পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারীরা জাতীয় কুলাঙ্গার: আমু
পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারীদের জাতীয় কুলাঙ্গার হিসেবে আখ্যায়িত করলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর এর বিজয় উৎসবের পর বাঙালি জাতির জীবনে আরেকটি বিজয় উৎসব হবে আগামী ২৫ জুন। একটি দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিশ্ব ব্যাংককে ফিরিয়ে দিয়ে দেশি বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র ব্যার্থ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনা আজ প্রমাণ করেছেন, যে বাঙালি জাতি যা ইচ্ছে করে তা করতে পারে।’
শনিবার (১৮ জুন) বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে পদ্মা সেতু নির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানতে ১৪ দলের সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনার করে আওয়ামী লীগের এই প্রবীন নেতা বলেন,যারা দেশের মধ্যে থেকে দেশের উন্নয়নের বিরোধিতা করে, পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করে তারা হলো জাতীয় কুলাঙ্গার। এরাই হলো স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু।
আমির হোসেন আমু বলেন যখন পদ্মাসেতু উদ্ধোধন করার প্রস্তুতি চলছে তখনি বিএনপির নেতারা বক্তব্য দিয়েছে ৭৫'র হাতিয়ার গর্জে ওঠুক আরেক বার। তাদের এই বক্তব্যে প্রমাণিত হয় যে ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশের এত উন্নয়ন অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। যাদের এই উন্নয়ন অগ্রগতি সহ্য হয় না তারাই দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারী। যতোই ষড়যন্ত্র করুক দেশ বিরোধীদের কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।।
আমির হোসেন বলেন ৭১ সালে পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনী ও হায়নাদেরব পরাজিত করে যে জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে সেই জাতির কাছে কোনো ষড়যন্ত্রকারীরাই সফল হবে না।
তিনি বলেন, 'করোনার মধ্যেও সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা।'
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, কে কি বলল তা নিয়ে শেখ হাসিনা ভাবেন না। শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নয় তিনি বিশ্বনেতা। দেশে বিদেশে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে কিন্তু পারেনি। কারণ আওয়ামী লীগ কখনো বিদেশি শক্তির উপর ভরে করে চলে না,আওয়ামী লীগের শক্তি হলো বাংলাদেশের জনগণ। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই আবারও প্রধানমন্ত্রী করবেন ইনশাল্লাহ।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ১৪ দলের ঢাকা মহানগর সমন্বয়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড কামরুল ইসলাম এমপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গন আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, বাসদের আহবায়ক রেজাউর রশীদ খান,গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, ঢাকা মহানগর৷ দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি,সহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতুসহ সকল উন্নয়ন কর্মকােণ্ডের কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, কোনো ষড়যন্ত্র এর ধারাবাহিকতা বন্ধ করতে পারবে না। জোটবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।
এ সভায় ১৪ দলের নেতারা বলেন পদ্মা সেতু নির্মাণে বাধা দেওয়ার সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে, আবারও আন্দোলনের নামেও দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিএনপি ও জামায়াত। যে কোনো পরিস্থিতি সরকারের সঙ্গে ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করবে বলেও ঘোষণা দেন জোট নেতারা।
সমাবেশ শেষে অসীম সাহসীকতায় পদ্মা সেতু নির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করে ১৪ দল।
এসএম/এমএমএ/