খালেদা জিয়া ভালো নেই: গয়েশ্বর
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভালো নেই এমনটা জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া কেমন আছেন, আপনারা যতটুকু জানেন আমিও ততটুকুই জানি। তার চেয়ে বেশি জানি না। কারণ আমি চিকিৎসক নই।’
মঙ্গলবার (১৪ জুন) নয়াপল্টন ভাসানী ভবনে এক ম্মরণ সভায় সাংবাদিকরা তার কাছে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন ও সংসদ সদস্য বাহারের এলাকা ত্যাগ না করার বিষয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রয়াত বিএনপির নেতা গৌতম চক্রবর্তী স্মরণে এ সভার আয়োজন করে কৃষক দল।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘যেখানে আমরা আমাদের নেত্রীকে দুই নয়ন দেখতে পারি না, অথবা তার আশপাশের বারান্দায় দাঁড়িয়েও একটু কষ্ট লাগব করার সুযোগ পায় নাই। সেখানে পত্রপত্রিকায় তার চিকিৎসা সম্পর্কে চিকিৎসকের মাধ্যমে যে কতটুকু আসে, এরচেয়ে বেশি জানার সুযোগ আমার নেই।’
তিনি বলেন, ‘তবে ম্যাডাম যে ভালো নেই, সেটা আপনারা বোঝেন, আমরা বুঝি। সেই কারণে আমরা উনার জন্য কিছু করতে পারি আর না পারি, তার জন্য দোয়া করে যাচ্ছি। সৃষ্টিকর্তা যেন জনগণের দোয়া কবুল করেন। তিনি যেন সুস্থ থাকেন।’
সীমিত চিকিৎসার মাধ্যমে খালেদা জিয়া যেন সুস্থ হয়ে বিএনপির মাঝে ফিরে আসতে পারেন তার জন্য দোয়াও চান গয়েশ্বর।
আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং নির্বাচনের আগে স্থায়ী সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার নির্বাচনী এলাকা না ছাড়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব নিয়ে বিএনপির কোনো মন্তব্য নেই বলে জানান গয়েশ্বর।
তিনি বলেন, বাহারকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন অসহায়ত্ব প্রকাশ করল নাকি অন্তোষ প্রকাশ করল এতে আমার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। কারণ নির্বাচনের আচরণবিধি সরকার ভালো করেই জানে।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, বাহার একজন সংসদ সদস্য। সংসদ সদস্য হচ্ছে সরকারের অংশ। সুতরাং সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তাকে সেখানে থেকে এবং অপরাধ থেকে বিরত রাখা। নির্বাচন কমিশন অহায়ত্ব প্রকাশ করলে, বাহারের কুমিল্লা থাকা সেটাও সরকারের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন নিয়ে আমরা দলীয়ভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চাই না। কারণ আমরা এই সরকারকে স্বীকার করি না।
সরকার জোর করে ক্ষমতা দল করে আছে বলে দাবি করে গয়েশ্বর বলেন, তাদেরকে গদিচ্যুত করা আমাদের প্রধান কাজ। আর সেইদিনই এই দখলদারকে মুক্ত করত পারব, সেইদিনই নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলব।
স্মরণসভায় বক্তব্য দেন কৃষক দলের সভাপতি হাসান জারিফ তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।
এমএইচ/এমএমএ/