যুদ্ধ করেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব: গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সত্যের জয় অনিবার্য, ভয়ের কোনো কারণ নেই। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কর্মী, যে দলের জন্ম একজন সৈনিকের হাতে। যুদ্ধই আমাদের ধর্ম, যুদ্ধ করেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।
শুক্রবার (১১ মার্চ) বগুড়া জেলা বিএনপির সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে জাতীয় সঙ্গীত ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে দলীয় প্রতাকা উত্তোলন ও শান্তির পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি বগুড়া সদর বিএনপির এই সম্মেলনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে সাংগঠনিক সাত বিভাগের সাতজন সাংগঠনিক ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অংশ নেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আজকের এই সম্মেলনে সবার আস্থা জন্মেছে যে ভোট দিতে পারব, সে কারণে সবাই এসেছেন। জাতীয় নির্বাচনেও মানুষের মধ্যে ভোটাধিকারের আস্থা ফেরাতে হবে। আজকে এই সম্মেলন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি মডেল। সরেজমিনে দেখার জন্য আপনাদের এখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এনেছেন। এখানে উপস্থিত বিভিন্ন বিভাগ থেকে আমন্ত্রিত সাংগঠনিক সম্পাদকরা আগামী দিনে এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কমিটি গঠন করবেন বলে আশা করি।
তিনি বলেন, এখন স্বপ্ন দেখার বা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় নয়, এখন বাস্তবায়ন করার সময়। এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে তার প্রমাণ দিতে হবে। হাত তুলে জনগণকে দেখাতে হবে আমরা জিয়ার সৈনিক, খালেদা জিয়ার সৈনিক, সৈনিক তারেক রহমানের, আমরা একটা ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আসুন আমরা যুদ্ধটা শুরু করি, সহসাই যুদ্ধ শেষ হবে। সরকারের আয়ু বেশিদিন নেই। আমাদের মাঠে নামতে হবে। তা না করলে সরকার থাকবে। তারা পাচার করতে থাকবে। বিভিন্ন দেশে মূদ্রার ছড়াছড়ি। বাংলাদেশের মূদ্রা যারা বিদেশে পাচার করে তাদের বাংলাদেশে থাকার অধিকার থাকতে পারে না। অবশ্য ক্ষমতায় না থাকলে তো থাকতেও পারবে না।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনারা জানেন আমাদের নেত্রী বিনা অপরাধে শেখ হাসিনার নির্দেশে আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত চার বছর ধরে, এখনও তিনি মুক্ত নন। এখনও তিনি চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এর চেয়ে নিষ্ঠুর আচরণ কী হতে পারে, বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুবাই সফরের উদ্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে গয়েশ্বর বলেন, তিনি যতবার বিদেশে যান, একগাদা প্রচারযন্ত্র সঙ্গে নিয়ে যান এবং কর্ম ব্যস্ততা প্রচার করেন। কিন্তু আজ তিনদিন ধরে তিনি সেখানে কী করছেন তা জানা যায়নি। বিভিন্ন সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে, মানুষের কানে কানে আকাশে বাতাসে নানা কথা শোনা যায়। আমি জানি না সত্য নাকি মিথ্যা। কিন্তু সবাই জানে, শুধুমাত্র আমরা না জানার ভান করে বসে আছি।
তিনি বলেন, এই সরকারের দুঃশাসন গুম, খুন ও মূদ্রা পাচারে জন্য প্রধানমন্ত্রী নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন। এটা অপমানের এবং লজ্জার। আমরা সব জীবের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মানুষ। এই অপমান থেকে মুক্ত হতে হলে এই সরকারের পতন অনিবার্য। এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। দুর্নীতি দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে হলে এই সরকারকে হটাতে হবে।
সোলায়মান আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন— বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, মোস্তাক মিয়া, বিলকিস জাহান শিরীন, শামা ওবায়েদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ওবায়দুর রহমান চন্দন, বিএনপি নেতা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জিএম সিরাজ এমপি, মোশাররফ হোসেন এমপি, রেজাউল করিম বাদশা প্রমুখ।
এমএইচ/আরএ/
