আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় পরবর্তী গতিপথ নির্ধারিত হবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শুরুতে যার যার অবস্থান থেকে আন্দোলন শুরু করা হবে, আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সময়ে গতিপথ নির্ধারিত হবে।
রবিবার (১২ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় খালেদা জিয়ার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপ শেষে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানী চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. আজহারুল ইসলামের ১০ সদস্য প্রতিনিধি দলে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম মিন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. নুরুল আমিন, ভাইস-চেয়ারম্যান গাজী আমিন উল্লাহ,
উপদেষ্ঠা মো. আলতাফ হোসেন, অতিরিক্ত মহাসচিব এ্যাডভোকেট মো. আকমল হোসেন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ন্যাপ ভাসানী মো. আজমল হোসেন, সভাপতি যুব ন্যাপ মো. শাহিন আলম, সাধারণ সম্পাদক মো. আয়নাল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাকিব মিয়া, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন ন্যাপ মো. লুৎফর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-এর নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য ও ২০ দলীয় জোট সমন্নয়ক নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টায় আমরা যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছি তারই ধারাবাহিকতায় আজ ন্যাপ ভাসানী দলের সঙ্গে সংলাপ করেছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। একমত হয়েছি যে- আওয়ামী লীগ সরকার যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে, বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে যারা ধ্বংস করে ফেলেছে এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের যে পথ, সেই পথকে তারা সম্পূর্ণ ভাবে রুদ্ধ করে দিয়েছে। সেই কারণেই আজকে একটি গনঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে এদেরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে, পদত্যাগে বাধ্য করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংলাপে আমাদের মূল যে দাবিগুলো রয়েছে-গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়া তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। যাকে আজকে চিকিৎসার জন্য সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, তার মুক্তি, মিথ্যা মামলায় তারেক রহমানকে যেভাবে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে, ৩৫ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে সেই মামলা প্রত্যাহার। এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা, সংসদকে বিলুপ্ত করা, সেইসঙ্গে নির্বাচনকালীন সময়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে যে দল গুলো নির্বাচিত হয়ে আসবে তাদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠিত হবে বলে আমাদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। এইসব বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি এবং একমত হয়েছি যে-জনগণের একটি আন্দোলন গড়ে তোলা, সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা। সে জন্য আমরা একটি দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে যুগপৎ আন্দোলনের দিকে অগ্রসর হওয়া।
এমএইচ/এমএমএ/