‘পত্রিকা পড়লে মনে হয় বিএনপি দেশ দখল করে নিয়েছে’
সভা সমাবেশের নামে বিএনপি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জাতীয় পতাকার সঙ্গে লাঠি নিয়ে রাস্তায় নামলে জবাব দেওয়া হবে। হাজারীবাগে আওয়ামী লীগের উপরে হামলা হলো আমাদের দলের দুইজন মারাত্মক আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। পত্রিকায় নিউজ নেই। বিএনপির সংঘাতে জাড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগকে উসকানি দেয়। কাভারেজ নেই। সকালে পত্রিকা পড়লে মনে হয় বিএনপি দেশ দখল করে নিয়েছে।’
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোমর ভাঙা বিএনপি হাটুভাঙা বিএনপি এখন লাঠির উপর ভর করেছে। আমি বলছি না, বলেছেন জাফরুল্লাহ। লাঠি নিয়ে খেলা, আগুন নিয়ে খেলা চলবে না।’
লাঠি চলে গিয়েছিল আবার বিএনপি লাঠি ফিরিয়ে এনেছে। লাঠির মাথায় জাতীয় পতাকা বাঁধা আবার বলে লাঠি আরও বড় হবে। কত বড় আস্ফালন। এর জবাব আমরা দেব। যদি জাতীয় পতাকার সঙ্গে লাঠি নিয়ে রাস্তায় নামেন আস্ফালন করেন, জবাব আছে। আমি পরিষ্কার করে বলছি লাঠি নিয়ে খেলা, আগুন নিয়ে খেলা চলবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজপথ কাউকে ইজারা দেয়নি। আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে, রাজপথ কারও পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। রাজপথে আমরা নামব জনগণের জন্য আমাদের উন্নয়নের জন্য। রাজপথ দখল করবেন দেখা যাবে, অপেক্ষায় আছি।
বিএনপি আবারও ২২ দলের জগা খিচুড়ি জোট নিয়ে মাঠে নেমেছে লাঠি নিয়ে। আবার অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ হামলা করে, পুলিশ হামলা করে।
হাজারীবাগে আওয়ামী লীগের উপরে হামলা হলো আমাদের দলের দুইজন মারাত্মক আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। পত্রিকায় নিউজ নেই। বিএনপির সংঘাতে জাড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগকে উসকানি দেয়। কাভারেজ নেই। সকালে পত্রিকা পড়লে মনে হয় বিএনপি দেশ দখল করে নিয়েছে।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ী হবে জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আবারও বিজয়ের বন্দরে আমরা আছি। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে বলব তার আগের যিনি দায়িত্বে ছিলেন সেই জেমস মরিয়ার বক্তব্যটা পড়ার জন্য। জেমস মরিয়া কী বলেছিলেন, তারেক রহমান দুর্নীতির প্রতীক। বাংলাদেশের সহিংস রাজনীতির প্রবর্তক।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে গেছে। এবারের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ। এবারে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য তুলে ধরেছেন আমাদের ক্রাইসিস ম্যানেজার শেখ হাসিনা। আমরা জানি বিএনপি ভোটে শেখ হাসিনাকে হটাতে পারবেন তাই ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছেন। খেলা হবে, মোকাবিলা হবে আন্দোলনে, নির্বাচনে প্রমাণ হয়ে যাবে এদেশের মানুষ কাকে চায়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিস, দপ্তর সম্পাদক বারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ।
এসএম/এমএমএ/