‘বিএনপির পাশে জামায়াত থাকলে ওরা পালাবার রাস্তা পাবে না’
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, ‘আমার পাশে জামায়াত বসে আছে। এখন যদি বিএনপির পাশে বসে তাহলে ওরা প্রাণ বাঁচানোর রাস্তা খুঁজে পাবে না। সে সময়ও আসবে। পৃথিবীতে যত স্বৈরাচার ছিল তাদের করুণ পরিণতি হয়েছে। এখানেও এদের হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অলি বলেন, ‘প্রথমে রাজনীতিটা সঠিক পথে আনতে হবে। সঠিক পথে আনতে হলে বর্তমান সরকার যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে সেগুলো সঠিক পথে আনতে হবে। যে সকল অফিসাররা এই সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য কাজ করেছে তাদের তালিকা করছি আমরা। তাদেরকে আগে জেলে ভরতে হবে। যারা পেনশন এ গিয়েছে তাদের পেনশন বাজেয়াপ্ত করতে হবে কারণ তারা জাতীয় শত্রু।’
আওয়ামি লীগকে নির্বাচন নয় জান বাঁচানোর হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘শুনছি তারা আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগে নির্বাচন নয়, জান বাঁচানোর প্রস্তুতি নেন। যতদিন পর্যন্ত না আমাদের বুঝার শক্তি হয় ততদিন পর্যন্ত আমরা অত্যাচারিত হব।’
তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের বিরুদ্ধে এই সরকার অনেক দুর্নীতির কথা বলেছিল কিন্তু গত ১৩ বছরে একটা মিথ্যা মামলা ছাড়া খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আর তো কোনো মামলা করতে পারেনি। আর তো কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোন প্রমাণ করতে পারেনি। যত দুর্নীতি হয়েছে গত ১৩ বছরের হয়েছে মেগা প্রকল্প গুলো হাতে নিয়েছিল এই দুর্নীতি করার জন্য।’
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে অলি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়ে কয়েকটা চুক্তি করে এলেন এটা দিয়ে নাকি কয়েকটা পদ্মা সেতু এবং কয়েকটা টানেল বানানো যেত। তাহলে আদানিকে কী দিয়ে এলেন? দেশটা আদানির কাছে বিক্রি করে দিয়ে এলেন। ভারতে যারা রাজনীতি করে তাদের নির্বাচনের জন্য ফিন্যান্স করে দিয়ে এলেন আদানির মাধ্যমে। অর্থাৎ ভারতের নির্বাচনের টাকা আদানির মাধ্যমে দিয়ে এলেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সকলের দায়িত্ব দেশটাকে রক্ষা করা তাই নতুন প্রজন্ম ছাত্রছাত্রী, এবং সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে নামতে হবে এ ছাড়া, অন্য কোনো পথ নাই। ১৯৭১ সালে যেভাবে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে যুদ্ধ করেছিলাম ঠিক সেইভাবে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে নামতে হবে।’
এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জামায়াতের সহ-সেক্রেটারি আবদুল হালিম, ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ আদনান, এবং বিভিন্ন বিশিষ্ট রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ।
এমএইচ/এমএমএ/