পালাবার পথ খুঁজে পাবে না: মির্জা ফখরুল
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'এ মুহূর্তে পদত্যাগ করুন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক নতুন সরকার গঠন করতে হবে। অন্যতায় পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না। বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শক্তিকে কখনো সহ্য করেনি, করবেও না।'
শুক্রবার (১০ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং মূল্য হ্রাসের দাবিতে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
তিনি বলেন, 'আজকে শুধু বিএনপি নয়, দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়তে আওয়াজ তুলতে হবে। এ সরকারের পতন চাই, পতন চাই, এ সরকার নিপাত যাক।'
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর (পুলিশ) উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আশা করব আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। আপনারা যেভাবে আওয়ামী লীগকে সভা-সমাবেশ করতে সুযোগ দিচ্ছেন, আমাদেরও সভা-সমাবেশ করার সুযোগ দিতে হবে। বাধা সৃষ্টি করলে জনগণ প্রতিহত করবে। মনে রাখবেন, একদিন না একদিন আপনাদেরও জবাবদিহি করতে হবে। সময় এসেছে জবাব নেওয়ার।
প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোন বাজেট, কাদের বাজেট, কারা বাজেট দিয়েছে, অনির্বাচিত সরকারের জনগণের বাজেট দেওয়ার এখতিয়ার নেই। বিগত বছরগুলোতে তাদের দুঃশাসন প্রমাণ করেছে তারা বাংলাদেশের মানুষের শত্রু। এককথায় তারা গণ শত্রুতে পরিণত হয়েছে। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এরা বেশিদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের ক্ষতি হবে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বাড়বে সেই তুলনায় দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়ে যায়নি। অনেক বড় বড় কথা বলে, গতকাল প্রস্তাবিত বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জনপ্রশাসনে। জনপ্রশাসন হচ্ছে পুলিশ, ডিসি ইউনও, যাদের বেতন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে জনগণের পকেট কেটে।
মির্জা ফখরুল বলেন, যারা দেশ ও জনগণের টাকা চুরি ডাকাতি করে বিদেশে পাচার করেছে তাদের টাকাও ফেরত আনার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে প্রস্তাবিত বাজেটে। তবে কেউ তাদের কিছু বলতে পারবে না, বলাও যাবে না। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে বিভিন্নভাবে টোলে পদ্মা দিয়ে আমরা স্বর্গে যাব।
এসএন