‘ঝুঁকিমুক্ত’ হয়েও নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া
গত ৭২ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিবিড় পর্যবেক্ষণেই থাকতে হচ্ছে। হার্টের জটিলতা নিয়ে শনিবার মধ্যরাতে হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন।
ধরা পড়ে, মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক করেছেন তিনি। এরপর হার্টের বাঁ দিকে একটি ব্লকে রিং পরান চিকিৎসকরা। তাকে রাখা হয় ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে। মঙ্গলবার (১৪ জুন) শেষ হয় সেই সময়সীমা। এদিন সন্ধ্যার পর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে খালেদা জিয়াকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে ফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বৈঠকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। চিকিৎসকরা মনে করছেন, উনার (খালেদা) হার্ট অ্যাটাকের যে ঝুঁকিটা তৈরি হয়ে ছিল, সেটা অনেকটাই মুক্ত। চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কিছুটা আশাবাদী। তবে ঝুঁকিমুক্ত হলেও সেটা কত সময়ের জন্য বলা সম্ভবপর নয়। তিনি বেশকয়েকটি গুরুতর রোগ যেমন ডায়াবেটিক, ফুসফুস জটিলতা, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তাই চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রাখার ব্যাপারে মতামত তুলে ধরেছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত নন তিনি।
এদিকে খালেদা জিয়ার প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিবিড় পর্যবেক্ষণের সময় বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ২টায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার ৭২ ঘণ্টা সময় পার হয়েছে। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শে পর্যবেক্ষণের সময় আরও বাড়ানো হয়েছে।
এমএইচ/এমএমএ/