রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৪৩ বছরে পা দিয়ে কোন পথে ছাত্রদল

রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির ‘ভ্যানগার্ড’ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। তবে একসময় সংগঠনটির শক্তিশালী অবস্থান থাকলেও এখন অনেকটাই কাগুজে বাঘে পরিণত। সাবেক ও বর্তমান ছাত্রদল নেতাদের মতে, ক্ষমতাসীনদের চাপে তাদের বিভিন্ন সময়ে সমঝোতাকে প্রাধান্য দিতে দেখা যায়। গতানুগতিক দলীয় কর্মসূচির বাইরে গণতান্ত্রিক অধিকার সংশ্লিষ্ট কর্মসূচিতে তাদের তেমন শক্তিশালী ভূমিকায় দেখা যায়নি।

১৯৭৯ সালে ১ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া ছাত্রদল এরই মধ্যে ৪২ বছর পূর্ণ করে ৪৩-এ পা দিয়েছে। অথচ ২০১৬ সালে বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিলে রাখা হয়নি ছাত্র-বিষয়ক সম্পাদক পদ। খালেদা জিয়া দণ্ডিত আসামি, রাজনীতিতে নিস্ক্রিয়। তাই কার্যত সংগঠনটি দেশে একরকম অভিভাবকহীন। সংগঠনের নেতারা সিদ্ধান্তের জন্য তাকিয়ে থাকেন যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকে।

তবে ছাত্রদল নেতারা বলেন, ছাত্রদলে সক্রিয়তা ফিরে এসেছে। এখন ছাত্রদল নেতৃত্বকে সাবেক ছাত্রনেতাদের পরামর্শ নেওয়ার নামে কোনো বলয় কিংবা সিন্ডিকেটে যুক্ত হতে হচ্ছে না। তারেক রহমানকে সরাসরি অভিভাবক হিসেবে পেয়েছেন বলেও জানান নেতা-কর্মীরা।

এ প্রসঙ্গে সংগঠনটির সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের দাবি, ছাত্রদল স্বাধীন। বিশেষ প্রয়োজনে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শ নিয়ে থাকে বলেও যুক্ত করেন খোকন।

তিনি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘শত প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে ছাত্রদল তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে অনেকটাই অগ্রগামী হয়েছে। বড় সাফল্য হলো–দীর্ঘ ২৭ বছর পর কাউন্সিলরদের ভোটে ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচিত করা। রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে যে সাংগঠনিক দক্ষতা প্রয়োজন, সেটা অর্জনে সফলতার দ্বারপ্রান্তে যাচ্ছি। ২০০১-২০০৩ সালের পর যেসব ইউনিয়ন কমিটির কার্যক্রম স্থবির ছিল, সেগুলো ইতিমধ্যে সারাদেশে পাঁচ হাজার ইউনিয়ন ইউনিট কমিটিকে সক্রিয় করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। হামলা-মামলা উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল তাদের হারোনা ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।’

নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে অর্থ বাণিজ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে ভালো কিছু করতে গেলে কিছু সমালোচনা-অভিযোগ থাকবেই। ছাত্রদল একটি বৃহত্তর ছাত্র সংগঠন। নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে। সেখান থেকে তুলনামূলক যোগ্য ত্যাগী ও দলের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধদের দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। অনেক ইচ্ছে থাকার পরও সংগঠনের স্বার্থে কাউকে বাদ দিয়ে কাউকে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে কিছুটা ভুল বুঝাবুঝি দেখা দেয় এবং দিচ্ছে। তা অস্বীকার করার অবকাশ নেই। তবে কিছুদিনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সংগঠনের স্বার্থে সবকিছু ঠিকও হয়ে যায়।’

সংগঠনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আগামী দিনের রাজপথ আন্দোলন উপযুক্ত নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা, নতুন কমিটি গঠন কেন্দ্র করে ছাত্রদল কোনো বলয় কিংবা সিন্ডিকেটে জড়াতে না পারে সেজন্য তারেক রহমান সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রায় নিয়মিত ‘ওয়ান টু ওয়ান’ দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন। এতে নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত হচ্ছেন।

৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কর্মসূচি

১ জানুয়ারি ২০২২ (শনিবার) ছাত্রদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা ও করোনাকালীন বিষয়াদি প্রাধান্য দিয়ে এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা অনুষ্ঠান থেকে বিরত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ইস্যুতে দুই দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সংগঠনটি। ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে–১ জানুয়ারি সকাল ৯টায় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ কার্যালয়সহ মহানগর-বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট কাযালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। একই দিন সকাল ১০টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং বেলা ১২ টায় মহানগর নাট্যমঞ্চে ছাত্রসমাবেশ করা হবে।

২ জানুয়ারি প্রত্যেক জেলা-মহানগর-বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রসমাবেশ আয়োজন করবে।

এদিকে, ছাত্রদলের সহ-দফতর সম্পাদক আজিজুল হক সোহেল ঢাকাপ্রকাশকে জানান, ‘মহামারি করোনায় সংগঠনের সাংগঠনিক কাযক্রম বাধাগ্রস্ত হলেও বসে নেই ছাত্রদল। সংগঠনকে গতিশীল করতে আমরা ইতিমধ্যে সারাদেশে নগর, মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, পৌর ও কলেজ শাখায় ৯ মাসে প্রায় এক হাজার ৫৩৮টি নতুন কমিটি উপহার দিয়ে সক্ষমতার পরিচয় দিতে পেরেছি। ইউনিয়ন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কিছুটা ব্যস্ততা থাকায় নতুন করে কমিটি ঘোষণা করা না হলেও সাংগঠনিক কাযক্রম অব্যাহত রয়েছে।’

আংশিক কমিটিতেই মেয়াদ শেষ

দীর্ঘ ২৭ বছর পর ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলের মাধ্যমে ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল নির্বাচিত হন। ২০ ডিসেম্বর ৬০ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সেই আংশিক কমিটিও তাদের নির্ধারিত মেয়াদ অতিবাহিত করে ফেলেছে। অতীতের ন্যায় যথাসময়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পরিণত করতে ব্যর্থ সংগঠনটির বর্তমান নেতৃত্ব। অথচ নিজেদের নেতৃত্ব সময় ধরে রাখতে দেশব্যাপী বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠনে দৌড়ঝাঁপ করে যাচ্ছেন তারা। দলীয় কর্মসূচির বাইরে ছাত্রদের অধিকার সংশ্লিষ্ট থেকে দেশের কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিজেদের ভূমিকা তুলে ধরতে ক্রমাগত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে ছাত্রদল।

ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, ‘ছাত্রদল ভালো নেই। গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। উনার কারামুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসা নিশ্চিত না হওয়া পযন্ত ছাত্রদল ভালো থাকতে পারে না। ছাত্রদল নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শপথ নিয়েছে–চেয়ারপারসনের কারামুক্তি ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, ও মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথ আন্দোলনে থাকতে বদ্ধ পরিকট। প্রয়োজনে জীবন দিবে তবুও ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে দেশ রক্ষায় আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে ছাত্রদল নেতৃত্ব।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাংগঠনিক টিম ও নতুন কমিটি গঠন ইস্যুতে কিছু অভিযোগ উঠেছে, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বৃহত্তর একটি ছাত্র সংগঠনে ভিন্নমত, নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকাটা স্বাভাবিক। তারপরও অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও কিন্তু গ্রহণ করা হচ্ছে, হয়েছে। যেটা ফলাও করে প্রচারিত হয় না। কারণ ভালো কাজের প্রশংসা কিংবা উৎসাহ না দিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা করাটা একটা ব্যাধিতে পরিণত।’

এমএইচ/এসএ/

Header Ad

আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি

গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছেন। শপথ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নিয়ত সহি। জাতিকে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। আর এ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার তাই করব।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমাদের আছে। এর আগে তথ্য ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকাকালে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসেছি।

যে শপথ নিয়েছি এর সম্মানটা রাখতে চাই। আমার শপথ ভঙ্গ হবে না, আমি এই দায়িত্বকে জীবনের একটি অপরচুনিটি (সুযোগ) হিসেবে দেখছি। দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, তারা ফ্রি ফেয়ার একটা ইলেকশনের জন্য সংগ্রাম করেছে, অনেক আন্দোলন করেছে। বিগত বছরগুলোতে অনেকে রক্ত দিয়েছে। আমি তাদেরকে একটা ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল (স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য) ইলেকশন দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুত বদ্ধ। আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমি ইনশাল্লাহ কনফিডেন্ট। আমরা সবাই মিলে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে, দেশবাসীর সহযোগিতা নিয়ে, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতাসহ এ জাতিকে একটা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচন করতে গেলে কিছু এসেনশিয়াল সংস্কার লাগবে। যেমন- এখন নানা রকম কথা হচ্ছে- আনুপাতিক ভোটের হারে এবং আগের নিয়মে হবে। সংবিধানে যদি এটার ফয়সালা না হয় তাহলে আমরা নির্বাচনটা করব কীভাবে। ইলেকশন করতে ইয়ং জেনারেশন যারা ভোট দেওয়ার জন্য বছরের পর বছর মুখিয়ে আছে, তাদেরকে তো ভোটার লিস্টে আনতে হবে। আমাকে ভোটার লিস্ট করতে হবে, কোথায় কোথায় রিফর্মশেনের দরকার হবে, সেটা আমরা পাব। এ বিষয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশন কাজ করছে। আগে তাদের পরামর্শ আসুক। এর যেগুলো গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। সংবিধান যদি ঠিক না হয়, তাহলে আমাদের যাত্রা এলোপাথাড়ি হয়ে যাবে। সংস্কার কমিশন কাজ করছে, এটা শেষ হোক। আর বেশিদিনতো নেই। সরকার বলছে ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনগুলোর রিপোর্ট দেবে। আপনারা আশস্ত থাকুন, আমাদের নিয়ত সহি। ইনশাল্লাহ একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন হবে। এবার আরেকটা সুযোগ এসেছে, রাজনৈতিক দলগুলো, যারা নির্বাচন করবে তারা ১৫-১৬ বছর ধরে বলে আসছে আমরা ভোটের অধিকার চাই। আমরা আমাদের ভোট দিতে চাই। সুতরাং আমরা তাদের সঙ্গে পাব। তাদের দাবিকে বাস্তবায়ন করব, তারাও জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ।

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার ইচ্ছে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিফর্ম কমিটির সুপারিশ আসুক, অনেক বির্তক চলছে, বিতর্কের ফয়সালা হোক। ফয়সালা হলে আপনারা দেখতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নিয়োগ পান সাবেক সচিব এ এম এম মো. নাসির উদ্দীন। তার সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনারের নামও ঘোষণা করা হয়।

তারা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

নিয়োগ পাওয়ার পর সেদিন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

বিসিএস ক্যাডার ও নন–ক্যাডার মিলে মোট ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। এর মধ্যে ক্যাডার পদে ১২ হাজার ৭১০ জন এবং নন-ক্যাডারে ৫ হাজার ৪৩৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

এছাড়াও দ্রুত সময়ের মধ্যে ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে বলে জানান জনপ্রশাসন সচিব। তিনি বলেন, ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএসে ২০৬৪ জন, ৪৪তম বিসিএসে ১৭১০ জন, ৪৫তম বিসিএসে ২৩০৯ জন, ৪৬তম বিসিএসে ৩১৪০ জন এবং ৪৭তম বিসিএসে ৩৪৮৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

জনপ্রশাসন সিনিয়র সচিব বলেন, নন-ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএস থেকে ৬৪২ জন, ৪৪তম বিসিএসের ১৭৯১ জন, ৪৫তম বিসিএসে ১৫৭০ জন, ৪৬তম বিসিএসে ১১১১ জন, ৪৭তম বিসিএসে ৩২৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

ক্যাডার ও নন ক্যাডার মিলিয়ে ১৮১৪৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Header Ad

শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার

শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার। ছবি: সংগৃহীত

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছেন। রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

এর আগে শপথ নিতে দুপুরের দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আসেন সিইসিসহ চার নির্বাচন কমিশনার। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভুঞা।

শপথ নেওয়া চার কমিশনার হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আপিল বিভাগের সকল বিচারপতি, সার্চ কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবসহ সিইসি ও চার কমিশনারের পরিবারের সদস্যরা।

গত ২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে প্রধান করে ইসি গঠনে ছয় সদস্যের সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান (পিএসসি) মোবাশ্বের মোনেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম।

পরে ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা দেওয়া হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ওই তালিকা থেকে ৫ জনকে নিয়ে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা