পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে তথাকথিত বিরোধী দলের কাউকে দেখিনি: রিজভী
পদ্মা সেতুর জাঁকজমক পূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘গতকাল একটি সংবাদের উপর আমার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে যে অবৈধ সরকারের তথ্যমন্ত্রী বলেছেন-পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পরে নাকি আমাকে দেখা যায়নি। আমি ওনাকে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই-পদ্মা সেতু যে সময় উদ্বোধন করা হয়েছে মানুষ তখন পানিতে ভাসছে হাহাকার করছে, মানুষের সহায় সম্বল যখন ভেসে যাচ্ছে তখন আপনাদের পদ্মা সেতুর জাকজমক পূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান তাই জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ মনে করেছে এটা জাতির সামনে একটা তামাশা। কোটি কোটি টাকা খরচ করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও সেখানে তেমন লোক সমাগম হয়নি। সমাবেশে ১০ লাখ লোক হবে বলা হলেও ৫-১০ হাজার লোকও উপস্থিত ছিল না।’
রবিবার (৩ জুলাই) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, 'আমি তথ্যমন্ত্রীকে একটা কথা বলতে চাই- আপনারা পদ্মা সেতুর তথাকথিত জাঁকজমক পূর্ণ উদ্বোধন যে করলেন গোটা জাতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের সঙ্গে রসিকতা করে জাতি যখন বন্যায় ভাসছে সেই অনুষ্ঠানেও কিন্তু আপনাদের অনেক ঘনিষ্ঠ জনকে দেখা যায়নি। সেখানে আপনাদের তথাকথিত বিরোধীদলের কোনো নেতা-কর্মীকেও আমরা দেখিনি।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার মেয়ের জামাইকেও দেখলাম না। তার (প্রধানমন্ত্রীর) ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়কেও দেখলাম না। সবচেয়ে বড় কথা সব সময় যিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকেন তার বোন শেখ রেহেনাকেও কেন দেখলাম না। দেশের কোনো বিশিষ্টজনকে আমরা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখি নাই।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা যে সেতু থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে টুস করে ফেলে দেবে দেশের একজন গুণিজনকে চুবানি দিবে সেই সেতুর জাঁকজমক পূর্ণ অনুষ্ঠান দেশের মানুষ ভালোভাবে দেখেনি। যে সেতুর সঙ্গে দুর্নীতি জড়িয়ে যেখানে এক টাকা খরচ হওয়ার কথা সেখানে সারে তিন টাকা খরচ করা হয়েছে। সেই টাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পকেটে গেছে তারা কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে বাড়ি বানিয়েছে।’
এমএইচ/এমএমএ/