প্রস্তাবিত বাজেট আয়তনে বড়, করের বোঝাটাও বড়: রতন
জাতীয় অর্থবছর ২০২২-২০২৩ এর অনুমোদিত বাজেট প্রসঙ্গে বামপন্থী রাজনৈতিক দল 'বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেছেন, 'বাজেট আয়তনে বড়, সাথে সাথে করের বোঝাটাও বড়। বাজেট ঘোষণার আগেই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। বাজেট ঘোষণার আগেই জনগণের ওপরন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের আঘাত ছিল। যার প্রভাব জনজীবনে পড়বে। ফলে প্রস্তাবিত বাজেটে ভালো কোনো লক্ষণ দেখি না। যে যে খাতে কর কমানো-বাড়ানো অর্থ্যাৎ নিত্যপণের উপর প্রভাব পড়বে সেগুলো আমরা এখনো লক্ষ্য করতে পারিনি।' বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় অর্থবছর ২০২২-২০২৩ বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকাপ্রকাশ-কে এসব কথা বলেন।
'বাজেটের আকার বড় হচ্ছে, জনগণের উপর করের বোঝাটা বড় হচ্ছে কিন্তু অনউৎপাদনশীলন খাতের খরচটা যদি না কমানো যায়, তথাকথিত মেগা প্রকল্পের সুদ থেকে যদি বেরিয়ে আসা না যায় তাহলে মাথাপিছু আয়বৃদ্ধি ও বাজেটের আকার যতই দেখানো হউক জনজীবনে স্বস্তি আসবে না। বাজেটে অপেক্ষাকৃত গুরুত্ব পাওয়ার কথা ছিল কৃষিখাত। করোনাকালিন ও করোনার শেষ পর্যন্ত দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে কৃষি ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে। অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষিখাতের তেমন অগ্রাধিকার দেখতে পেলাম না।'
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে তো আভ্যন্তীণ উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা যায়, ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা। বৈদেশিক লোন উৎস থেকে ঋণ নিবে ৯৫ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। এই যে ঋণটা নিচ্ছে এর সুফলটা কে পাবে? বাজেটের আকার ও আয়তনে এই বাজেট বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃহত্তর, স্বাধীনতার পর যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল তারচেয়ে প্রায় ৮ শত গুণের চেয়ে বেশি বড় বাজেট। কিন্তু সেই বাজেটে আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দটা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাড়েনি।
সবচেয়ে বড় সেক্টর ছিল কর্মসংস্থান- কারণ করোনাকালিন সময়ে অনেকে তাদের কাজ হারিয়েছেন, আয় হারিয়েছেন কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন কর্মসংস্থানের কতটুকু সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে সেটা এখানো সুস্পষ্ট হয়ে উঠেনি। বাজেটে দেখতে চাই - গতবছর বাজেটে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা করা হয়েছিল সেই বাজেটের বিবেচনায় না এনে বড় বাজেট প্রণয়ণেরর একটা ঝোক আছে। কিন্তু বাজেট বাস্তবায়নের দায়টা আমরা ভালোভাবে শিখি নাই অতীতে, এবারও হয়তো আমরা সেই পথেই।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুর ১২টায় জাতীয় সংসদে বাজেট অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক হয়। প্রতি বছর বাজেট পেশের আগে মন্ত্রিসভার এ বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আগামী অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বিশাল আকারের বাজেট মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়। মন্ত্রিসভায় বাজেট অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতির সম্মতি নিয়ে বিকাল ৩ টায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন।
এএজেড