বিএনপিকে মানুষ ভোট দেবে কি না জানেন না কাদের
কানাডার আদালতে রায় দিয়েছিল বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল তাদের কোনো নেতাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া যাবে না। এই দলকে মানুষ ভোট দেবে কি না তাও সন্দেহ আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীরা লাঠির সঙ্গে জাতীয় পতাকা বেঁধে মারপিট করেন। লাঠি হাতে জাতীয় পাতাকার অবমাননা করে তাদের দেশপ্রেম আছে? এই দেশকে ওরা ভালোবাসে?। ওরা ভালোবাসে পাকিস্তানকে। এটা ফখরুলই বলেছে।’
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে যুবলীগ আয়োজিতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব ভাগ্যবান মানুষ। কোনো কোনো গণমাধ্যম এক দিনে চারটা সংবাদ দেয় তার এবং ছবি ছাপে। এতেও উনারা বিরক্ত। একটা সাক্ষাৎকারে বললেন ‘আমাদের ফিনিশার এবং স্ট্রাইকারের অভাব নেই। আমাদের তারেক রহমান এ রকম স্ট্রাইকার সারাবিশ্বে তিনি গ্রহণযোগ্য, বাংলাদেশেও।’
ফখরুল সাহেবের এ কথায় ‘হাসব কি কাঁদব ভেবে পাই না। এই দেশে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন ‘তারেক রহমান দ্য নটোরিয়াস অ্যান্ড কোয়াইটলি ক্লিয়ার সান অব ফরমার প্রাইম মিনিস্টার খালেদা জিয়া। হি ইজ ল্যাপরোকেটিভ গভর্নমেন্ট।’ এই রকম কোনো লোক এ দেশের কোনো দলের নেতা হয় ঐ দলকে মানুষ ভোট দেবে কি না আমি জানি না। প্রধানমন্ত্রী হবেন, সরকার গঠন করবেন যারা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত!
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা রাজনীতির সর্পিল আর কণ্টক পূর্ণ পথ মাড়িয়ে এত দূর এসেছেন। পিতার ক্ষেত্রে যেটা কন্যার ক্ষেত্রেও সেটাও। বঙ্গবন্ধু কষ্ট করার জন্য জন্মেছেন, শেখ হাসিনার জীবনও সেটাই প্রমাণ করেছে। তিনি নিজের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নয়, নিজের সুখের জন্য নয়, শেখ হাসিনা কষ্ট করেন মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য। শেখ হাসিনা কষ্ট করেন পিতা স্বাধীনতা দিয়েছেন মানুষকে মুক্তি দিতে। সেটাই তার পণ। যত মিথ্যাচার করেন, যতই বিষোধগার করেন মির্জা ফখরুল সাহেব আর আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তি, সাম্প্রদায়িক শক্তি। এই দেশে দুজন মানুষ বাংলার এই জনপথ যতদিন থাকবে, যতদিন এখানে চন্দ্র সূর্য উদয় হবে, যতদিন এখানে পাখিরা গান গাইবে, যতদিন এখানে নদীর কলতান থাকবে ততদিন এখান বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন পুরুষ বঙ্গবন্ধু মুজিব স্বাধীনতার জন্য তার সেই অবদানের জন্য তার মৃত্যু নেই। এবং তার উত্তরাধিকারের মৃত্যু নেই। দুই জনকে আল্লাহ পাঠিয়েছেন একজনকে স্বাধীনতার জন্য আর একজনকে বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। তেমনি উত্তরাধিকার হিসেবে শেখ হাসিনা থাকবেন না, মরে যাবেন, এক সময় চলে যাবেন কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তির পরম্পরায় দিয়ে গেলেন এটা চিরদিন থাকবে, এর মৃত্যু নেই।’
তিনি বলেন, ‘গত ৪৭ বছরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর শেখ হাসিনার মতো সৎ রাজনীতিক আর নেই। সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৭ বছরের সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৭ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা আর সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা।’
বিএনপি ও আওয়ামী লীগ বিরোধী দলগুলোর উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ গ্রাম এখন ফকফকা। সারাদেশ আলোকিত। সাময়িক সমস্যা আমাদের সৃষ্ট নয়। লোডশেডিং করতে হচ্ছে। এই সংকট সৃষ্টি করেছে বড় বড় দেশ। সেটাও সামাল দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা (বিএনপি) ক্ষমতায় থাকলে আজকের পরিস্থিতিতে কী হতো? তারা কি সামাল দিতে পারতেন? তারা সামাল দিতেন কেমন করে?
যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হোসেন নিখিলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন যুবলীগ নেতা অজয় দাশ গুপ্তসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
এসএম/এমএমএ/