‘জাতিকে বিভক্ত করে চিরকাল ক্ষমতায় থাকতে চায় সরকার’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আজকে আমাদের মাঝে ঐক্য নেই। ব্রিটিশরা যেমন বিভাজনের মাধ্যমে দেশ শাসন করত। তারা জাতিকে বিভক্ত করে দেশ পরিচালনা করত। তেমনিভাবে আজকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জাতিকে বিভক্ত করেছে। একজনকে অপরের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিয়েছে। তারা এভাবে চিরকাল ক্ষমতায় থাকতে চায়। এখান থেকে বেরিয়ে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর লেডিসক্লাবে এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বরিশালের শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল পরিবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আয়োজকরা জানান, ইফতার মাহফিলটি ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশে লেডিসক্লাবে করা হয়।
বিএনপির ইফতার কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, রমজানের মূল শিক্ষা হলো সংযম। আমি ইফতার করতে গেলে সরকার যদি বাধা দেয় তাহলে সংযম কোথায় রইল? আমি সরকারকে বলব, অন্তত রোজার মাসে আপনারা সংযম হারাবেন না!
তিনি বলেন, আজকে শৃঙ্খলা কাকে বলে সেটা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শিখিয়ে গেছেন। আজকে রাজনীতিবিদরা শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পারে না। অথচ জিয়াউর রহমান শৃঙ্খলা বজায় রেখে রাজনীতি করতেন।
বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান যেভাবে সততা নিয়ে রাজনীতি করত সেভাবে আজকে রাজনীতি করতে হবে। কেননা জিয়াউর রহমানের সততা নিয়ে বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন প্রচ্ছদ এঁকেছিল। আজকে রাজনীতিতে সততা নেই।
ড. মঈন খান বলেন, শুধু তাই নয় দেশপ্রেম কাকে বলে সেটাও দেখিয়ে দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। আজকে দেশে চলছে সাংঘর্ষিক ও মুখোমুখি রাজনীতি। এজন্য কি দেশ স্বাধীন হয়েছিল? আমরা তো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ স্বাধীন করেছিলাম। মনে রাখতে হবে ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। আসুন সেই দেশপ্রেম ফিরিয়ে আনি।
তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশ যে সমস্যার মুখোমুখি সেটা শুধু বিএনপির নয়। এটা দেশের মানুষদের সমস্যা। এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিকল্প নেই।
বিএনপির কেন্দ্রীয় পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সহ-সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল কবির লাবুর সভাপতিত্বে ও ডা. ফারুক আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ডা. সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. একেএম আজিজুল হক, অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন, অধ্যাপক ডা. শহীদুল আলম, ডা. শহীদ হাসান, অধ্যাপক ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিস সিমকী, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ডা. রফিকুস সালেহীন, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. আজহারুল ইসলাম, ডা. আকরাম হোসাইন, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, ডা. সাজিদ প্রমুখ।
এমএইচ/এসজি
