শেখ হাসিনাকে হত্যার চক্রান্ত হচ্ছে কি না তদন্ত চান বিএনপির হারুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য সত্যিই চক্রান্ত হচ্ছে কি না, তা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই দাবি জানান।
এর আগে, গতকাল বুধবার সরকারি দলের সংসদ সদস্য সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ দাবি করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চক্রান্ত হচ্ছে। অর্থের বিনিময়ে সরকারি দলের লোকজনও এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত।
আবুল কালাম আজাদের ওই বক্তব্য উদ্ধৃত করে হারুন বলেন, ‘আমি নিজ কানে শুনেছি সরকারি দলের একজন সংসদ সদস্য সংসদে দাঁড়িয়ে এই বক্তব্য দিয়েছেন। এটা খুবই উদ্বেগের। তিনি এই বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য চান প্রধানমন্ত্রীর।’
তিনি বলেন, ‘এটি উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। আসলেই এ ধরনের চক্রান্ত হচ্ছে কি না, কারা এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত তা বের করতে তদন্ত করা দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন এক বক্তব্যে বলেছেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আগে নাকি তার বাবা তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলে তাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করতে যে ওই দিন হামলা হতে পারে। এসব তথ্য আসলে কী?
বর্তমান পরিস্থিতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, যারা গুম হয়েছে, তাদের কী আইনের আশ্রয় পাবে না? যারা আন্দোলন সংগ্রামে গুলিতে মারা যাচ্ছে তা এক জিনিস আর গুম সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। মানবাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। সরকারি দল বলছে, দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, দুর্নীতি, টাকা পাচার, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সড়ক দুর্ঘটনা এগুলো কি কমেছে? নির্বাচন ব্যবস্তার কী উন্নয়ন হয়েছে?
বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ‘জাদুর বাক্স’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির এই সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, যাদের দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের সংযত হয়ে কথা বলতে বলুন। তিনি ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনাদের বক্তব্যের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘তিনি দায়িত্ব বলেন গত নভেম্বরে তার নির্বাচনী এলাকায় ইভিএমে যে পৌরসভা নির্বাচন হয়েছে সেখানে ভোট ডাকাতি হয়েছে। যদি নির্বাচন কমিশন প্রমাণ করতে পারে যে ডাকাতি হয়নি তাহলে যে জরিমানা করবে তা আমি দেব।’
হারুন বলেন, ভারত বাংলাদেশকে পানিতে মারছে। তারা এ দেশের বন্দর ব্যবহার করছে। কিন্তু বাংলাদেশকে ট্রানজিট দিচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাবেন। বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মুক্ত হয়েছে ভারতের আনুগত্যের জন্য নয়, এটা নিশ্চিত করতে হবে।
এসএম/এমএমএ/