দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জাঁতাকলে পিষ্ট মানুষ: জেবেল গানি
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জাতাকলে পিষ্ট হচ্ছে সাধারন মানুষ এমন মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেছেন, দুর্নীতি, লুটপাট, ডলার পাচার করে অর্থনীতিকে করে তুলেছে অস্থিতিশীল, যার ফল ভোগ করছে জনগণ।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বাংলাদেশ ন্যাপ সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন মন্ত্রী শফিকুল গানি স্বপনের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চ্যুয়ালি তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ ‘রাজনীতিবিদের হাতে’ না থাকা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। দেশ সেবার নামে অরাজনীতিক ব্যক্তিরা রাজনীতিতে প্রবেশ করে, রাজনীতিকে যেভাবে কলুষিত করছে সেটা দেশের জন্য অকল্যাণকর। আর এই কারণেই শফিকুল গানি স্বপনের মত মেধাবী রাজনীতিকদের প্রয়োজনীয়তা জাতি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে।’
তিনি বলেন, ‘একজন শ্রমিক দিনে মাত্র ১২০ টাকা মজুরি পায়, এখন এটা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার কথা বলা হচ্ছে। এটা কি মানবিক? চা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।’
ন্যাপ চেয়ারম্যান বলেন, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষে শফিকুল গানি স্বপন ছিলেন আপসহীন। মওলানা ভাসানীর আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ন্যাপ পুনর্গঠনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার মেধাবী রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রাম আগামীতেও দুর্নীতি-দুবৃত্তায়নের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতাকর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, ‘বহু সময় ধরেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ধরনের শূন্যতা বিরাজ করছে। জনগনের দাবি ও ভাষা বোঝে এমন একটি রাজনৈতিক শক্তি খুঁজছে সাধারণ মানুষ। বর্তমান শাসকগোষ্টী এমনকি যারা দেশ শাসন করতে চায় তারা জনগনের ভাষা বুঝতে পারছে না। সবাই ব্যস্ত ক্ষমতায় টিকে থাকতে অথবা ক্ষমতায় যাওয়ার লড়াইয়ে। যার ফলে জনগনের নেতা আজ খুজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে দারিয়েছে।’
বাংলাদেশ ন্যাপ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সিনিয়র সহসভাপতি মাস্টার মোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে ও মওলানা মীর আব্দুল মালেক কুতুবীর উপস্থাপনায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. জসিম তালুকদার, জেলা যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ নূরুল আমিন তালুকদার, মীর মওলানা আবদুল মালেক কুতুবী, আইন বিষয়ক সম্পাদক চিকিৎসক প্রদ্যুৎ কান্তি দেব, সদস্য আবদুল মালেক ও প্রণব কুমার বড়ুয়া প্রমুখ।
এমএইচ/এমএমএ/