নির্বাচনের মাঠে খেলা হবে: ওবায়দুল কাদের
ফাইল ফটো
বিএনপিকে রাজনীতির মাঠেই মোকাবিলার ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘খেলা হবে, খেলা হবে, রাজনীতির মাঠে খেলা হবে। নির্বাচনের মাঠে খেলা হবে। আসুন, খেলায় আসুন, নির্বাচন আর রাজনীতির মাঠে খেলায় আসুন।’
শনিবার (১৬ জুলাই) আওয়ামী লীগের এক সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ এ সভা আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগ সরকারে ‘বিদায় ঘণ্টা’ বেজে গেছে বলে বিএনপি নেতারা যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি বলে আমাদের পতনের নাকি সাইরেন বাজে। কোথা থেকে শুনলেন সাইরেনটা? রাস্তায় যখন গাড়ি চলে ওই সাইরেন শুনেছেন? শুনবেন, শুনতে পাবেন আপনাদের বিদায়ের ঘণ্টার সাইরেন। নেতিবাচক রাজনীতি আপনাদের অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছে, আপনাদেরই বিদায়ের ঘণ্টা বাজছে।’
বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগুন নিয়ে খেলবেন না, আমরা প্রতিহত করব। আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে সেই আগুনের খেলা প্রতিরোধ করবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা আজকে কত বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে কঠিন সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছে। বন্যা, করোনাভাইরাস, যুদ্ধের প্রভাব তিনি মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। তাকে শক্তি দিতে হবে, শক্তি দিতে হবে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ থেকে। কথায় কথায় নিজেরা অন্তঃকলহে জড়াবেন না। খুব খারাপ সময়, খুব ঝুঁকিপূর্ণ সময়, এই সময়ে ঐক্যের বিকল্প নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ কিছু করতে পারবে না।
রাজনীতির অনেকেই জেলে গেছেন, আমাদের নেত্রী বন্দি হয়ে ছিলেন। ক্ষমতায় ছিল বিএনপি কিন্তু প্রথম বন্দি হন শেখ হাসিনা। তারা এসে বিরোধী দলকেই প্রথম বন্দি করে। সরকারি দলের নেতা তখনো বাইরে। এত অপমান করেছে তারা। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সামান্য শ্রদ্ধা তারা দেখাতে পারেনি, দেখায়নি বলেন কাদের।
তিনি বলেন, আজকের দিনটি যখন আমাদের সামনে আসে তখনই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে ওয়ান-ইলাভেন নামে অমাবশ্যার অন্ধকার। বাংলাদেশে ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ রাজনীতিতে হঠাৎ করে বিরাজনীতিকরণের একটা ঝড় এলো। এই দিন শুধু শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস নয়, এই দিন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বন্দি দিবস। এ দিন শেখ হাসিনাকে বন্দি করে আমাদের বিকাশমান গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল।
‘অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করতেই বঙ্গবন্ধু হত্যার ৬ বছর পর তার সুকন্যা শেখ হাসিনা এসেছিলেন জন্মভূমিতে পিতার রক্ত ভেজা মাটিতে। তার প্রথম কাজ ছিল গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে সমস্ত শক্তিকে, গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা। শেখ হাসিনা পণ নিয়ে এসেছেন, পিছু হটেননি। ভয়কে জয় করতে এসেছেন, ভয় করেননি। প্রতি বিল্পবী শক্তির ভ্রুকুটির সামনে মাথানত করেননি।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, চলার পথে শত্রু-মিত্র চিনতে হবে। একটা কথা আছে ওয়ানস বিট্রেয়ার, অলওয়েজ বিট্রেয়ার। আওয়ামী লীগের কর্মীদের হুঁশিয়ার থাকতে হবে।
এমএইচ/আরএ/