ছাত্রদলের প্রতিবাদী ছাত্র সমাবেশ বৃহস্পতিবার
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে গেলে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের উপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সারা বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল। বৃহস্পতিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ‘প্রতিবাদী ছাত্র সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া হামলায় জড়িতদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত না করা হলে অবিলম্বে ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেছেন, প্রক্টর স্যার আমাদের জানিয়েছেন ‘যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবগঠিত কমিটি দেখা করতে আসে, আমি আশ্বাস দিচ্ছি ছাত্রলীগ ছাত্রদলকে কিছুই করবে না। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি আসবে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে’।
তবে আমরা দুপুর থেকে খবর পাচ্ছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ইন্ধনে হামলা হতে পারে। আর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কেও জানিয়েছি দুপুর থেকে ছাত্রলীগ প্রকাশ্যে ক্যম্পাসে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। এর মধ্যে ভিসি স্যার আমাদের অনুমতি দিলে আমরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করি ফুল ও মিষ্টি নিয়ে। আমরা পূর্ব নির্ধারিত সময় নিয়েই সাক্ষাৎ করতে যাই। কিন্তু মিডিয়ার সামনেই ছাত্রলীগ আমাদের নেতাকর্মীদের রড, দা, চাপাতি দিয়ে প্রকাশ্যে নির্যাতন চালায়, আমরা ১৫ জনের তালিকা পেয়েছি তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অস্ত্র প্রশিক্ষণের জোন হয়ে গেছে বলেও দাবি করেন এই নেতা।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দলবাজ প্রশাসন তাদের সক্রিয় সহযোগিতা করছে। আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীদের ওপর যে হামলা, সেই হামলার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব। কিন্তু সন্ত্রাসীদের হুমকি থাকা সত্ত্বেও তারা আজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা এই ব্যর্থতার দায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টরসহ প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করছি।
ছাত্রদলের সভাপতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয় কারও পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। এখানে নির্বিঘ্নে, নিরাপদভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা আমাদের অধিকার। এই অধিকার আমরা কারো কাছে সমর্পণ করিনি, করবো না। অচিরেই ছাত্রদল আবারও ক্যাম্পাসে যাবে, ইনশাআল্লাহ। আমাদের ক্যাম্পাস, আমরাই থাকব। একইসঙ্গে এটাও বলে রাখতে চাই, আমাদের সহযোদ্ধাদের প্রতি ফোঁটা রক্তবিন্দুর জবাব অবশ্যই দিতে হবে। সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে আইনের আওতায় আনা হবে।
এমএইচ/আরএ/