পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে যায়নি বিএনপি
নানা জল্পনা-কল্পনা ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে উদ্বোধন করা হলো নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু। তবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েও যায়নি দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি।
শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ। বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানাতে বুধবার (২২ জুন) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছান সেতু বিভাগের উপসচিব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর।
তিনি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন। দলের সাতজনের নামে আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
একইদিন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েও না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের কথা স্পষ্ট-যারা মানুষ হত্যা করে, দেশের জনপ্রিয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতুতে নিয়ে পানিতে ফেলে দেওয়ার কথা বলে, যারা দেশের জন্য সম্মান বয়ে নিয়ে আসা নোবেল বিজয়ীকে ড. ইউনূসকে পানিতে চুবিয়ে মারতে চায় তাদের আমন্ত্রণে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী কখনো যেতে পারে না।’
এদিকে শুক্রবার ২৪ জুন বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। স্কুলগুলোকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। পদ্মা সেতুর আশ-পাশে জেলাগুলোতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান- আলোকসজ্জার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে, অনেক টাকা। শুধু মাত্র পাশের জেলাগুলোকেই দেওয়া হয়েছে ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এমনিভাবে জেলাগুলোতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য ‘মোর দেন টেন কোর’ সরকারের যে সার্কুলার (জিও) সেখানে বের হয়ে এসেছে। এতে করে দেখা যাচ্ছে আনন্দ উৎসবের জন্য টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মানুষ যে মারা যাচ্ছে সেটার জন্য তারা সে রকম ব্যবস্থা নিতে পাচ্ছেন না। বুয়েটকে তো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটা খুবই বিস্ময়কর ব্যাপার এবং বুঝা যায় এই সরকারের মূল লক্ষ্য জনগণ নয়, জনগণের কল্যাণ নয়, তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বড় বড় প্রজেক্ট উদ্বোধন করা, সেখানে আরও নতুন করে প্রজেক্ট সৃষ্টি করা, যাতে করে ওইখান থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারে। যেটা বিদেশে পাচার করতে পারে।’
এমএইচ/আরএ/