পরিচালনা করেছেন মারুফ আহমেদ রিজভী খান। এতে তার সহশিল্পী হিসেবে আছেন প্রাণ রায় ও সাব্বির আহমেদ।
প্রিয়াঙ্কা জামান অভিনয়ের পাশাপাশি এক নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি সম্প্রতি ‘কিউট অ্যান্ড ক্ল্যাসি’ নামে একটি ফ্যাশন হাউজের শোরুম উদ্বোধন করেছেন, যেখানে বিশ্বমানের ব্র্যান্ডের পোশাক, কসমেটিকস এবং এক্সক্লুসিভ আইটেম পাওয়া যাবে।
নাটক, মিউজিক ভিডিও এবং চলচ্চিত্রে ৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করা প্রিয়াঙ্কা জামান শোবিজের এক আলোচিত নাম। এখন তিনি তার শোরুমের মাধ্যমে নতুন দিগন্তের দিকে পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
কুমিল্লার চর্থা বড় পুকুরপাড়ের বাসিন্দা মোতাসিন বিল্লাহ চৌধুরী (৬৩) এবং চেক প্রজাতন্ত্রে বসবাস করা ইউক্রেনের নাগরিক সালো নাদিয়ার (৫০) প্রেমের গল্পটা আজ সত্যি হয়ে উঠেছে। পাঁচ বছরের পরিচয়, তিন বছরের প্রেম, এবং অবশেষে বিয়ে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হওয়া এই জুটি একে অপরের প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, নাদিয়া বাংলাদেশে এসে পৌঁছান এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে নিজেদের সম্পর্ককে দাম্পত্য জীবনে রূপ দেন। মোতাসিন বিল্লাহ পেশায় ব্যবসায়ী হলেও, তার ভালোবাসার মানুষ সালো নাদিয়া একজন মনোবিদ। বিয়ের পর তারা কুমিল্লায় একত্রে বসবাস শুরু করেন।
মোতাসিন বিল্লাহ জানান, ২০১৯ সালে ফেসবুকে নাদিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসা তৈরি হয়। একসময় মোতাসিন নাদিয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে নাদিয়া সানন্দে তা গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে সুন্দর বোঝাপড়া এবং সম্পর্কের গভীরতা তৈরি হয়, যা একে অপরের প্রতি বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপন করে।
নাদিয়া ১৫ বছর ধরে চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে বাস করছেন এবং সেখানে মনোবিদ হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ইউক্রেনীয় ও স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলতে পারেন, তবে মোতাসিনের সঙ্গে ইংরেজিতে যোগাযোগ করেন। যদিও বাংলায় দক্ষতা নেই, মোতাসিন তার স্ত্রীকে ধীরে ধীরে বাংলার শিক্ষার প্রতি আগ্রহী।
নাদিয়া বাংলাদেশ সম্পর্কে খুবই ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। তিনি বিশেষভাবে বাংলাদেশের পোশাক এবং কুমিল্লার রসমালাইকে পছন্দ করেন, তবে অতিরিক্ত ঝাল খাবার তাকে একটু অস্বস্তি দেয়। বাংলাদেশে তার কিছুটা অনুকূল নয় এমন দিক হলো এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং জলবায়ু, তবে তিনি এখানকার মানুষের আন্তরিকতা এবং সংস্কৃতি খুবই প্রশংসা করেছেন।
মোতাসিন বিল্লাহ ও সালো নাদিয়া বলেন, তারা একে অপরের সাথে সুখী জীবন কাটাতে চান এবং সবার কাছে তাদের জন্য দোয়া চেয়েছেন। নাদিয়া কিছুদিন বাংলাদেশে থাকবেন, তারপর চেক প্রজাতন্ত্রে ফিরে যাবেন। সেখানে গিয়ে মোতাসিন বিল্লাহ ভিসার জন্য চেষ্টা করবেন, যাতে তিনি তার স্ত্রীর কাছে আসা-যাওয়া করতে পারেন।