যারা টাকা চুরি করছে বর্তমান সরকার তাদের: নজরুল
যারা টাকা পাচার করেছে, দুর্নীতি করেছে বাজেটে তাদের লাভ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, 'প্রতিনিয়তই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আপনি যদি নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ হন, আপনি গত মাসের আপনার আয় দিয়ে যা কিনতে পারেছেন, এ মাসে কি তা কিনতে পারছেন? আগামী মাসে তো তাও কিনতে পারবেন না। বাজেট আবার নতুন করে বাড়াচ্ছে। কিন্তু লাভ হচ্ছে কার? যারা টাকা পাচার করছে, আমার আপনার টাকা লুট করছে তাদের।
রবিবার (১২ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বার্ষিকী উপলক্ষে তাঁতীদল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রবাসীদের কষ্টের টাকা পাচার করে কানাডা, মালোশিয়ায় বাড়ি বানাচ্ছে, সুইচ ব্যাংকে টাকা জমাচ্ছে, তারা কিছু টাকা ট্যাক্স দিয়ে ওই টাকা দেশে ফেরত নিয়ে আসতে পারবে। সবাই বলছে এইটা একটা অন্যায় সিদ্ধান্ত। এটা প্রচলিত আইনের বিরুদ্ধে, আমাদের সংবিধানের বিরুদ্ধে ন্যায়-নীতির বিরুদ্ধে। কারণ আমাদের দেশে আইন বলে, কেউ যদি টাকা পাচার করে তাহলে তার সব টাকা বাজেয়াপ্ত করে, ডাবল ফাইন করতে হবে এবং ১৪ বছরের জেল হবে। এখন আপনি বলছেন কিচ্ছু হবে না, ৭ শতাংশ জমা দেবেন বাংলাদেশের অ্যাকাউন্টে, আর ওই টাকা হালাল। কেউ জিজ্ঞাসও করবে না। তাহলে এ সরকার কার? যাদের টাকা চুরি করছে তাদের না। যারা টাকা চুরি করছে তাদের সরকার।
তিনি বলেন, 'এ সরকার উন্নয়ন করেছে, রিপোর্ট আসছে ১৩ হাজার লোক কোটিপটি হচ্ছে। আর কোটি কোটি লোক দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে গেছে। এখন যদি উন্নয়ন হয়েছে বলেন, তাহলে কার উন্নয়নের কথা বলতেছেন তাহলে ওই ১৩ হাজার লোকের। তাহলে আপনি তাদের সরকার। আপনি যদি আমাদের সরকার হন যাদের আয় কমে গেছে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে। তাদের তো বলবেন না উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের লোকদের কষ্ট বাড়ছে। কষ্ট পাইতেন। কিন্তু আপনার আমার দিকে নজর নেই, আপনার নজর কোটিপটির দিকে। আপনি বলতেছেন অনেক উন্নয়ন হচ্ছে।
কিন্তু আপনারা যারা কষ্ট পাচ্ছেন তাদের এরকম সরকার আমাদের দরকার নেই, আমাদের দরকার এমন সরকার আমার স্বার্থ রক্ষা করবে। সেরকম সরকার দরকার। আর সেই সরকার হবে না যদি না আমরা সেরকম সরকার নির্বাচনের সুযোগ না পাই। আপনার আমার ভোট আদায় করে নিতে হবে। আমি ঠিক করব কাকে নির্বাচিত করব। এটা আমার অধিকার- যোগ করেন তিনি।
খালেদা জিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। দুইবার বিরোধীদলের নেত্রী হয়েছেন। তিনি এখন কোথায়? জেলখানায়। ৭৬ বছর বয়স। দারুণ অসুস্থ। গতকালও তার হার্টে অপরোশন করা হয়েছে। ডাক্তাররা বলেছে অ্যাডভান্স মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার জন্য। যেখানে উন্নত চিকিৎসা হয়। যখন যে সমস্যা হচ্ছে সেটা দেখছি। কিন্তু তার চিকিৎসার জন্য তাকে এখন উন্নত মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যেতে হবে। সেই মানুষটাকে কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এখন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ অনির্বাচিত সরকার যত দিন থাকবে, ততদিন কেউ ন্যায় বিচার পাবে না। কেউ পাবে না।
এসএন