‘বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে আওয়ামী লীগ জড়িত থাকার সম্ভাবনা আছে’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যদি প্রকৃত ও নিরপেক্ষ তদন্ত হয় তাহলে বঙ্গবাজারের সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত আছে এমনটা বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা আছে। কারণ শুনতে পাচ্ছি আওয়ামী লীগের একটি প্রভাবশালী মহল ওইখানে (বঙ্গবাজার) বহুতল মার্কেট নির্মাণের কথা জানিয়ে ছিলেন।
গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে দেশে যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই নির্বাচনগুলো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য অংশীদারিত্বমূলক হয়নি। আমরা তো দেখতে পাচ্ছি ক্ষমতাসীন সরকার তাদের যে লক্ষ্য তা হচ্ছে আগের কায়দায় নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাবে। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই জাতিসংঘ চিন্তিত। কারণ জাতিসংঘ মনে করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছিল সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক সেটা দায়িত্ব মনে করছে। এটা তাদের দায়িত্বের মধ্যেও পড়ে।
বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনের কথা বলছে, সামনে নির্বাচনও হঠাৎ করে সংসদীয় বিরোধী দলের নেতারা আপনাদের সঙ্গে এক টেবিলে, এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা ছিল সামাজিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান (ইফতার পার্টি)। একে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান ভাবার সুযোগ নেই।
‘সরকার একতরফা নির্বাচনের পথেই হাঁটছে’
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকারের যে লক্ষ্য তারা আগের কায়দায় নির্বাচন দেখিয়ে আবার ক্ষমতায় যাবে-সেভাবে তারা পরিকল্পনা করেছে। সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, তারা (সরকার) সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যথেষ্ট। সেই কারণে গতকালও প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তার মুখ দিয়ে তো বেরিয়েছে যে, যদি সবাই অংশগ্রহণ না করে তাহলে সেই নির্বাচনের লেজিটিমেসি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। সুতরাং রিয়েলিটি ইজ দিস যে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হলে এবং বিএনপি যদি সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে আমরা বিরোধী জোটে যারা আছি তারা অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচনের লেজিটিমেসি থাকবে না। দেয়ার ইজ এ রিয়েলিটি। আমরা মনে করি, সরকার আগের মতো একতরফা নির্বাচন করতে চায়। সেজন্য তারা জাতিসংঘের প্রস্তাব (নির্বাচনে সহযোগিতার প্রস্তাব) রিজেক্ট করেছে।
জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, গণআন্দোলন সবসময় একভাবে গড়ে উঠে না। গণআন্দোলন ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হয়। সেই জন্য আমরা সেই গণআন্দোলনে যেতে একটি রূপরেখা কীভাবে তৈরি করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছি। ঈদের পরে ইনশাআল্লাহ দেশবাসী এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। এই সরকারের পতন হবে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত আছে। আগামী দিনে কর্মসূচি কী হবে সেটা নির্ধারণ করতে আমরা বৈঠক করেছি। আমরা বিশ্বাস করি একে অপরের মধ্যে সমন্বয়-বিশ্বাস কাজের গতি আরও বাড়বে, আন্দোলনকে আরও বেগমান করতে পারব।
এমএইচ/এসজি
