ঢাবিতে রিজভী-ওবায়দুলের বৈঠক রাষ্ট্রবিরোধী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে গভীর রাতে নিয়মবহির্ভূত ভাবে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতপন্থী শিক্ষক এবিএম ওবায়দুল ইসলামের নেতৃত্বে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র করেছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকালে সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, 'গত ১৮ জুন গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতপন্থী সাদা দলের শিক্ষক এবিএম ওবায়দুল ইসলামের নেতৃত্বে অছাত্রদের সংগঠন ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদেরকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হয়েছে যা দেশের প্রচলিত আইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব আইন পরিপন্থী। রাষ্ট্র বিরোধী গোপন বৈঠকে বাঙালি জাতির দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে বানচাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলানোর গভীর ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হয়েছে যা কখনোই মেনে নিবে না বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে সিসি টিভির ফুটেজগুলো দেখে অবিলম্বে এই গোপন বৈঠকে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে এসে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রকৃত তথ্য জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে কটূক্তির অপরাধে চাকরিচ্যুত শিক্ষক ও বিএনপি নেতা মোর্শেদ হাসান খান অবৈধভাবে এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের বাসায় বসবাস করছেন যা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পরিপন্থী। অবিলম্বে তার বাসা বরাদ্দ বাতিল করতে হবে। রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রের মূলহোতা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিএনপি-জামায়াতের দোসর ওবায়দুল ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
বাঙালি জাতির কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বানচাল করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলানোর ষড়যন্ত্রে জড়িত রাজাকার পুত্র রুহুল কবির রিজভী, ওবায়দুল ইসলাম ও মোর্শেদ হাসান খানকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে নিয়মবহির্ভূত ভাবে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত খুনী জিয়ার দোসর রুহুল কবির রিজভী ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দলের শিক্ষক এবিএম ওবায়দুল ইসলামসহ অছাত্রদের সংগঠন ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে কটূক্তিকারী বিএনপি নেতা ও চাকরিচ্যুত শিক্ষক মোর্শেদ হাসানের বাসা বরাদ্দ দ্রুত বাতিল করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন তালবাহানা করলে কুলাঙ্গার মোর্শেদ হাসান খানকে ঢাবি ক্যাম্পাসের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।'
সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ বলেন, 'শান্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে অশান্ত করার পাঁয়তারা চলছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে বানচাল করার জন্য রিজভী গংরা হলগুলোতে লাশ ফেলানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ঢাবি ক্লাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করে গভীর রাতে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের নিয়ে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় বিএনপি একটি জঙ্গিবাদী সংগঠন। কুলাঙ্গার মোর্শেদ হাসান খান ও ওবায়দুল ইসলাম গংরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মদদদাতা। গভীর রাতের গোপন বৈঠকে উপস্থিত সকলকে গ্রেপ্তার করে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। কারণ এরা দেশ ও জাতির শত্রু। রিজভী কেন গভীর রাতে ঢাবি ক্লাবে ঢুকে গোপন বৈঠক করলেন? এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব কেন? দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমরা কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করব।'
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মাহিম, সংগঠনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন জালাল, রহুল আমিন মজুমদার ও বিশিষ্ট নাট্য অভিনেতা আহসানুল হক মিনু।
এসএম/এমএমএ/