উন্নয়নের নামে বিএনপিকে ধ্বংস করার চেষ্টায় সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশ থেকে বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের উচ্ছেদ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সরকার। সরকার উন্নয়নের নামে মূলত বিএনপি-কে ধ্বংস করার কাজই নিষ্ঠার সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় বরগুনায় আমতলীতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে পুলিশ বিনা উস্কানিতে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার নিজেদের টিকিয়ে রাখতে মরণকামড় দিতে শুরু করেছে। তবে এভাবে সর্বনাশা হিংসার আশ্রয় নিয়ে সরকার নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না। কারণ জনগণ এখন সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন প্রতিরোধে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত উল্লিখিত নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুমের ধারাবাহিকতায় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে নিয়মিত চেকআপের জন্য ভারতে যেতে বাধা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আলালকে বিমানবন্দরে যাতে বাধা দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে হাইকোর্টের অনুমতি এবং চিকিৎসার কাগজপত্র দেখানোর পরও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবিক বিষয়কে আমলে না নিয়ে বিদেশ যেতে বাধা প্রদানে আবারো প্রমাণিত হলো-সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে তিলে তিলে নিঃশেষ করতে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে সুচিকিৎসায় বাধা দেওয়া বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর একটি জঘন্য মানবতাবিরোধী কাজ। আমি সরকারের এই ন্যাক্কারজনক ও নিষ্ঠুর কর্মকান্ডে ধিক্কার জানাই, প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে আলালকে ভারতে চিকিৎসার জন্য যেতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাই।
ভারতে চিকিৎসার নিয়মিত চেকআপের জন্য গত ১২ জুন ২০২২, বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে সস্ত্রীক ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে অমানবিক, ন্যাক্কারজনক ও সরকারের একরোখা নীতিরই বহিঃপ্রকাশ উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিছেন মির্জা ফখরুল।
এমএইচ/এএস