মোর্শেদ হাসানের বাসা ছাড়ার নির্দেশ প্রত্যাহার চান ফখরুল
অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বাসা ছাড়ার অন্যায্য নোটিশের নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার রাখেন। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন সময় পত্রিকায় বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশিত হতে থাকে।
এরূপ একটি নিবন্ধের দায়ে অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে অন্যায়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বিষয়টি সুরাহার জন্য তিনি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। যা এখনো আদালতে বিচারাধীন। বিষয়টি আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই তাকে বাসা ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসানের ক্যানসার আক্রান্ত স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে নিয়ে বাসা ত্যাগের নির্দেশটি একটি অমানবিক আচরণ। বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে এ অমানবিক নির্দেশ প্রত্যাহার করার দাবি জানান।
অপর এক বিবৃতিতে গাবতলী বিএনপি নেতা মো. সাইফুল ইসলাম এবং গাবতলী পৌর বিএনপি'র নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম পিন্টু কে বানোয়াট ও মিথ্যা মামলায় কারাগারে প্রেরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, উচ্চ আদালতের জামিন থাকা সত্ত্বেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে গত ১৯ জুলাই তারিখে বগুড়া দায়রা জজ আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করে। এই ঘটনায় আবারও প্রমানিত হলো সরকারের নির্দেশেই আইন আদালত পরিচালিত হচ্ছে। আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তারা বিরোধী দলের জনপ্রিয় নেতাদের নিপীড়নের পথ বেছে নিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে দেশের মানুষ যখন অতিষ্ঠ, লোডশেডিং, গ্যাস, বিদ্যুৎপানি সংকটে জন-জীবন যখন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সেই সময়ে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে নিতেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও কারাগারে প্রেরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে সরকার। তিনি অবিলম্বে মেয়র সাইফুল ইসলাম ও আব্দুর রহিম পিন্টুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।
এমএইচ/এমএমএ/