রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘প্রধানমন্ত্রী ঈদের দিনেও সত্যের অপলাপ করেছেন’

অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ঈদের দিনেও যা বলেছেন তা সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

তিনি বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ঈদের দিনেও যা বলেছেন তা সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। মিডনাইট নির্বাচনের অনৈতিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ায় মানুষ এখন গ্রামে গ্রামে আনন্দ ঈদের আনন্দ উপভোগ করছেন। শুধু গ্রাম নয়, গ্রাম-শহরের মানুষের মনে যে ঈদের আনন্দ নাই।’

সোমবার (২৩ এপ্রিল) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘জনগণের নির্বাচিত সরকার হলে বা জনসম্পৃক্ত সরকার থাকলে তারা উপলব্ধি করত। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে প্রহসণের ও জনবিচ্ছিন্ন সরকারের পক্ষে তা উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। শতভাগ বিদ্যুতায়নের মিথ্যা দাবী করা সরকারের মিথ্যা উন্নয়ন কেমন তা গ্রাম-শহরের মানুষ হারে হারে টের পাচ্ছে। তীব্র দাবদাহ প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুতের অভাবে বার বার লোডশেডিং এ গ্রাম-শহরের মানুষের জীবন যখন নাকাল, তখন ঈদের দিনে প্রধানমন্ত্রীর এহেন মিথ্যা দাবি জনগণের সাথে নির্মম রসিকতা ছাড়া আর কিছুই না। ঘরে ঘরে আজ বিদ্যুৎ নাই। ঘরে ঘরে অন্ধকার নেমে এসেছে।’

প্রিন্স বলেন, ‘রমজান মাসে এবং ঈদের আগ মুহূর্তেও ক্ষমতাসীন কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকার দমন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদকে গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

তিনি বলেন, রিজভী আহমেদ শারীরিকভাবে অসুস্থ। কারাগারে তাকে সু-চিকিৎসা দেওয়া হয় নাই। পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে বার বার তাকে বিশেষায়িত কোন হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়ার আহ্বান করা হলেও, সরকার তা করে নাই। বার বার তাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি করা হলেও ফ্যাসিবাদী সরকার মুক্তি দেয় নাই। সকল মামলায় জামিন থাকলেও অন্যায়ভাবে ঠুনকো কারণে তাকে ঈদের আগে মুক্তি দেওয়া হয় নাই। এটা সরকারের কর্তৃত্ববাদী প্রতিহিংসার রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ।’

তিনি মরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে রিজভী আহমেদ এর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

এমরান সালেহ বলেন, ‘ঈদের একদিন আগে অর্থাৎ ২০ এপ্রিল রাতে তারাবি নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সভাপতি এ এ জহির উদ্দিন তুহিনকে পুলিশ বিনা কারণে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। গত ১০ এপ্রিল নামাজের পর বাড্ডা থেকে সাদা পোষাকধারীরা জিয়া মঞ্চের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়ালকে তুলে নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে আমরাও এ ব্যাপারে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং চিন্তিত। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সভাপতি এ এ জহির উদ্দিন তুহিন এর নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করছি। আমরা অবিলম্বে জিয়া মঞ্চের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়ালকে জনসম্মুখে হাজির করারও দাবী জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘ঈদের আগেও সরকার মিথ্যা মামলা বন্ধ করে নাই। গত ২০ এপ্রিল ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার সহ ও তার ভাই যুবায়ের হোসেন তালুকদারসহ তারাকান্দা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১১ নেতা-কর্মীর নামে ও ১০/১২ জন অজ্ঞাত উল্লেখ করে মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দায়ের করা হয়। আমরা অবিলম্বে মোতাহার হোসেন তালুকদারসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানি বন্ধের দাবি করছি।’

তিনি বলেন, ‘গ্রাম ও শহরে বিদ্যুৎ সংকট এতটাই তীব্র ও প্রকট যে, প্রচণ্ড গরমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০/১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় মানুষ দিনাতিপাত করছে। বিদ্যুৎ সংকটের প্রভাবে কল, কারখানায় এবং কৃষিতে পড়েছে। প্রচণ্ড খরতাপের ফসলের জমি ফেটে চৌচিড় হয়ে যাচ্ছে, বিদ্যুৎতের অভাবে মানুষ জমিতে পানি দিতে পারছে না, ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় কৃষকের মাথায় হাত। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতিতে মানুষ দিশেহারা। রমজান মাস এমনিক ঈদেও মানুষ পরিবার,পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।’

রোজার আগে সরকার বলেছিল, রোজার মাসে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়বে না। বাস্তবতা হচ্ছে, রোজার মধ্যেও প্রতিদিন প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে, এমনকি ঈদের আগের দিনও বেড়েছে। কাপড়ের দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ঈদের মধ্যে খেটে খাওয়া স্বল্প আয়ের মানুষ, মধ্যবিত্তরাও পরিবারের সদস্যদের ঐতিহ্যগত ঈদ উপহার দিতে পারেনি।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ব্যর্থ হওয়া সরকার মিথ্যা অযুহাতে সারের দাম বৃদ্ধি করেছে। বিশ্ববাজারে সারের দাম যখন ৬২ থেকে ২৫ শতাংশ কমে গেছে, সরকার তখন তাদের অব্যবস্থাপনা, অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্ত, দুর্নীতি, লুটপাট আড়াল করতে বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির মিথ্যা কথা বলে বাংলাদেশেও সারের দাম বৃদ্ধি করেছে। মিথ্যাচারের উপর দাঁড়িয়ে থাকা সরকারের সিরিজ মিথ্যাচারে এ এক নতুন সংযোজন।’

বঙ্গবাজার ও নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এবার ব্যবসায়ী, কর্মচারীদের ঈদ উৎসব বলে কিছু ছিল না। বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা বার বার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের পর্যাপ্ত সহযোগিতার দাবি করেছিলাম, কিন্তু সরকার তা করেনি।

গ্রাম গঞ্জে মানুষের আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠার প্রধানমন্ত্রীর দাবি যে, কতটা অবাস্তব, তা সহজেই অনুমেয়। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনাসহ দুঃশাসনে মানুষের মনে কোনো আনন্দ-উৎসব নেই, যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোট চুরি করে যারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রেখেছে, তারা উন্নয়নের নামে দুর্নীতি, লুটপাট করে বিদেশে অর্থপাচার করে দেশ-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। বর্তমানে দুর্নীতিবাজরাই ক্ষমতায় আছে এবং সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। আন্দোলনে ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে জনগণ তাদের পরাস্ত করবে এবং দুর্নীতি-লুটপাটের বিচার করবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণ এই সরকারকে বিশ্বাস করে না, এই সরকারের প্রতি কোন আস্থাও নাই। তাই গণতন্ত্রবিরোধী, ভোটাধিকার হরণকারী সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং নতুন, নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক, গ্রহনযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন গণ-দাবিতে পরিনত হয়েছে।

যত তাড়াতাড়ি ক্ষমতাসীনরা এই দাবি মেনে নিবে, ততই তাদের জন্য মঙ্গল, জনগণেরও মঙ্গল হবে। অন্যথায় গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণ-বিচ্ছিন্ন ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় নিতে হবে।

এমএইচ/এমএমএ/

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি