গণআন্দোলনের বিকল্প নেই: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকলে জনকল্যাণের প্রতি তাদের একটা দায়িত্ববোধ থাকত। তখন সরকার এক লাফে ৫১ শতাংশ জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি না করে বিকল্প পথে বিষয়টির সমাধান করতে চেষ্টা করত। সরকারের ভেতরে অসাধু এক ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি কাজ করেছে যা আতঙ্কের কারণ।
সোমবার (২২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি আয়োজিত ‘দুর্নীতি জ্বালানি সংকটের উৎস’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বর্ষিয়ান এই নেতা।
তিনি বলেন, সরকারের নিশিরাতের সিদ্ধান্তে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা এই সরকারের পক্ষে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। কেননা এদের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সরকার জনকল্যাণের চেয়ে তাদের নিজস্ব দলীয় ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের স্বার্থকে অতিমাত্রায় প্রাধান্য দেওয়ায় সাধারণ জনগণের কাঁধে সমস্ত আর্থিক বোঝা চেপে বসেছে।
অবিলম্বে প্রবল গণ আন্দোলন গড়ে তুলে এই অবৈধ লুটেরা সরকারকে বিতাড়িত করতে হবে দাবি করে বিএনপি এই নেতা বলেন, প্রতিষ্ঠা করতে হবে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তার অধীনে রাতে নয়, নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে সকলের গ্রহণযোগ্য একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে সত্যিকার অর্থে একটি জনগণের সরকার। তাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের অধিকার আদায়ে সর্বাত্মকভাবে গণ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার বিকল্প নেই।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক এমনকি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাও হুমকির সম্মুখীন। সমগ্র বাংলাদেশ আজ এক ভয়ঙ্কর শুকুনের ছোবলে বাকরুদ্ধ। জনগণের মাঝে ভয়ানক এক ভয়ের সংস্কৃতি ছড়িয়ে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার একে একে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে চলেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ।
এসএন