‘খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে এ মন্তব্য করেন তিনি।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামানায়’ এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
নজরুল ইসলাম বলেন, এই সরকার টিকবে না। কিন্তু আমাদের অপেক্ষা করার সময় খুব কম। আমাদের নেত্রীর উপযুক্ত চিকিৎসা খুব দ্রুত দরকার। সেই কারণে বিএনপি এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, যাতে দ্রুত তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু খালেদা জিয়াকে তারা ভয় পায়। কারণ খালেদা জিয়া তাদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। আর খালেদা জিয়া না থাকলে তাদের খুব সুবিধা হয়। সেজন্য তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
গত কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়ার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, গভীর রাতে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কোনো ডাক্তার কিছু করতে সাহস পাননি। পরের দিন সকালে মেডিকেল বোর্ড বসেছে। আর শুধু এভারকেয়ার হাসপাতালের নয় অন্যন্যা হাসপাতাল থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নেওয়া হয়েছে। তারা একত্রিত হয়ে এনজিওগ্রামের রির্পোট দেখে তৎক্ষণাৎ তার হার্টে রিং পরিয়েছে। আর যেকোনো সময় যেকোনো কিছু ঘটে যেতে পারে।
খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা একটা মানবিক ব্যাপার, এটা একটা চিকিৎসার ব্যাপার। এটা একটা আইনেরও ব্যাপার। আর তার যেখানে চিকিৎসা দরকার সেখানে হবে। এটা একটা দেশের মানবিক ও নাগরিক অধিকার।
নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা এখন এক জালিম সরকারের অধীনে। যেখানে কোনো ন্যায় নেই। ক্রমাগত সব অন্যায় চলছে। যেখানে কোনো সুবিচার নেই। অবিচারই এখনকার নিয়ম। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট ও দুর্নীতি করে অনেকেই বড় বড় পদে বসে আছেন। অনেকেই সমাজে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। আর দুই কোটি টাকা তছরুপের মিথ্যা অভিযোগে খালেদা জিয়াকে কারাগারে অবরুদ্ধ আছেন!
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দোয়া করি, আল্লাহ যেন খালেদা জিয়াকে দ্রুত সুস্থ করে দেন। তিনি বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে সাহসী এবং সক্ষম নেত্রী। আমরা চাই উনি সেই দায়িত্ব আবার গ্রহণ করুক।
এমএইচ/আরএ/