বন্যা বিপর্যয়ের প্রধান কারণ হাওরে রাস্তা নির্মাণ: নাগরিক ঐক্য
সেনাবাহিনী দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে বন্যার্ত মানুষদের সহায়তার জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ নাগরিক ঐক্যের। রবিবার (১৯ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে দলের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার এ অভিযোগ করেন।
নেতারা বলেন, বস্তুত জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন, মধ্যরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসীন সরকারের কাছে অন্য কিছুর আশা করাও অর্থহীন। বর্তমান সরকারের সীমাহীন লুটপাট, তাদের আশ্রয়পুষ্ট লোকজনের নদী ও হাওর দখল করে ইচ্ছামতো ভরাট করে বাড়িঘর নির্মাণ এবং বিশেষত: রাজনৈতিক ক্ষমতা ও দাপট দেখানোর জন্য ও লুটপাটের উদ্দেশ্যে হাওরের মাঝ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ বৃহত্তর সিলেটের এই বন্যা ও মর্মান্তিক জন-বিপর্যয়ের অন্যতম প্রধান কারণ। অবিলম্বে সকল অপরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণ, নদী শাসন এবং অবৈধ ড্রেজিং বন্ধ করতে হবে।
তারা বলেন, অবিলম্বে দুর্গত মানুষদের উদ্ধার, নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া, খাদ্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সকল ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে যেন তারা অতি অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে কমপক্ষে অর্ধকোটি মানুষ অবর্ণনীয় বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছেন। ইতোমধ্যে বহু মানুষ মারা গেছেন, বিপুল সংখ্যক শিশু-নারী ও বৃদ্ধসহ বাকিরা পানিবন্দি অবস্থায় আশ্রয় ও খাদ্যের অভাবে বর্ণনাতীত কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। ফসল ও গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যে সরকার বিশেষ বায়োপিক বানানোর জন্য ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করে, সেই সরকার ৫০ লাখ বানভাসি বিপর্যস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ বরাদ্দ করেছে মাত্র ৬০ লাখ টাকা। এই মানুষদের উদ্ধার, নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া, খাদ্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য অন্য কোনো সরকারী উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে না। মানুষের ভাগ্যের সাথে বর্তমান অবৈধ সরকারের এমন প্রহসনমূলক আচরণ নতুন কিছু না। সীতাকুণ্ডে বা রানা প্লাজা ধসসহ অন্যান্য বড় বড় দুর্ঘটনার সময়ও বর্তমান ক্ষমতাসীন স্বৈরাচার সরকার এরকম দায়িত্বহীন ও উদাসীন আচরণ করেছে।
এমএইচ/এসজি/