শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় অঙ্গীকারাবদ্ধ বিএনপি
বিশ্ব শরণার্থী দিবসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাসহ বিশ্বের সব শরণার্থীদের সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে যেতে অঙ্গীকারাবদ্ধ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নিরাপত্তা চাইবার অধিকার সবার’- এ বছরের এ প্রতিপাদ্য একটি সর্বজনীন নীতি হিসেবে বিশ্ব সম্প্রদায়কে গ্রহণ করতে হবে। আমি বিশ্ব শরণার্থীদের প্রতি সমব্যাথী এবং তাদের নিজ দেশে মাথা উঁচু করে ফেরার প্রত্যাশা করছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা দিয়ে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারকে বাধ্য করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
রবিবার (১৯ জুন) বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিশ্ব শরণার্থী দিবস একটি আন্তর্জাতিক দিবস। ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবসে আমি বিশ্বের সব শরণার্থীদের মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের প্রতি আন্তরিক সংহতি জ্ঞাপন করছি। বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়ছে, যা খুবই আতঙ্কজনক। বিশ্বের প্রতি ৯৫ জন নাগরিকের বিপরীতে একজন মানুষ শরণার্থী। দেশে দেশে জাতিগত দাঙ্গা, ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সংঘাত, হিংসা-বিদ্বেষ ও সহিংসতায় আক্রান্ত হয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র্যের জ্বালায় নিজ দেশ থেকে উচ্ছেদ হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে মানুষ ভিন্ন দেশে শরণার্থী হচ্ছে। শরণার্থীরাও বিভিন্ন দেশে ক্ষুধা ও বেকারত্বের তাড়নায় অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে স্থানীয় সংস্কৃতির জন্য হুমকি হয়ে পড়ায় নতুন নতুন সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্ব শরণার্থী দিবসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরণার্থীদের মানুষ হিসেবে টিকে থাকার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় ভূমধ্য সাগরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি এবং সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকা ডুবিতে প্রাণ হারায় হাজার হাজার মানুষ। বিশ্ব শরণার্থী দিবসটি আমাদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ এজন্য যে বাংলাদেশ বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ রোহিঙ্গাদের নানা ধরনের দুর্যোগ যেমন ক্ষুধা, আবাস, বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ইত্যাদি মোকাবিলায় অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। নিজ মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদ হওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বাংলাদেশি জনগণ ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
এসএন