সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বন্যার্তদের সাহায্য করতে একজন ডাক্তারও নাই: মির্জা ফখরুল

বন্যার্তদের সাহায্য করার জন্য সিলেটে একজন ডাক্তারও নাই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেন তিনি।

সরকার শুধু উন্নয়ন উন্নয়ন করে উল্লেখ করে বন্যার্তদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, উন্নয়ন-কিসের উন্নয়ন। মানুষকে সাহায্য করার জন্য এখানে একজন ডাক্তার পর্যন্ত নাই। এখানে যারা ত্রাণ দেয়, সরকারি কোন কর্মকর্তা আছে? নাই।

সাধারণ মানুষের উপকারের জন্য সরকার কোন কাজ করে না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এদেশে শতকরা ৪২ জন মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে। তারা দুবেলা দুমোঠো খেতে পারে না। আজকে এই অবস্থা আওয়ামী লীগ তৈরি করেছে।

সরকার এখন পদ্মা সেতু নিয়ে ব্যস্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালি পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতু। উৎসব, গান-বাজনাসহ বহু কিছু হচ্ছে। এদিকে আমার লোক খেতে পারে না। আমার লোক না খেয়ে আছে। তারা বিনা চিকিৎসার মারা যাচ্ছে। তাদের ছেলে-মেয়েরা ভেসে যাচ্ছে। সেদিকে এই সরকারের কোন চোখ-কান নেই।

পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মাওয়া ঘাটে দিকে শুধু ৯০টা প্রস্রাব খানা তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে  ফখরুল বলেন, এই প্রস্রাব খানাগুলো তৈরি করতে ৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই ৯ কোটি টাকা যদি সিলেটে দিতো তাহলে গরীব মানুষ তো এক বেলা কিংবা দুবেলা খেতে পারতো।

সিলেটের বন্যার্তদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এই যে ভয়াবহ বন্যা। এই বন্যা, গত ১২২ বছরেও এই এলাকায় হয়নি। এই বন্যা আপনাদের ঘর, ধান, গরু ও ছাগলসহ সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। আমি আপনাদের এলাকায় দেখলাম, একজন মা ও মেয়েও ভেসে গেছেন। চারদিন পরে তাদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

সিলেটে একটা করুন অবস্থা চলছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কেউ এক বেলা খেয়ে আছেন। আবার কেউ খেতে পারছেন না!

বিএনপি এখন বিরোধী দলে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন বিএনপির পক্ষে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা সম্ভব নয়। কিন্তু আপনারা আমাদের অন্তরের মধ্যে আছেন। আপনাদেরকে আমরা অন্তর থেকে ভালোবাসি বলেই আমাদের যে সামর্থ্য আছে, সেই সামর্থ্য নিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়ানো চেষ্টা করেছি।

আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় আছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই দায়িত্ব তো তাদের (আওয়ামী লীগ)। বন্যার সময় আপনাদের খাবার ও ত্রাণ দেয়ার দায়িত্ব কাদের? আওয়ামী লীগের। কিন্তু আওয়ামী লীগ এখানে এসেছে? আসে নাই।

গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী সিলেট এসেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারের করে উড়ে এসেছেন, সার্কিট হাউজে নেমেছেন। তারপরে বড় বড় অফিসার ও এমপিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আর ৭ জন মানুষকে নিয়ে গিয়ে লোক দেখানো সাতটা প্যাকেট তুলে দিয়েছেন।

বন্যার্তদের উদ্দেশ্য করে ফখরুল আরো বলেন, হাজার হাজার ও লাখ লাখ মানুষ যেখানে আজকে পানিবন্দী হয়ে গেছে, তাদের ঘর-বাড়ি সব ভেসে গেছে, ব্যবসা ভেসে গেছে, কৃষি কাজ, ধান ও চাল ভেসে গেছে-তাদের জন্য তিনি ( প্রধানমন্ত্রী) কোন ব্যবস্থা করতে যান নাই! আর তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মেয়র আরিফুল হককে জিজ্ঞেস করেছেন, তোমার দল (বিএনপি) কত দিয়েছে। আমি জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনি সিলেটবাসীর জন্য কত টাকা দিয়েছেন? আমরা যেটা পত্র-পত্রিকায় এখন পর্যন্ত দেখেছি, আপনি ৩০ লাখ টাকা দিয়েছেন। কালকে শুনলাম, ৬০ লাখ টাকা দিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, সরকারের এতো বড় বাহিনী। বিশাল বিশাল বাহিনী কাজ করছে। কই সরকারের ইউএনও এবং এমপি সাহেবরা তো আপনাদের কাছে আসে নাই।  আমাদেরকে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন, সিলেটের যে অঞ্চলগুলোর মানুষের কাছে এখনো কিছু পৌঁছায়নি, তাদের ব্যবস্থা করে দেন।

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ আজকে এটা কেনো করছে? কারণ জনগণের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নাই। তারা মনে করে জনগণের কোন প্রয়োজন নেই। আর তাদের কোন জবাবদিহিতা নেই এবং জবাবদিহিতা করতেও হয় না। কারণ তারা বিনা ভোটে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে।

এসময়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেয়র আরিফুল হক, বিএনপি নেতা আব্দুল কাইয়ুম জালালী, আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক, সিলেট মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব মিফতা সিদ্দিকী, যুগ্ম আহবায়ক আজমল বকত সাদেক, এমদাদ চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমেদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী, ইশতিয়াক আহমেদ সিদ্দিকী, পাপ্পু সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

এমএইচ/

Header Ad

জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-ঘোষিত এক দফায় ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দাবি তোলা হয়েছিল। গণ-অভ্যুত্থানের সফলতার পর নিজেরাই এ দাবি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম থেকে আরও একধাপ এগিয়ে এবার নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের দিকে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধীরা।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা নাহিদ ইসলামকে নেতৃত্বে রেখে দল গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের শুরুর মাস জানুয়ারিতেই আলোচিত নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আসতে পারে।

এখনও দলের নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দলটি তারুণ্যনির্ভর হচ্ছে।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বিভিন্ন জেলা সফর করেছেন। ওই সময় নতুন দল গঠনের বিষয়টি আলোচনায় আসে। এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলন পরিচালনার জন্য গঠিত এই প্ল্যাটফর্মকে সাংগঠনিক রূপ দিতে গঠন করা হয় আহ্বায়ক কমিটি। একই সঙ্গে গঠন করা হয় জাতীয় নাগরিক কমিটি।

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনে কাজ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি। দল গঠনের প্রক্রিয়া নিয়েও কিছুদিন ধরে কাজ করছেন। তারা মনে করেন, বিপ্লব-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে মানুষ নতুন রাজনৈতিক শক্তিকে দেখতে চায়।

জাতীয় নাগরিক কমিটির একটি দায়িত্বশীল সূত্র সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত জানিয়েছে, জানুয়ারিকে সামনে রেখেই তাদের প্রস্তুতি চলছে। জানুয়ারিতে তারা নতুন একটি রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে পারেন। অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে নেতৃত্বে রেখেই তারা দল গঠনের চিন্তা করছেন।

সূত্রটি আরও বলছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের উদ্যোগেই নতুন এই দল হবে। নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতা এবং বাইরের বিভিন্ন দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন হতে পারে এই দল। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও চলছে বলে জানা গেছে।

নতুন দল গঠন করলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি থাকবে। প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে এই দুটি সংগঠন।

নাম প্রকাশ না করে জাতীয় নাগরিক কমিটির শীর্ষপর্যায়ের এক নেতা বলেন, ‘নাহিদ ইসলামকে সামনে রেখে আমরা জানুয়ারিতে দল গঠনের বিষয়ে ভাবছি। সে ক্ষেত্রে তাকে দল গঠনের আগে উপদেষ্টার পদ ছাড়তে হবে। সবকিছু চূড়ান্ত হলে আমরা আশা করি, সেটি তিনি করবেন। নাগরিক কমিটি ঢাকাসহ দেশের সব থানাপর্যায়ে কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলাপর্যায়ে কমিটি করার কাজ করছে। জানুয়ারির মধ্যেই সেটি সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’

অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষপর্যায়ের আরেক নেতা প্রায় একই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তারুণ্যনির্ভর দল গঠন করতে চাই। দেশের জনগণ তরুণ নেতৃত্বকেই বেছে নেবেন। তরুণ নেতৃত্বের মধ্যে নাহিদ ইসলামকেই আমাদের যোগ্য মনে হয়েছে।’

জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের আলোচনা শুরু হয় গত সেপ্টেম্বরে। ৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র পুনর্গঠন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও ‘নতুন বাংলাদেশের’ রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সফল করার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির ৫৬ সদস্যের একটি কমিটি আত্মপ্রকাশ করে।

প্রায় একই সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও বিভিন্ন জেলায় সফর শুরু করেন। ইতিমধ্যে প্রায় ১৫টি জেলায় তারা কমিটি ঘোষণা করেছেন। বাকি জেলাগুলোও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক কমিটি ঢাকায় ২০টির বেশি থানাপর্যায়ের কমিটি ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া সিলেট, চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলার কমিটিও প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে। এই কমিটিগুলো নতুন দল গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘জানুয়ারির আগে আগে আমরা সব জেলার কমিটি ঘোষণা করব।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার সেক্রেটারি আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘আমাদের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, রাজনৈতিক দলগুলোর গতানুগতিক ধারার যে রাজনীতি, সেটা থেকে বের হয়ে বাংলাদেশ পুনর্গঠনের জন্য এবং বাংলাদেশের জনগণের অধিকার রক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন, শক্তিশালী করা একই সঙ্গে মানুষের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিলাম রাইজিং কর্মসূচির অংশ হিসেবে। ইতোমধ্যে আমরা ঢাকার ২০টি জেলায় কমিটি ঘোষণা করেছি এবং অন্য জেলাগুলোর অনেক থানাপর্যায়ের কমিটি প্রস্তুত আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ঘোষণাপত্র অনুযায়ী যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, সে আহ্বানে সাড়া দিয়েই অভ্যুত্থানে যারা সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন, শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত সদস্য, নারী, সামাজিক, সংখ্যালঘু, কৃষক, শ্রমিকশ্রেণি এবং এলাকাভিত্তিক সব জাতিসত্তার প্রতিনিধিত্ব কমিটিতে রাখা হচ্ছে।

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সমন্বয়ের কাজ এবং উভয়ের কাছে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রস্তাব পৌঁছে দিতে গত ৮ আগস্ট গঠন করা হয় লিয়াজোঁ কমিটি।

সেদিন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার আগ মুহূর্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ছয় সদস্যের লিয়াজোঁ কমিটি ঘোষণা করেন। লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ঠিক এক মাস পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৮ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। সেখানে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যদের প্রায় সবাই রয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘নতুন ধরনের রাজনৈতিক শক্তি, রাজনৈতিক দল অবশ্যই প্রয়োজন আছে। পুরনো দলগুলোর নির্ধারিত রাজনৈতিক আদর্শ আছে।

২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন রাজনৈতিক ভাব, রাজনৈতিক ভাষা জনগণের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। এই নতুন ভাবভঙ্গি, ভাষা ধারণ করবেন তারা। এটা ধারণ করার জন্য নতুন রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রয়োজন আছে এবং সেটা আমরা দেখতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে তরুণরাই ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মূল চালিকাশক্তি, সে স্পিরিট ধারণ করার যোগ্যতম দাবিদার তারাই। ফলে তারুণ্যনির্ভর নতুন রাজনৈতিক দল অবশ্যই গঠন হবে। তারা যে যেখানেই থাকুক না কেন, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একত্র হয়ে নতুন একটি রাজনৈতিক শক্তি বা দলে রূপান্তরিত হবেন এবং সেটা নির্বাচনের আগেই। সে ক্ষেত্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেকেই যুক্ত হবেন।’

নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে যে তরুণ সমাজ এবং নাগরিকরা এসেছেন, ওইসময় তাদের মধ্যে একটা উদ্যোগের আকাক্সক্ষা দেখেছি। তারা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্য দিয়ে দেশ পুনর্গঠন চান।

সেই পুনর্গঠন ও উদ্যোগকে ফ্যাসিলিটেট করার জন্য গত ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশ করে। আমরা এর মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে বিভিন্ন জায়গায় কমিটি গোছাচ্ছি। ঢাকায় আমাদের ৫০ শতাংশ কমিটি গোছানো শেষ। সারা দেশেই কমিটি ঘোষণার কাজ চলমান।’

রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি জনগণের মধ্যে একটি রাজনৈতিক দলের আকাক্সক্ষা ছিল, সেটি তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা আশা করি, আগামী এক দুই মাস পরই বাংলাদেশের মানুষের সামনে সুন্দরভাবে কোনো দলের বাস্তব রূপ আমরা দেখতে পাব।

এটি জাতীয় নাগরিক কমিটির একক কোনো উদ্যোগ নয়, এটা তরুণদের উদ্যোগ। জাতীয় নাগরিক কমিটি সে উদ্যোগকে ফ্যাসিলিটেট করবে। আমাদের একটা আকাক্সক্ষা, নতুন রাজনৈতিক দল শহীদ ও আহতদের যে আকাঙ্ক্ষা সে স্পিরিটটা তাদের ধারণ করতে হবে।’

সূত্র: দেশ রূপান্তর

Header Ad

বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা

ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে কর্মরত চিকিৎসকরা সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশ নিতে বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাদের এই নতুন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আবদুল হাই স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন দপ্তর কিংবা সংস্থায় কর্মরত চিকিৎসকদের বৈদেশিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বছরে (সর্বশেষ ১২ মাস) সর্বোচ্চ দুইবার বৈদেশিক সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ কিংবা কর্মশালা ইত্যাদিতে যেতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অভিজ্ঞ বা যে বিষয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত (দায়িত্ব পালনরত), কেবল সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অধ্যয়নরত সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হয়ে গমন করতে পারবেন।

আমন্ত্রণকারী সংস্থার নিজস্ব ডোমেইনভুক্ত ওয়েবমেইল থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওয়েবমেইলে (secretary@hsd.gov.bd, cc: admin1@hsd.gov.bd) আমন্ত্রণপত্রের অনুলিপি বা কপি পাঠাতে হবে। আমন্ত্রণকারী সংস্থা যাবতীয় খরচ (ভিসা ফি, উভয় পথের বিমানভাড়া, আবাসন ব্যবস্থা বা খরচ ইত্যাদি) বহন করবেন বলে সংস্থা থেকে প্রত্যয়নপত্র প্রমাণক হিসেবে দাখিল করতে হবে।

এ ছাড়া বৈদেশিক প্রমাণস্বরূপ প্রোগ্রামে যোগদানের ও সমাপ্তি দিনের ছবি দাখিল করতে হবে। যথাযথ মাধ্যমে অগ্রায়নকৃত আবেদনে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ থাকতে হবে। অগ্রায়নের আগে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্র ১ নম্বর থেকে থেকে ৯ নম্বর শর্ত যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলো (ভেরিফায়েড অ্যান্ড ফাউন্ড ওকে) লিখে প্রত্যয়ন করতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়, যা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিবেচ্য মনে করেন।

অফিস আদেশে আরও বলা হয়, উপরিউক্ত নির্দেশনাসমূহ আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে চিকিৎসকদের আমন্ত্রণের ভিত্তিতে বিদেশে সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ বা কর্মশালা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো।

Header Ad

বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর

ছবি: সংগৃহীত

শাকিব খানকে কেন্দ্র করে তাঁর দুই সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর দ্বন্দ্বটা নতুন কিছু নয়। ঢালিউড সিনেমার দুই নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সম্পর্কটা কেমন, সেটা একেবারেই অজানা নয় ভক্তদের। বর্তমানে যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বৈরিতায় রূপ নিয়েছে।

সবশেষ শবনম বুবলীর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে এই দুই নায়িকার কোন্দলের চিত্র আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে। গত ২০ নভেম্বর ছিল বুবলীর জন্মদিন। দিনটিতে পরিবারের মানুষদের নিয়েই ঘরোয়া পরিবেশে কেক কেটেছেন তিনি। সেই মুহূর্ত তুলে ধরেছেন ফেসবুকে। যেখানে ভালোবাসা জানিয়েছেন ভক্তরা।

তবে বুবলীর জন্মদিনের তিনদিন পর রোববার (২৪ নভেম্বর) অপু বিশ্বাস ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘লেট পোস্ট। হ্যাপি টয়লেট ডে, ২০ নভেম্বর।’ সঙ্গে একটি অট্টোহাসির ইমোজি জুড়ে দেন তিনি।

সরাসরি কিছু না বললেও পরোক্ষভাবে বুবলীর জন্মদিন নিয়েই ঠাট্টা করেছেন এই নায়িকা। যেটা বুঝতে কষ্ট হয়নি ভক্তদের। কারণ ২০২২ সালেও বুবলীর জন্মদিনে খোঁচা দিয়েছিলেন অপু বিশ্বাস। ওই বছর বুবলী গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, জন্মদিন উপলক্ষ্যে শাকিব খানের কাছ থেকে ডায়মন্ডের নাকফুল উপহার পেয়েছেন তিনি।

সেই খবর ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকগুলো হাসির ইমোজি দিয়ে অপু লিখেছিলেন, ‘কী যে মজা’! চুপ থাকেননি বুবলীও। দুজনে জড়িয়ে পড়েন ভার্চুয়াল যুদ্ধে। একজন অন্যজনকে নিয়ে নানা রকম কটু মন্তব্যও করেন।

সেই ঘটনার দুই বছর পর আবারও বুবলীর জন্মদিনে তাকে খোঁচা দিতে গেল অপু বিশ্বাসকে। যা মোটেও ভালোভাবে নেননি নায়িকার ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার শিকার হচ্ছেন তিনি।

অপুকে উদ্দেশ্য করে কেউ লিখেছেন, বুবলীকে নিয়ে আপনার হিংসা কমছে না। কারো মন্তব্য, আপনাদের কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করুন। কেউ আবার অপুর মানসিকতার ধরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। এরপর ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান আব্রাম খান জয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে ডিভোর্সের পর একই বছরের ২০ জুলাই বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব খান। সেই সংসারে ২০২০ সালের ২১ মার্চ সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্ম হয়। এর কয়েক বছরের মাথায় তাদের বিচ্ছেদের খবর শোনা যায়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল
বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি
ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার