কটূক্তি আওয়ামী লীগের স্বভাবগত কৌশল: মির্জা আব্বাস
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কটূক্তি করা হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের মতো ওবায়দুল কাদেরের কথাবার্তাও বন্ধ হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘তারেক রহমানকে কটূক্তির বিষয়ে যদি ক্ষমা না চান, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ঢাকা কিংবা দেশের যে রাজপথে আপনাদের পাবে শায়েস্তা করে ছেড়ে দেবে। আপনাদের ছাড় দেওয়া হবে না।'
বুধবার (২০ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
মির্জা আব্বাস বলেন, 'আমরা নির্বাচন কমিশন চিনি না, নির্বাচন কমিশন বুঝি না, নির্বাচন কমিশন মানি না। আমরা চাই এ সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন এক সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে সেই নির্বাচনে আমরা যাব।'
তিনি বলেন, 'সিইসি দূরের কথা বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করার সাধ্য বাংলাদেশের কারো নেই। যারা এই নির্বাচনে যাওয়ার চেষ্টা করবে ভেতরে কিংবা বাইরে দেশে কিংবা বিদেশে তাদের কোথাও ছাড় দেওয়া হবে না। ব্যর্থ ও দুর্বৃত্ত এ সরকারকে আমরা কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেব না।'
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'ঢাকা শহরে আন্দোলনের যে জোয়ার উঠেছে আগামী দিনে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সেই আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।'
মির্জা আব্বাস বলেন, 'কাউকে ব্যক্তিগত আঘাত করা, কটূক্তি করা আওয়ামী লীগের একটা স্বভাবগত কৌশল। যখন বাংলাদেশের মানুষ বিদ্যুৎ ও পানি পাচ্ছে না, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বন্যায় দেশ ঢুবে যাচ্ছে ওই সময়ে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে একটি কথা বলে দিল। যাতে করে আমরা ওই দিকে নজর দিয়ে দেই।'
সরকারের নানা ও নিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে মির্জা আব্বাস বলেন, 'আমরা যতটুকু জানি সরকারি পর্যায়ে কখনো পণ্যের মূল্য বাড়ানো হয় না, বেসরকারি পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে মূল্য বাড়ায়। অথচ অনির্বাচিত এ সরকার সব কিছুর মূল্য বাড়িয়েছে।'
দেশের মানুষ আর এ সরকারকে চায় না দাবি করে তিনি বলেন, 'আমাদের পানিতে চুবিয়ে মারা হচ্ছে আবার কখনো তিস্তার ব্যারেজ খুলে দেওয়া হচ্ছে, বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে আমরা কখনো পানিতে ডুবে মরি কখনো খরায় ডুবে মরি। অথচ এই ব্যাপারে সরকারের কোনো কথাবার্তা নেই।'
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আবার মেট্রোরেল নিয়ে উন্নয়নের ট্যাবলেট খাওয়ানো হচ্ছে। পদ্মা সেতু না হয় খরস্রোতা নদীর উপর, পিলারের নিচে মাটি সরে গিয়েছিল, ঢাকা শহরেও কি পাইলিংয়ের নিচে মাটি সরে যাচ্ছে নাকি? আবার মেট্রোরেলের খরচ বেড়ে গেল।
আয়োজক সংগঠনের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সফু, ইশরাক হোসেন প্রমুখ।
এমএইচ/এসএন