সরকারের টার্গেট বিএনপি: মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগকে অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আসলে আওয়ামী লীগ ৭২-৭৫ সালেও তিন বছর দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। তারা সে সময় একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। তারা অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা। তারা বাংলাদশকে আবারও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর লেডিস ক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) উদ্যোগে এই দোয়া ও ইফতার মাহফিল এবং বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেডআরএফের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে পিছিয়ে যাচ্ছে। জিয়াউর রহমান দেশের অর্থনীতি যখন সচল করেছিলেন। দেশের মানুষ যখন পায়ে দাঁড়াচ্ছিল তখন আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা পূর্বের ন্যায় আবারও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এ থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। তারা আমাদেরকে সবসময় বলেন আমরা নাকি মিথ্যা কথা বলি। তিনি আজকেও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলে দিলেন যে এসব আগুন লাগার ঘটনায় বিএনপি জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি তদন্তের আগেই বলে দিলেন। তার মানে তদন্তটা সেভাবেই করতে হবে। এভাবে তারা বিএনপিকে টার্গেট করছে।’
তিনি বলেন, ‘এ সরকার কাছে দেশ ও জনগণ নিরাপদ নয়। সরকারের ব্যর্থতায় একের পর অগ্নিকাণ্ড ঘটছে। অথচ সরকার তা সঠিক তদন্ত না সব জায়গায় ষড়যন্ত্র দেখেন।’
বিএনপির মহাসচিব পেশাজীবী নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আজকে সকল দেশপ্রেমিক জনতাকে ফের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। বিএনপি ঘোষিত দশ দফার মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করাতে হবে। কেননা তারা রাষ্ট্রকে ভেঙে ফেলেছে প্রায়। সে জন্য তারেক রহমান ২৭ দফা ঘোষণা করেছেন। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রকে সংস্কার করতে হবে। জনগণের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে। এরপরই আমাদেরকে জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল বলেন, মানবসেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জেডআরএফ। বিশেষ করে করোনাকালে যেভাবে সহায়তা করেছে সেটা নজিরবিহীন।
জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও ইফতার আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক কাদের গণি চৌধুরী ও সদস্যসচিব ডা. একেএম মাসুদ আক্তার জীতুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ঢাবির সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, সাবেক কেবিনেট সচিব এএসএম আব্দুল হালিম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল হাই শিকদার, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, এ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সংস্কৃতি চর্চা পরিষদের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল। অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ ছবিরুল ইসলাম হাওলাদার।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ড্যাবের সাবেক সভাপতি ডা. একেএম আজিজুল হক, ইউট্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাবি সাদা দলের অধ্যাপক ড আবদুর রশিদ, ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেসানী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, ড্যাবের মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সাংবাদিক নেতা কামাল উদ্দিন সবুজ, আমিরুল ইসলাম কাগজী, মুরসালিন নুমানী, মো. খুরশিদ আলম, বাছির জামাল, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, রাশেদুল হক বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
এমএইচ/এমএমএ/