সরকারের পতন ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি: মির্জা আব্বাস
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকারকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। কীভাবে এই সরকারের পতন ঘটানো যায় আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইভিএম বুঝি না, ইভিএম চিনি না। কাজেই আগামী নির্বাচন ইভিএম এ না কীভাবে হবে সেটা বিষয় নয়। বিএনপি দলীয় সরকার কিংবা শেখ হাসিনাকে দায়িত্বে রেখে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। হাসিনার অধীনে নির্বাচনের জন্য বিএনপির প্রস্তুত নয়। বরং কীভাবে এই সরকারের পতন ঘটানো যায় আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
বিএনপি একটি পতিত দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনায় তিনি বলেন, ‘জেলখানায় কান ধরে যিনি বলেছিলেন জীবনে আর কোনদিন রাজনীতি করবেন না আজ তিনি বলেন বিএনপি পতিত দল। আমার কথা হচ্ছে বিএনপি যদি পতিত দল হয় তাহলে বিএনপিকে নিয়ে আপনাদের এত ভয় কেন? কেন বিএনপিকে মিটিং মিছিল সভা সমাবেশ করতে দিতে চান না।’
শনিবার (১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যুবদল ঢাকা মহানগর (উত্তর-দক্ষিণ) এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে। যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধনি হত্যার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের নানা ও নিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে মির্জা আব্বাস বলেন, ৪০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়ে থাকে, হতে পারে তাহলে প্রয়োজনে আপনাদেরও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, বিচার হবে, আমরা যদি তখন বেঁচে নাও থাকি আপনাদের বিচার করার লোকের অভাব হবে না।’
ক্ষমতাসীনদের উন্নয়নের সমালোচনা করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন চলমান প্রক্রিয়া। আপনারা যদি এত উন্নয়ন করে থাকেন থাহলে ছেড়ে দেন ক্ষমতা, পদত্যাগ করুন। জনগণ খুশি হলে আপনাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে আমরাও মেনে নেব। বেশি কিছু তো চাচ্ছি না-আমরা শুধু মাত্র একটি বিষয় চাচ্ছি সেটি হলো নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন।
পদ্মা সেতুতে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সেলফি তোলার সমালোচনায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও ব্যক্তি শেখ হাসিনা এক নয়, এটা বুঝতে হবে। আমার কথা হলো, নির্দশেনা দিয়ে নির্দশেনা ভঙ্গের জন্য প্রধানমন্ত্রী মেখ হাসিনাকে হয় পুরষ্কার নতুবা তিরষ্কার পাওয়া উচিত।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্যে দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্ত্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না।
এমএইচ/এমএমএ/