মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘জাতিকে বিভক্ত করে চিরকাল ক্ষমতায় থাকতে চায় সরকার’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আজকে আমাদের মাঝে ঐক্য নেই। ব্রিটিশরা যেমন বিভাজনের মাধ্যমে দেশ শাসন করত। তারা জাতিকে বিভক্ত করে দেশ পরিচালনা করত। তেমনিভাবে আজকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জাতিকে বিভক্ত করেছে। একজনকে অপরের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিয়েছে। তারা এভাবে চিরকাল ক্ষমতায় থাকতে চায়। এখান থেকে বেরিয়ে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর লেডিসক্লাবে এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বরিশালের শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল পরিবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আয়োজকরা জানান, ইফতার মাহফিলটি ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশে লেডিসক্লাবে করা হয়।

বিএনপির ইফতার কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, রমজানের মূল শিক্ষা হলো সংযম। আমি ইফতার করতে গেলে সরকার যদি বাধা দেয় তাহলে সংযম কোথায় রইল? আমি সরকারকে বলব, অন্তত রোজার মাসে আপনারা সংযম হারাবেন না!

তিনি বলেন, আজকে শৃঙ্খলা কাকে বলে সেটা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শিখিয়ে গেছেন। আজকে রাজনীতিবিদরা শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পারে না। অথচ জিয়াউর রহমান শৃঙ্খলা বজায় রেখে রাজনীতি করতেন।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান যেভাবে সততা নিয়ে রাজনীতি করত সেভাবে আজকে রাজনীতি করতে হবে। কেননা জিয়াউর রহমানের সততা নিয়ে বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন প্রচ্ছদ এঁকেছিল। আজকে রাজনীতিতে সততা নেই।

ড. মঈন খান বলেন, শুধু তাই নয় দেশপ্রেম কাকে বলে সেটাও দেখিয়ে দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। আজকে দেশে চলছে সাংঘর্ষিক ও মুখোমুখি রাজনীতি। এজন্য কি দেশ স্বাধীন হয়েছিল? আমরা তো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ স্বাধীন করেছিলাম। মনে রাখতে হবে ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। আসুন সেই দেশপ্রেম ফিরিয়ে আনি।

তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশ যে সমস্যার মুখোমুখি সেটা শুধু বিএনপির নয়। এটা দেশের মানুষদের সমস্যা। এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিকল্প নেই।

বিএনপির কেন্দ্রীয় পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সহ-সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল কবির লাবুর সভাপতিত্বে ও ডা. ফারুক আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ডা. সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. একেএম আজিজুল হক, অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন, অধ্যাপক ডা. শহীদুল আলম, ডা. শহীদ হাসান, অধ্যাপক ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিস সিমকী, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ডা. রফিকুস সালেহীন, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. আজহারুল ইসলাম, ডা. আকরাম হোসাইন, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, ডা. সাজিদ প্রমুখ।

এমএইচ/এসজি

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চলে: মির্জা ফখরুল  

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবিঃ সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের যোগসূত্রে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। এমন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় শহীদ সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এ কথা জানান তিনি।

ফখরুল বলেন, এ দিনটি সেনাবাহিনীর জন্য কালো দিন। সেনাবাহিনীর শত্রুরা সেদিন ৫৭ জন চৌকস সেনাকে হত্যা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নষ্ট করে দেয়া।

তিনি বলেন, এ দিনটাকে জাতীয় দিবস করায় আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। নিহত সেনা সদস্যদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাই।

Header Ad
Header Ad

৩০০ বলের মধ্যে ১৮১ ডট খেলার ব্যাখ্যা দিলেন শান্ত

নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবিঃ সংগৃহীত

৩০০ বলের মধ্যে ১৮১টি বল ডট দেয় বাংলাদেশ। অর্থাৎ, অর্ধেকেরও বেশি বল ডট গেছে। ১১৯ বলে ২৩৬ রান তুলেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। রান তো করতেই পারেননি, অহেতুক শটে দলের বিপদ বাড়িয়েছেন দুই অভিজ্ঞ মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ।

'এ' গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরে নিজেদের পাশাপাশি পাকিস্তানের বিদায়টাও নিশ্চিত করেছে নাজমুল হোসেন শান্তরা। হারের পর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন এলোমেলো ক্রিকেটের কথা।

শান্ত বলেন, ‘আমরা সিরিজ জিতলেও বেশির ভাগ সময় ঘরের মাঠে জিতি। দেশের বাইরে সিরিজ কমই জেতা হয়। আইসিসি ইভেন্টেও একই অবস্থা। একদিন বোলিং ভালো হয় না, আরেক দিন ব্যাটিং খারাপ হয়, আরেক দিন ফিল্ডিং খারাপ হয়। কেমন যেন এলোমেলো ক্রিকেট হয়। আমাদের এটা থেকে বের হয়ে আসার পথ খুঁজতে হবে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ে সম্মিলিতভাবে ভালো করার উপায় বের করতে হবে।’

২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। কারণ, দুই দলের কারও সামনেই সুযোগ নেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলার।

Header Ad
Header Ad

২০০৭ সালে চাকরিচ্যুত ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ  

ছবিঃ সংগৃহীত

২০০৭ সালে চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরি ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। রায়ে চাকরিতে বহাল করে তাদের সব সুযোগ-সুবিধা দিতে বলা হয়েছে। এদের মধ্যে যেই তিন কর্মকর্তা মারা গেছেন মামলা চলাবস্থায় তাদের পরিবারকেও সুযোগ সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি পৃথক আবেদনের শুনানি শেষে চাকরিচ্যুত ৮৫ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহাল করা হবে কিনা, সে বিষয়ে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।

আদালতে আপিলকারী পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন এবং প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় (রিভিউ) পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও মো. রুহুল কুদ্দুস।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নির্বাচিত করা হয়।

চার দলীয় বিএনপি–জামায়াত জোট সরকারের আমলে এই নিয়োগ নিয়ে তখন বিতর্ক দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ৩২৭ জনের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮৫ জনকে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়। এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা মামলা করলে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা খারিজ করে রায় দেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে তারা আপিল করেন। এই আপিল মঞ্জুর করে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল আপিল মঞ্জুর করে চাকরিতে পুনর্বহালের পক্ষে রায় দেন।

এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক চারটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়। এরপর ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল বিভাগের চোম্বার বিচারপতির আদালত প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। পাশাপাশি বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে সরকারপক্ষ পৃথক আপিল করে।

২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর পুনর্বহাল করতে প্রায় এক যুগ আগে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সিদ্ধান্ত বাতিল করেন আপিল বিভাগ। ফলে তাদের চাকরিতে ফেরত আটকে যায়। পরে ২০২৩ সালে আপিল বিভাগের রায় রিভিউ চেয়ে তারা আবেদন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চলে: মির্জা ফখরুল  
৩০০ বলের মধ্যে ১৮১ ডট খেলার ব্যাখ্যা দিলেন শান্ত
২০০৭ সালে চাকরিচ্যুত ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ  
সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ তিন বাহিনীর প্রধানরা  
বাংলাদেশ ক্রিকেট খুব শীঘ্রই জিম্বাবুয়ের স্তরে নেমে আসবে: দিনেশ কার্তিক  
৪০ থেকে ৭০ দিনের লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  
ওয়াশিংটনে পেন্টাগন প্রধান ও সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ  
চুয়াডাঙ্গায় গ্রাম আদালত বিষয়ক ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন 
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই  
যুবদল নেতার বাড়িতে বোমা হামলা-অগ্নিসংযোগ, আহত ১  
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো কলকাতা-ওড়িশায় ভূমিকম্প, অনুভূত হলো ঢাকাতেও
নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাংলাদেশের বিদায়
নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা না হলে ঈদের পরে আন্দোলন: বিএনপি নেতা হারুন
জেল থেকে পালালেন আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, ফাইয়াজের দাবি
তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে শুক্রবার
বিভেদের সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
সাজেক ইকো ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পর্যটন নিষেধাজ্ঞা
রোজা সামনে রেখে খেজুরের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ!
সন্ধ্যার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা টের পাবেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিমান ঘাঁটিতে হামলা ও যুবক নিহতের ঘটনার ব্যাখ্যা দিল আইএসপিআর