রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিএনপি এখন উভয় সংকটে: কাদের

বিএনপির আন্দোলনেও বিপদ, নির্বাচনেও ভয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এখন উভয় সংকটে রয়েছে। তাদের এখন জলে কুমির ডাঙায় বাঘ।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে আওয়ামী লীগের কদমতলী থানা ইউনিটের ত্রিবার্ষিকী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতায় আমরা, আমরা কেন অশান্তি করব? বিএনপি বার বার বাজে কথা বলে। আওয়ামী লীগ নৈরাজ্য চায়, অশান্তি চায়। অশান্তি আর নৈরাজ্য হলে তো ক্ষতি আমাদের। যেহেতু আমরা ক্ষমতায়। জনগণকে বলব তারা (বিএনপি) কেন মিথ্যাচার করে। আমরা ক্ষমতায় থেকে নৈরাজ্য করব কেন? আমরা ক্ষমতায় থেকে অশান্তি করব কেন? আমাদের নেত্রী বলে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সংযমী হবে। আমরা কারো সভা-সমাবেশে হামলা করব না। কারো বাড়ি ঘরে হামলা করব না। আমরা সতর্ক থাকব। আমাদের উপর হামলা হলে কি করতে হবে সেটা উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি বলে দেবে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মী নিজেরাই ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ঢিল ছুঁড়ে দেয়। এ অবস্থায় পুলিশ কি তখন নীরবে বসে থাকবে?

কাদের বলেন, বিএনপি যত লাফালাফি করুক যত তাফালিং করুক কোনো কাজ হবে না। আওয়ামী লীগের ঐক্যবদ্ধ শক্তির কাছে বিএনপি হারবেই। ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। বিশৃঙ্খলা করবেন এই সব যারা করবেন তাদের প্রয়োজন নেই। যেখানেই খারাপ আচরণ আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা কাউকে ছাড় দেব না। নেত্রী কাউকে ছাড় দেন না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নাকি বলে শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা নেই। শেখ হাসিনার প্রতি আপনাদের আস্থা থাকার দরকার নেই। আপনারা যারা এই দেশে হ্যাঁ-না ভোট করেন প্রহসনমূলক, এই দেশে যারা ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন, এই দেশে যারা আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন, যারা ১৫ই ফেব্রুয়ারি মার্কা প্রহসনমূলক নির্বাচন করেছেন তাদের শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখার কোনো দরকার নেই। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করবে সময় মতো করবে। শেখ হাসিনার সরকার যত রকম সহযোগিতার দরকার নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করে যাবে। আপনাদের আস্থা আছে কি নেই সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। আমরা আস্থা চাইবো কোনো দলের না এদেশের জনগণের আস্থা আছে কি না শেখ হাসিনার প্রতি সেটা আগামী নির্বাচনে প্রমাণ হবে। বিএনপির আস্থা আমরা চাই না। আমাদের আস্থা দরকার জনগণের। সেই জনগণের আস্থা আছে।

তিনি আরও বলেন, সকাল বেলায় বিএনপির নেতারা ঘুম থেকে উঠে চোখ কঁচলাতে কঁচলাতে কোথায় যান? গুলশানে যান বারিধারায় যায়, কেন যায় নালিশ করতে। নাম কি বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। গুলশানে যায় বারিধারায় যায় সকালে ব্রেক ফাস্ট রাতে যায় ডিনারে। হায়রে বড় মজায় আছে বিএনপি নেতারা। কত সুখে আছে ওই বিদেশি দূতাবাসে গিয়ে মজার মজার খাবার খায় আর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নালিশ করে। এই হলো তাদের রাজনীতি।

তিনি বলেন, বিএনপি এখন উভয় সংকটে। বিএনপির এখন জলে কুমির ডাঙায় বাঘ। বিএনপির সামনে বিপদ আন্দোলনেও বিপদ নির্বাচনেও ভয়। এই অবস্থা নিয়ে কোথায় যাবেন। নেতা তো ঠিক নেই। কে হবে নেতা, কে হবে প্রধানমন্ত্রী। ২২ দলীয় জোট জগাখিচুড়ির জোট। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে সময় মতো খান খান হয়ে যাবে তাদের তথাকথিত ঐক্যজোট।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এতো মানুষের ঢল নেমেছে কদমতলীতে। এই ছবি কোনো পত্রিকায় দেখাবেন না। যত বড়ই হোক আমাদের সমাবেশ, যত বড়ই হোক আমাদের মিছিল সরকারি দলের ছবি একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ছাড়া সেটা পত্রিকার পাতায় আসে না। এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ফখরুল সাহেবের মিটিং কি এই মিটিংয়ের চেয়ে বড় হয়? ওনাদের এতো বড় বড় ছবি থাকে আওয়ামী লীগের ছবি ছাপে না। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য, বলার কিছু নেই। কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। কারণ নিজের প্রচারের জন্য রাজনীতি করি না। রাজনীতি করি একটি আদর্শের জন্য। রাজনীতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে। রাজনীতি বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাকে বাঁচাতে। রাজনীতি করি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে। রাজনীতি করি বঙ্গবন্ধু পিতা মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে। রাজনীতি করি শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনকে বাঁচিয়ে রাখতে। বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। একটি আদর্শের জন্য রাজনীতি করি।

তিনি বলেন, আমরা ত্যাগ স্বীকার করি। আমরা রক্ত দিই। আমরা ক্ষমতায় আছি, বন্দুকের নলের মুখে কেউ আমাদের ক্ষমতায় বসায়নি। আমরা ক্ষমতায় এসেছি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে, আন্দোলন করে, রাজপথ থেকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। বঙ্গবন্ধু রাজপথ থেকে এসেছেন, শেখ হাসিনা রাজপথ থেকে এসেছেন। আমরা রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে চাই।

কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নাছিম মিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাজেদা বেগম ও হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, প্রচার সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর ও কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৫৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক প্রমুখ।

এসএম/আরএ/

Header Ad

রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা

দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন সৌখিনের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত থেকে ওই দুই নেতার কথোপকথনের ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এর আগে উপজেলার গোবরচাঁপা বাজারে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে ৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল আলম খানসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে স্থানীয় থানায় মামলা করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন। এ মামলায় আরও ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে "এডিট করা ফেক মোবাইল কল" সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে তার এবং দলীয় ইমেজ ক্ষুণ্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাময়িক বহিষ্কৃত ওই বিএনপি নেতা।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বদলগাছী সাংবাদিক সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন।

এসময় তিনি বলেন, বিগত ২০১৩ সালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলকভাবে আওয়ামী লীগ দুইটি মামলা করে। একটি বিষ্ফোরক ও একটি দ্রুত বিচার আইনে। আমাকে গ্রেফতার করা হয় ক্লিন হার্ট অপারেশনে। সেখানে আমাকে অনেক নির্যাতন করা হয় শুধুমাত্র বিএনপির রাজনীতি করার জন্য। আমি জানতে পেরেছি যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম খানের সাথে আমার একটি কল রেকর্ড প্রকাশিত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা সম্পূর্ণ এডিট করা ফেক মোবাইল কল। কল রেকর্ডটি আগস্ট মাসের।

প্রকৃত তথ্য এই যে, শামসুল আলম খান ইতঃপূর্বে তার একটি ব্যাংক চেক গচ্ছিত রেখে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেন। যার নম্বর: CD /A- ২৮৮৫০৯২ (ডাচ বাংলা ব্যাংক)। এভাবে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আরও অনেকের কাছ থেকেই তিনি টাকা ধার করেছেন বলে লোকমুখে জেনেছি। অতি সম্প্রতি জানতে পারি যে, তিনি কিছু কিছু পাওনাদারদের ধারের টাকা পরিশোধ করছেন। এ কারণে আমি তার নিকট আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য কল করেছিলাম। এছাড়া আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য তার সামনাসামনি হলে সে আমাকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার ভয় দেখাতো। আমি গত ২০১৪ সালের ৫নভেম্বর আওয়ামী লীগের বিস্ফোরক মামলার বিবাদী হওয়ার কারণে আগস্ট মাসের কল রেকর্ডটি নতুন করে "এডিট" করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। আগস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত শামসুল আলম খানের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।

এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, পাওনা সংক্রান্ত ও কল রেকর্ডটি এডিট করে যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেটা আবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশও করা হয়েছে। শুধুমাত্র আমাকে এবং আমার দল বিএনপিকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্যই ফেক কল রেকর্ডটি ছেড়ে দেওয়া দেয়। মর্যাদাহানি করার জন্যই তারা এই মিথ্যা এবং বানোয়াট রেকর্ড ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবাদী হওয়ার কারণেই আগস্ট মাসের আমার টাকা সংক্রান্ত রেকর্ডটি ছেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সেই সাথে দুষ্কৃতিকারীদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খান বলেন, ঘটনার দিন নওগাঁয় আদালতে একটা কাজে গিয়েছিলাম। ওই সময় একটা অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। নিজেকে চাংলার সৌখিন পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা দাবি করা হয়।

Header Ad

পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবারপাখতুনখাওয়া প্রদেশে শিয়া ও সুন্নি মতাবলম্বীদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২ জনে পৌঁছেছে। গত তিন দিন ধরে চলা এই সহিংসতায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৫৬ জন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) প্রদেশের স্থানীয় এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সুন্নি ও শিয়া মুসলমানদের মাঝে গত কয়েক মাস ধরে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রদেশটিতে শিয়া যাত্রীবাহী গাড়িতে বন্দুকধারীদের হামলায় ৪৩ জনের প্রাণহানির পর নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, গত ২১, ২২ ও ২৩ নভেম্বরে শিয়া-সুন্নিদের সংঘর্ষ ও গাড়িতে হামলার ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৮২ জনে পৌঁছেছে। এই সংঘাতে ১৫৬ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার প্রদেশের কুররাম জেলার প্রায় ৩০০ পরিবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ওই দিন গভীর রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় হালকা ও ভারি অস্ত্র নিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছেন স্থানীয়রা। তবে রোববার সকালে নতুন করে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ওই কর্মকর্তা বলেছেন, কুররাম জেলাজুড়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থগিত করা হয়েছে এবং প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অতীতে খাইবার পাখতুনখোয়ার এই জেলা আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে ছিল; যেখানে বছরের পর বছর ধরে চলা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

গত মাসে কুররাম জেলায় সাম্প্রদায়িক সংঘাতে তিন নারী ও দুই শিশুসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গত জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে একই ধরনের সংঘাতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

Header Ad

হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত

মশিউর রহমান ও জুয়েল রানা। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান ও ডিএমপির সাবেক এডিসি জুয়েল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।

রোববার (২৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেনের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডিবির সাবেক ডিসি (সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ও বর্তমানে পুলিশ সুপার হিসেবে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত মশিউর রহমানকে নিউমার্কেট থানার মামলায় গ্রেফতার করে ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেহেতু, মশিউর রহমানকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগের এডিসি (সুপারনিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)) জুয়েল রানাকে নিউমার্কেট থানার মামলায় গ্রেফতার করে ১৮ অক্টোবর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সেহেতু, জুয়েল রানাকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ১৮ অক্টোবর থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন জুয়েল রানাকে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

এর আগে, ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গত ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর থেকে ডিবি পুলিশ কাফীকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ রয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস