শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিয়েছে: খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ আজকে কোন রাজনৈতিক দল নেই, এরা বিক্রি হয়ে গেছে অফিসারদের কাছে, পুলিশের কাছে, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীর কাছে। এদের কোন রাজনৈতিক ভবিষ্যত নেই। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আমাদেরকে বলীয়ান করেছে, শক্তিশালী করেছে, ইমানদার করেছে। এই জন্যই আমাদের আগামী নির্বাচনে জয় হবে। তাদের পরাজয় হতে বাধ্য। অপশক্তি, দুর্নীতিবাজ, কর্তৃত্বপরায়ণ কোন দিন জনগণের সামনে দাঁড়াতে পারেনা।

শনিবার (২৭ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে অধীনস্থ আদালত ও সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশী হয়রানি, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে নোয়াখালী প্রেসক্লাব সড়কে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় ও জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি এর সভাপতিত্বে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

খসরু বলেন, আমেরিকার ভিসা নীতিমালা এসেছে। তারা বারবার বলার পরও সরকার তাদের কথা শুনছেনা। সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করছে, নিপীড়ন নির্যাতন চালাচ্ছে। গুম, খুন, মিথ্যা মামলা বন্ধ হচ্ছেনা। সুতরাং ভালো হয়ে যাওয়ার জন্য সাত মাস আগে স্যাংশন দিয়েছে আমেরিকা। যাতে করে বাংলাদেশের মানুষ নির্দ্বিধায় নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। তারা যাতে নির্বিঘ্নে সভা সমাবেশ করতে পারে। সরকার যেন বাক স্বাধীনতা বন্ধ করতে না পারে। গণমাধ্যমের বাক স্বাধীনতা, সুশীল সমাজের বাক স্বাধীনতা, বিরোধী দলের বাক স্বাধীনতা বন্ধ করতে না পারে। যাতে করে প্রত্যেকটি ভোটার মুক্ত পরিবেশে রাস্তায় থেকে তার নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে।

আমির খসরু আরও বলেন, আমেরিকার স্যাংশন প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী আবোল তাবোল বকাবকি করছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ইঙ্গিত করে বলেন, আপনাদের এলাকার কিছু মন্ত্রীও আছে। এ সমস্ত নাম আমি মুখে আনিনা। আপনারাও আনবেননা। আমাদের সময়ের দাম আছে, সময় নষ্ট করবেননা। আমাদের হাতে অনেক কাজ আছে। বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনার পতনের পরে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হবে,শুধু বিএনপি নয়, এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ ওই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে। অংশ গ্রহণ করে অনির্বাচিত শেখ হাসিনা সরকারের পতন করে ১৮ কোটি মানুষ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে। এ অনির্বাচিত সরকারকে সাগরের ঢেউয়ের মত ভাসিয়ে নিয়ে যাবে জনগণ।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ওরা জানে এ জন্য তলে তলে কাজ করছে যেন তাদের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে। এ খেলা চলবেনা। সরকারের কিছু দালাল গণমাধ্যমে আছে, রাজনীতির মাঠে কিছু দালাল আছে, পেশাজীবীদের মধ্যে কিছু দালাল আছে, তথা কথিত বুদ্ধিজীবী আছে। এরা শুধু কোন মতে বিএনপিকে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে নিয়ে যাওয়ার জন্য তালবাহানা করছে। পরিষ্কার করে বলতে চাই, শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশের কোন নির্বাচনে বিএনপি যাবেনা। বিএনপি না গেলে তারা নির্বাচন করুক।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমাদের সাথে বাংলাদেশের জনগণ আছে। তাদের সাথে আছে আওয়ামী পুলিশ, আওয়ামী সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী, আওয়ামী দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবীদ। যে দেশের মানুষ নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য সিন্ধান্ত নিয়ে ফেলে সে দেশের মানুষের সামনে কেউ দাঁড়াতে পারেনা। বাংলাদেশের মানুষ সিন্ধান্ত নিয়েছে শেখ হাসিনার অনির্বাচিত সরকারকে বিদায় দেওয়ার জন্য। আমরা কেন জিতব জানেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা জ্বলে পুড়ে খাটি সোনায় পরিণত হয়েছে। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লুটপাট করে পেট বড় হয়ে গেছে। পেটের ওজনে তারা হাঁটতে পারছেনা। আর আমরা সবাই ফিট। ফিট পর ফাইট।

আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের প্রসঙ্গ টেনে এ নেতা বলেন, তাদের শান্তি সমাবেশে আছে কেউ। শান্তি সমাবেশে যতজন আওয়ামী লীগের লোক তার থেকে পুলিশ বেশি। কি একটা অবস্থা, কি দূর অবস্থা, কি অসহায় অবস্থা। আগামী দিনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টি করতে হবে। গণতান্ত্রিক অর্ডার, নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তারপর থেকে শুরু হবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া। আমি আগেও বলেছি বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে যাবে। তবে আমরা অবশ্যই জয়ী হব। যারা জিতবেনা তারা নির্বাচনে ভোট চুরির প্রকল্প করেছে। এসব প্রকল্প ভেঙ্গে দিতে হবে, স্বমূলে ধ্বংস করে দিতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপি ওই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে। লেভল প্লেয়িং করার জন্য অবশ্যই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। যত কারাবান্দি আছে সবাইকে মুক্তি দিতে হবে।

অবৈধ অস্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র যাদের আছে তারা এমনিতেই পালিয়ে যাবে। যারা অস্ত্র বহন তারা সব চেয়ে বড় ভিতু। আমাদের অস্ত্র হচ্ছে মনোবল। আপনারা মনোবল নিয়ে এগিয়ে যাবেন অস্ত্রবাজ পালিয়ে যাবে। যারা এই ন্যায় নীতির আন্দোলনকে বাধা গ্রস্থ করবে তারাও পালিয়ে যাবে।

দ্রব্যমূল্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আজকে দু'বেলা খেতে পারছেনা। ৩০ শতাংশ লোক দু'বেলা খেতে পারছেনা, ৬০ শতাংশ লোক ধারদেনা করে চলছে। অনেকে দু'বেলার মধ্যে এক বেলা মাছ খেতে পারে। অনেকে সপ্তাহে একবার মাছ খেতে পারে। এ পয়সা কোথায় যাচ্ছে। আওয়ামী সিন্ডিকেটের পকেটে, ব্যাংক, শেয়ার বাজার, লুটপাটের টাকা যাচ্ছে আওয়ামী সিন্ডিকেটের পকেটে। এই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতে হবে। আজকে তারেক রহমানের নেতৃত্বে লক্ষ জনতা রাস্তায় নেমেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে, আমাদের ১৭জন নেতাকর্মীকে মেরে ফেলা হয়েছে। এসব কর্মের সাথে যারা জড়িত তাদের তালিকা করুন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য জয়নাল আবেদিন ফারুক, বিএনপি যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ গোলাম মোমিত ফয়সাল প্রমূখ।

/এএস

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত