সংলাপের প্রয়োজনীয়তা দেখেন না হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অভিনয় শিল্পী সংঘের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকের শুরুতে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সংলাপের প্রয়োজনীয়তাটা কি? নির্বাচনের আয়োজক সংস্থা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তারা (বিএনপি) প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসতে পারে। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। যদিও নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তাদের যদি কোনো জোর আপত্তি থাকে তাহলে তারা সেটা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বলতে পারে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি সরকারের বিদায় তো প্রথম থেকে চাচ্ছে। গত সাড়ে ১৩ বছর ধরে চাচ্ছে। বিডিআর বিদ্রোহ, সেখানে তাদের ইন্ধন ছিল। আমরা সরকার গঠন করার পর থেকেই তারা চাচ্ছে সরকারের বিদায়। সরকারের বিদায় দিতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে এবং তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে হবে। অন্য কোনো উপায়ে বা পথে তো সরকারের বিদায় দেওয়া সম্ভব না গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে। কিন্তু তারা সেটা তে বিশ্বাস করে না। তারা পানি ঘোলা করে মাছ শিকার করতে চায়। সেই সুযোগ তারা পাবে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত বিএনপি দেশে একটা অস্থিরতা তৈরি করতে চায়। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের কর্মকাণ্ড সেটাই প্রমাণ করে। তারা গত ১০ ডিসেম্বর কে ঘিরেও আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছিল। আগামী ১১ তারিখ তারা আবার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেদিনও তারা অস্থিরতা সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা চালাবে। আমরা ১০ তারিখ যেমন সতর্ক পাহারায় ছিলাম, গত ৩০ তারিখে তারা ঢাকায় সমাবেশ ডেকেছিল সেদিন আমরা সতর্ক পাহারায় ছিলাম। ভবিষ্যতে তারা যদি কর্মসূচির নামে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের উচিত জবাব দেব।
তিনি বলেন, অবশ্যই তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে কোনো বাধা নেই। সরকার সে ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে এবং করবে। কিন্তু তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সহিংসতা করার অপচেষ্টা চালালে সেটি জনগণ প্রতিহত করবে এবং জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পাহারায় থাকবে।
বৈঠকে অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম, সাধারণ সম্পাদক রনক হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজু খাদেম, সদস্য মাজনুন মিজান, সঙ্গীতা চৌধুরী, হৃদি হক ও আইনুন পুতুল উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্রে অভিনয় শিল্পীদের জাতীয় পুরস্কারের মত টেলিভিশনে অভিনয়কারী শিল্পী- কুশীলবদের জন্য একটি জাতীয় পুরস্কার প্রবর্তনের চিন্তাভাবনা তারা করছেন।
এনএইচবি/আরএ/