সরকার জ্বালানি খাতকে রাজনৈতিক পণ্যে পরিণত করেছে: আমির খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জ্বালানি খাতকে রাজনৈতিক পণ্যে পরিণত করেছে সরকার। রাজনৈতিকভাবে মূল্য নির্ধারণ করেছে। যে মূল্য দেশের জনসাধারণের পকেট থেকে দিতে হচ্ছে। কারণ দেশের অর্থনীতিকে দেউলিয়া করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার সুপরিকল্পিতভাবে জাতীয় নীতিমালা তৈরি করেছে। এর মধ্যে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে একটি রাজনৈতিক পণ্যে পরিণত করেছে, লুটপাটের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছে। গত ১৩ বছর একটাও গ্যাস কূপ খনন করা হয় নাই। কারণ টাকাগুলো লুটপাট করে তারা পকেটে ভরেছে, বিদেশে পাচার করা হয়েছে। তাই জনগণকে তাদের লুটপাট ও দুর্নীতির টাকা পাচারের মূল্য দিতে হচ্ছে।
সোমবার (২২ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে 'দুর্নীতি জ্বালানি সংকট এর উৎস' শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আমির খসরু বলেন, আওয়ামী মডেল অব ইকোনমিক এর কাজ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন খাত থেকে তারা কীভাবে লাভবান হবেন। সেজন্য তারা জ্বালানিকে এখন আমদানি নির্ভর করেছে, বিদ্যুৎ খাতেও একই অবস্থা।
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের একজন তথ্যমন্ত্রী আছেন যিনি কাগজে কলমে তথ্যমন্ত্রী, আসলে তিনি জিয়া পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী।
তিনি বলেন, জ্বালানি তেলসহ সব অনিয়ম ও দুর্নীতির মূলে রয়েছে দেশে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি। সরকারের অনিয়ম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না মর্মে যে ইন্ডেমনিটি আইন করা হয়েছে সেটা দিয়েও তাদের শেষ রক্ষা হবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না। রাজনীতি করে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে। আমরা চাই একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, যা হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন। জনগণের ভোটের সেই নির্বাচনে যে বিজয়ী হবে তারাই সরকার গঠন করবে। সরকারের এত ভয় কেন। ক্ষমতায় থাকতে কেন প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইতে হবে। কাউকে সরকার গঠন ও রক্ষা করার দায়িত্ব তো জনগণের। মূলত এই সরকারের জনগণের উপর আস্থা নেই বলেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কাছে ধরনা দিচ্ছে। কারণ তাদের উপলব্ধি হয়েছে তাদের রক্ষাকবচ রক্ষিত হবে না।
এসময় বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওবাইদুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিজু, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এম জাকির হোসেন খান, মোস্তফা কামাল মজুমদার প্রমুখ।
এমএইচ/এসজি