মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিএনপি সন্ত্রাসীদের ঢাকায় এনে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়: নাছিম

বিএনপি সমাবেশের নামে সারাদেশ থেকে সন্ত্রাসী বাহিনী ঢাকায় এনে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি হাজারীবাগে সমাবেশের নামে জাতীয় পতাকায় লাঠি বেঁধে এনে নিরপরাধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের উপর হামলা চালিয়েছে। এরা চায় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে। আমরা এদের আর দেশে কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে দেব না। এরা দেশকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য তৈরি করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পাশে ১০ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, টুঙ্গিপাড়া এক অজপাড়াগাঁয়ে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার কোল আলো করে জন্মগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানেই তিনি মাটি ও মানুষের সঙ্গে নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে বেড়ে উঠেছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে বঙ্গমাতার
সঙ্গে পারিবারিক-ভাবে ঢাকায় আসেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা অত্যন্ত সাদামাটা পরিবেশেই সুখ আনন্দ বেদনার মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেন। ত্যাগের মহিমা ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে তিনি বড় হয়েছেন। আমরা ভাগ্যবান এমন একজন মানুষের জন্ম হয়েছে এ দেশে। তিনি তার জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সময়টাই দেশের মানুষের জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি তার সারাজীবন দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে কাটিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খুনি জিয়া মোস্তাক গংরা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করতে। পরর্বতীকালে জিয়া ইনডেমনিটি আইন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষা করে। তাদের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকরি দেয়। জিয়া সেনা ছাউনিতে বসে গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় বিএনপি নামক দল গঠন করে।

পরবর্তী সময়ে খালেদা জিয়া তার স্বামীর মত জাতির পিতার হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছিলেন। তাদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছিল। রাজনীতিতে এনে সংসদে বসার সুযোগ দিয়েছিল। তার লক্ষ্য ছিল জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশকে বিতর্কিত করা। আমাদের বাঙালির জাতীয়তাবাদকে ধ্বংস করা। তারা চেয়েছিল জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের মূলনীতিকে উপড়ে ফেলতে।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বিএনপি-জামাত সবসময় দেশে ও দেশের বাইরে বসে জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। তারা সবসময় চায় বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে। বাঙালি জাতির জাতিসত্তাকে বিনষ্ট করে পাকিস্তানিদের সব সময় খুশি করতে চায় এরা।

এদের এ সকল ষড়যন্ত্র সফল হলে বাংলাদেশে হবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো রাষ্ট্র। এরা নারীদের ক্ষমতায়ন চায়না। নারীদের জাগরণ দেখলে মেনে নিতে পারে না।মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ আত্মনির্ভরশীল হোক বিএনপি জামাত তা কখনো চায় না। এরা চায় বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাক, বাংলাদেশের কোনো অস্তিত্ব না থাকুক, দেশে সব সময় জঙ্গিবাদ সৃষ্টি হোক। দেশে সাম্প্রতিক ষড়যন্ত্র করে এরা দাঙ্গা লাগিয়ে শান্তি বিনষ্ট করতে চায়।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরা এখন শুধু বঙ্গবন্ধুকন্যার বিরোধিতা করে না তারা তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। তারা যেকোনো উপায়ে যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় আসতে চায়। এর জন্য তারা দেশে ও আন্তর্জাতিক ভাবে নানা ষড়যন্ত্র করছে। এরা বিদেশিদের কাছে গিয়ে নালিশ করে। তারা মিথ্যাচার ও গুজব রটিয়ে দেশ অস্থিতিশীল করতে চায়। এরাই দেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, শুধু গণতন্ত্রের লেবাস ধরে থাকে। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। আজ বিশ্বে বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে রয়েছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ সম্মানিত রাষ্ট্র। বড় বড় রাষ্ট্র প্রধানের কাছে শেষ হাসিনা এক অনন্য উদাহরণ।

নাছিম বলেন, বিএনপি নেতারা কিছুদিন যাবত তাদের সমাবেশে আমাদের হুমকি দিচ্ছি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো চায়না বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসুক কারণ তারা জানে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাকি মারা যাবে।

মির্জা ফখরুল সাহেব আপনি কি বলতে চাচ্ছেন আপনারা ক্ষমতায় গেলে আমাদের হত্যা করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে হত্যা করে রক্তের গঙ্গা বইয়ে দিবেন। আমি বলতে চাই,আমাদের হত্যা করা যায় কিন্তু আমাদের আদর্শ থেকে সরানো যায় না। আপনারা আমাদের পথে বাধা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া রুখতে পারবেন না। বীরের রক্ত আমাদের শরীরে। আমাদের হত্যার ভয় দেখিয়ে থামানো যাবেনা।

তিনি বলেন, বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমরা আর দেশে এদের খুন, ষড়যন্ত্র, অগ্নি সন্ত্রাস ও হত্যার রাজনীতি করতে দেব না। এরা যদি আমাদের দেশের জনগণ ও দেশের কোনো সম্পদে আঘাত করে তাহলে আমরা তাদের প্রতিঘাত করবো। এরা এখন স্লোগান দেয় ৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। তাই এদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিটা নেতা কর্মীকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে কেউ বাধা দিলে আমরা তাদের ছেড়ে দিবো না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের সঙ্গে আছেন। দেশের উপর আর কোন আঘাত আসে তাহলে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এদের প্রতিহত করব।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।

এসএম/এমএমএ/

Header Ad

কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ইসকন নেতা এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার হন। চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট মোড়ের স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এই ঘটনার পরপরই প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায় ভারত এবং দেশটির শাসক দল বিজেপি। এখন প্রশ্ন হলো, কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী? আর কেনইবা তাকে গ্রেপ্তার হতে হলো কিংবা গ্রেপ্তারের পরই বা কেন চারদিকে এতো আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হলো?

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস আসল নাম ছিল চন্দন কুমার ধর। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর একাধিক সমাবেশের নেতৃত্ব দেন তিনি। তার দাবি, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর হওয়া 'নিপীড়নের' বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এ সমাবেশ। তবে তার কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে।

বিশেষত গত অক্টোবরে চট্টগ্রামে একটি মিছিলের সময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়, যে মামলায় বর্তমানে তিনি কারাবন্দী। তবে তার সমর্থকদের দাবি, তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশের প্রতিবাদে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছেন সনাতন সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষ।

ধর্মীয় এই নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কী অভিযোগ আনা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া জানিয়েছেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইসকনের নেতা হিসেবে নয়, বরং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র বা অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।

Header Ad

ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম

ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ। ছবি: সংগৃহীত

স্লট বুকিং জটিলতায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। তবে সোমবার (২৫ নভেম্বর) আগের স্লটে বুকিং করা দুই ট্রাক আলু আমদানি হয়েছে।

এতে করে হিলি স্থলবন্দর এলাকায় বেড়েছে সব ধরনের আলু ও পেঁয়াজের দাম। ভারতীয় আলু ৭০ টাকায়, দেশি আলু ৭৫ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। তবে সোমবার আগের বুকিং করা ২ ট্রাক আলু আমদানি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বন্দরে; যা একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে আলুর দাম তবে স্বাভাবিক রয়েছে পেঁয়াজের দাম।

সবশেষ রোববার ১৪ ট্রাকে ৩৯৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৭২ ট্রাকে দুই হাজার মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে। এরপর রপ্তানিতে স্লট বুকিং বন্ধ করে দেয় দেশটির রাজ্য সরকার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের একজন রপ্তানিকারক বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করে পেঁয়াজ ও আলুর দাম বেড়ে যাবার কারণে রাজ্য সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমরা বৈঠক করব সরকারের প্রতিনিধির সাথে যাতে অন্য রাজ্য থেকে হলেও বাংলাদেশে আলু ও পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারি। এ ছাড়াও আমাদের যেসব গাড়ি লোডিং অবস্থায় রয়েছে সেগুলোর স্লট বুকিং না দিলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের স্লট বুকিং নিতে হয় যা অনলাইন সিস্টেমে। হঠাৎ করে রোববার অনলাইন সিস্টেম বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান ভারতের রপ্তানিকারকরা। ফলে স্লট বুকিং দিতে পারছি না আমরা। যার কারণে পেঁয়াজ ও আলু আমদানিতে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি তবে আগের বুকিং করা আলু সোমবার এসেছে দুই ট্রাক। স্লট বুকিং খুলে না দেওয়ায় মঙ্গলবার থেকে আলু ও পেঁয়াজ বন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে না।

Header Ad

৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান

অভিনেত্রী রুনা খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশের শোবিজ অঙ্গনের মধ্যে বদলে যাওয়া এক অভিনেত্রী রুনা খান। যিনি সব সময় নিজের মতো করে বাঁচতেই পছন্দ করেন। তার ক্যারিয়ারের বয়স প্রায় দুই দশকের। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সমানতালে ধরে রেখেছেন নিজের রূপ, লাবন্যও।

বর্তমানে রুনার বয়স চল্লিশের কোটায়। এই বয়সে এসে এখনও আবেদনময়ী রুনা খান। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে তার এই বয়সের রূপ-লাবণ্য নিয়ে অকপটে কথা বলতে দেখা গেল রুনা খানকে।

অভিনেত্রী রুনা খান। ছবি: সংগৃহীত

এ সময় মজার ছলে প্রসঙ্গ ওঠে, রুনাকে এই বয়সে এখনও কেউ দুষ্টু বার্তা, কিংবা কোনো প্রস্তাব পাঠায় কিনা! খানিকটা হেঁসে রুনা বললেন, ‘আমারই সমবয়সি অপূর্ব, নিশো। ওরাও তো দেখতে আকর্ষণীয়। ওদেরকে তো এই প্রশ্ন করা হয় না; তাদের পরিবার আছে, সন্তান আছে, তারপরও কেন আকর্ষণীয় লাগছে! তো ৪০-৪২ বছর বয়সী অপূর্বকে, শুভকে সুন্দর-আকর্ষণীয় দেখালে ৪০-৪২ বছর বয়সী রুনা খান, বাঁধনদেরকেও সুন্দর, আকর্ষণীয় দেখাতে পারে, একই জিনিস।’

রুনা বলেন, ‘আমরা আসলে নারীদের ব্যাপারে নানারকম প্রশ্ন করতে, ভাবতে ভালোবাসি আমরা, এটা আমাদের অভ্যস্ততার ব্যাপার।’

তবে সুযোগ পেলে বয়স আশিতে গিয়েও মডেলিং ও অভিনয়ে যুক্ত থাকবেন বলে আশাবাদী রুনা খান। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার কাছে আসলে সৌন্দর্যের প্রতীক আমার মা। এছাড়াও শর্মীলা (শর্মীলা আহমেদ) আন্টি, দিলারা জামান, তারা। আমি যদি বেঁচে থাকি, সুস্থ থাকি তাদের বয়স পর্যন্ত, তাহলে ওনাদের মতো হতে চাই। তারা আশি বছর বয়সে গিয়েও অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেন, কিংবা আইস টুডের কাভার মডেল হতে পারেন।’

বছর কয়েক ধরে নিজের ওজন কমিয়ে রাতারাতি আলোচনায় চলে আসেন রুনা খান। ৪১ শে এসেও সমানতালে ছড়িয়ে দিচ্ছেন রূপের দ্যুতি। আবার কখনও সাহসী অবতারে নিজেকে মেলে ধরে তাক লাগিয়েও দেন অনুরাগীদের। এ নিয়ে কখনও বিতর্কিতও হয়েছেন অভিনেত্রী। তবে এসব কোনোকিছুকেই তোয়াক্কা না করে নিজের মতো করে এগিয়ে গেছেন রুনা খান, সাফল্যের মুখ দেখছেন অনায়াসেই।

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই, কাজল আরেফিন অমির ওয়েব কনটেন্ট 'অসময়'-এ কাজ করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন অভিনেত্রী। এ নিয়ে রুনা মনে করেন, 'অসময়' তাকে সুসময় এনে দিয়েছে। এখন ওয়েব কনটেন্টে কাজ করার পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে যুক্ত হচ্ছেন সিনেমাতেও।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি