প্রতিক্রিয়া/বৈষম্য আর লুটপাটের দলিল: বাংলাদেশ ন্যাপ
অতীতের মতো ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটও দারিদ্র্য, বৈষম্য, লুটপাটের দলিল ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ।
দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বলেছেন, প্রকৃত অর্থে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রতি বছর সরকার যে বাজেট দেওয়া হয়, তাতে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের চলতি নীতিমালারই প্রতিফলন ঘটে। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে ক্ষমতাসীন সব রাজনৈতিক দল তথা শাসক শ্রেণি পুঁজিবাদী মুক্তবাজার অর্থনীতিকে কেন্দ্র করেই বাজেট প্রণয়ন করেছে। ফলে দারিদ্র্য, বৈষম্য, লুটপাট-দুর্নীতি ও সম্পদের কেন্দ্রীভবন ত্বরান্বিত হয়, যা বর্তমানে চরম রূপ নিয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ২০২২-২০২৩ অর্থবছর ঘোষিত প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তারা এ মন্তব্য করেন।
এ দুই নেতা বলেন, পুঁজিবাদী বিকাশের ধারায় জিডিপি বেড়েছে তার পরিণতিতে দেশে ব্যাপক বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রাণ-প্রকৃতি বিনাশের মেগা প্রকল্পে ঋণও বেড়েছে। অন্যদিকে ঋণ-কর খেলাপি চোরাই টাকার মালিকদের সম্পদ বেড়েছে। মধ্যম আয়ের দেশের মানুষেরা কম মজুরিতে কাজ করে শ্রম নির্ভর রপ্তানিমুখী শিল্পে ভর্তুকি দিতে থাকবে, এমনটা আশা করা ঠিক হবে না। প্রতি বছর সরকার একটি গতানুগতিক বাজেট উপস্থাপন করে। এ বাজেটও আলাদা কিছুই নয়। বাজেটে সাধারণ মানুষ উপেক্ষিত। বরাবরের মতোই বাজেট বৈষম্যমূলক দলিল হিসেবেই সামনে এসেছে। রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া লুটেরা গোষ্ঠি দিয়ে এ বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা পরিবর্তন সম্ভব নয়।
বাজেটে শিক্ষা ও কৃষি খাতে বরাদ্দ আরও বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন, বাজেটে বৈষম্য নিরসনে সরকারের ইচ্ছা ও জবাবদিহি প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন যা বর্তমানে পরিপূর্ণ অনুপস্থিত।
প্রস্তাবিত বাজেটে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার সুযোগ দেওয়াকে অনৈতিক ও পাচারকারীদের পৃষ্ঠপোষকতার শামিল বলে মন্তব্য করে তারা বলেন, এটি দেশের প্রচলিত আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এতে প্রত্যাশিত ফল পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী গর্হিত এ অপরাধের জন্য শাস্তির বদলে পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করার এসব উদ্যোগকে অর্থ পাচারকারী তথা দুর্নীতিবাজদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার শামিল।
এসএন