মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশ্লেষকদের প্রশ্ন বিএনপি আসলে কী চায়

দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি আসলে কী চায়-রাজনৈতিক অঙ্গনে এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কারণ, বিএনপি কখনো এই সরকারের পদত্যাগ দাবি, কখনো নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা, কখনো নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করা, কখনো সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোট নয়, যুগপৎ আন্দোলন করার কথা বলছে। কখনো বলা হচ্ছে প্রধান দাবি খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। এমনকি যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামী নিয়েও তাদের অবস্থান পরিস্কার নয়।

রাজনীতি বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, বিএনপি এখনো স্থির কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। দলের সিনিয়র নেতারাও একেক সময় একেক কথা বলছেন। 

গত ৯ সেপ্টেম্বর সিলেটে বিএনপির মিডিয়া সেল কর্তৃক আয়োজিত একটি সেমিনারে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনে ‘জাতীয় সরকার ও দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ’ গঠনের বিষয়টি হঠাৎ সামনে আসার পর বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিএনপির একেক সময় একেক রকম অবস্থান এবং তাদের দাবি দেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা একটা বৃহত্তর প্ল্যাটফর্মে আন্দোলনে নামতে টার্গেট নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। সেখানে বাম-ডান, গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক সব রাজনৈতিক দলকে একত্রিত করতে চাই। সেই লক্ষ্যে পরিকল্পনামাফিক কাজ করছি। সব দলের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলে ঐক্যের ফরমেট তৈরি করব। আশা করছি, ভালো কিছুই হবে।’

বর্তমান পরিস্থিতিতে দলটির ভেতরে-বাইরে নেতা-কর্মীদের মধ্যেও প্রশ্ন উঠেছে আসলে কী চায় বিএনপি? রাজপথের আন্দোলনে কতটা সক্ষম দলটি। কেউ কেউ আবার বলছে বিএনপির ঈদের পর আর আসেনি, আন্দোলনও হয়নি।

তবে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে। দলগুলো জানিয়েছে, ক্ষমতায় এলে শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তনে বিএনপি রূপরেখায় কী উপস্থাপন করে, তার উপর নির্ভর করছে যুগপৎ আন্দোলনের ভবিষ্যৎ। তারপরও আসলেই কি চায় বিএনপি; হয়তো নিজেরাই সেটা জানে না এমন কথাবার্তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানামুখি আলোচনা চলছে।

তবে দলটির দায়িত্বশীল নেতারা বলছে-বিএনপির মূল দাবি এই সরকারের বিদায়। এর বাইরে যা কিছু তা সবই পরিবর্তন যোগ্য সিদ্ধান্ত; কোনোটাই চূড়ান্ত নয়। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপে মূলত উঠে আসা বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়েই জাতীয় সরকার ও দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ বিষয়টিতে বিএনপির ভবিষ্যত রুপরেখাকে টেনে নিয়ে আসা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছে, সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও সুশীল সমাজের চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনার দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠনেরও ঘোষণা দেয় দলটি। একটি কক্ষ বর্তমানে যেভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সেভাবেই হবে। অপরটি কীভাবে হবে তা আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। দলের গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি সিদ্ধান্তে জনমত তৈরিতে কাজ শুরু করেছে দলটি। শুধু বক্তৃতা-বিবৃতি নয়, এ লক্ষ্যে লেখক, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে শুরু হয়েছে মতবিনিময়। বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে আট বিভাগীয় শহরে এ সেমিনারের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়। এরই অংশ হিসেবে গত ৯ সেপ্টেম্বর সিলেট বিভাগে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর রংপুর, ২৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে পরবর্তী সেমিনার হবে। ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ, ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ১৫ অক্টোবর বরিশাল, ২২ অক্টোবর খুলনা ও ২৯ অক্টোবর ঢাকা বিভাগে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন ও দাবিগুলোর মধ্যে প্রধান দাবি হচ্ছে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা। সেই লক্ষ্যে সরকার হটানোর যুগপৎ আন্দোলনের রুপরেখা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একটা বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার ব্যাপারে আমরা কাজ করছি এবং দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের প্রেক্ষিতে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত হয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বিএনপি তথা দেশের মানুষের দাবি ও লক্ষ্য একটাই সেটি হচ্ছে; এই আওয়ামী লীগ সরকারকে সরে যেতে হবে। তাদেরকে মানুষ রাষ্ট্র পরিচালনায় দেখতে চায় না। তাই এদের অধীনে আগামীতে কোনো নির্বাচন নয়।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি যা করছে প্রকাশ্যে করছে, ঘোষণা দিয়ে করছে এখানে তো লুকোচুরির কিছুই নাই। বিএনপির উল্লেখিত দাবিগুলো না বোঝার কিছু নাই। এতটুকু রাজনৈতিক জ্ঞান না রেখে অবান্তর প্রশ্ন করারও কিছু নাই।’

এই বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, ‘আমাদের মূলকথা অনেক আগেই বলেছি যে, একটি সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই সংসদ বাতিল করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, তাদের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। তারা সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোটের পরিবেশ তৈরি করবে যাতে ভোটাররা পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে দিনে ভোট দিতে পারেন। তার সঙ্গে আমাদের নেতা (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান) বলেছেন, নির্বাচনের পরে আন্দোলনকারী দলগুলোর সমন্বয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। প্রধান কারণ হচ্ছে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ব্যবস্থায় যে ক্ষত সৃষ্টি করেছে সেগুলোকে এককভাবে গড়ে তোলাটা যুক্তিসঙ্গত হবে না, তাই অন্যান্য দলগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই।’

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে হত্যা, গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর হেফাজত ইসলামের নেতা জুনায়েদ আল হাবিব এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে মামলা হলে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এর আগে, মুফতি হারুন ইজহারের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক এমপি হাজী সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহমেদ, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নির্মূল কমিটির সদস্য অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার ও এনএসআইয়ের মো. মনজুর আহমেদ।

Header Ad

এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ

ফাইল ছবি

জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছিনা, এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের উপরে মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেন এ ক্ষোভ তৈরি হয়েছে এটি জনগণের কাছে স্পষ্ট করা দরকার। তবে কোনো গণমাধ্যম অফিসে ভাঙচুর হলে সেটা সরকার দেখবে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, শুধুমাত্র ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দিয়ে সবকিছু উড়িয়ে দিতে চাই না। বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে। ক্ষোভ থেকে আন্দোলন হতে পারে। তবে আইন শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের পর্যায়ে গেলে সেটি দেখা হবে।

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সব ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তবে এটা কতটা বিকশিত হবে সে দায়িত্ব সাংবাদিকদের- এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সংবাদমাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সুযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কম। এখানে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংবাদকক্ষগুলোকে। তাৎক্ষণিক ভোল পাল্টানো সমাধান নয়, সত্য স্বীকারের মাধ্যমে জাতীয় পুনর্মিলন সম্ভব।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জনগণ যেভাবে প্রত্যাশা করে সেভাবে গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছি না। এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে। আমরা চাই না, আগের আমলের মত পুলিশ জনতার বুকে গুলি চালাক। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ অবশ্যই কঠোর হবে, সেভাবে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করা হচ্ছে।

মূলত বিশ্বের প্রতিটি বিপ্লবের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এরকম অবনতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, কোনো পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর করা, পত্রিকা বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা সরকার সমর্থন করে না। এ ধরনের ঘটনা পরবর্তীতে ঘটলে টলারেট (সহ্য) করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, দৈনিক প্রথম আলো নিয়ে একটি উত্তেজনা দেখতে পাচ্ছি কয়েক দিন ধরে। গতকালও এ রকম উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল অফিসের সামনে। আজকে রাজশাহীতে তাদের অফিসে ভাঙচুর হয়েছে এবং চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। আমাদের বক্তব্যটি হচ্ছে, কোনো গণমাধ্যম বা পত্রিকার বিরুদ্ধে যদি জনগণের কোনো অংশের অভিযোগ থাকে, ক্ষোভ থাকে, তারা সেটি প্রকাশ করতে পারে, তবে সেটি অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের আহ্বান থাকবে, ক্ষোভ থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে যাতে প্রকাশ করে। মানুষের সভা সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তারা আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে। আমরা আহ্বান জানাব, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে যেন জনগণ অংশ না নেয়। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কাজ থেকে যেন আমরা বিরত থাকি।

Header Ad

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধর্মের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তারপর দিবাগত রাত ১২টার বিশেষ স্কটে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয় রাখা হয়। ‌চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। সে মামলায় তাকে আজ দুপুরে আদালতে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। কয়েক দিন এই জোট আট দফা দাবিতে রংপুরে সমাবেশ করেছে।

পুনশ্চ, অন্যদিকে সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহিষ্কার করেছে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি