সরকার নিজেদের দেউলিয়াত্ব শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে: মান্না
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ রাখার ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘সরকারের ব্যর্থতার কারণে আজ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের সম্মুখীন।’
সোমবার (২২ আগস্ট) দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
মান্না বলেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের অজুহাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অফিস এবং ব্যাংকের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনৈতিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে। এটি সরকারের চরম ব্যর্থতার প্রমাণ। এই সরকার দেশের মানুষের সকল নাগরিক ও মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নিজেদের সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি, অর্থপাচারের মাধ্যমে তারা দেশের অর্থনীতি পুরোপুরি ধ্বংস করেছে। এ কারণে নিজেদের দেউলিয়াত্ব তারা শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করছে।’
গণতন্ত্র মঞ্চের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংকটের জন্য সরকার ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করলেও প্রকৃতপক্ষে অনেক আগেই তারা দেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারা প্রতিবছর ৬০-৭০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। আর এখন সংকটের জন্য ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাত দেখাচ্ছে। এতদিন মিথ্যা উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে তারা এখন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার কাছে হাত পাতছে। পাচারের মাধ্যমে তারা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খালি করে ফেলেছে। জ্বালানি তেলের মজুদ ফুরিয়ে আসছে। নতুন করে জ্বালানি তেল আমদানির টাকাও নেই তাদের কাছে।’
দেশের অর্থনৈতিক সংকটের জন্য সরকারকে দায়ী করে মান্না বলেন, ‘এই সরকার দেশকে দেউলিয়াত্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সংকটের দায় কেবলমাত্র এই সর্বগ্রাসী সরকারের। জ্বালানি তেলসহ অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখন শ্রীলঙ্কার প্রায় সমান এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন তলানিতে ঠেকেছে। সংকট উত্তরণের জন্য এই সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ পেলেও সেই অর্থ লুটপাটের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করে জনগণের মাথায় নতুন ঋণের বোঝা চাপাবে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ অবৈধ, দুর্নীতিবাজ সরকারের পতন এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি করা। অন্যথায় এই সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দেশকে মেধাহীন করবে এবং অর্থনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ দেউলিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করবে।’
এমএইচ/এসজি