বিএনপি নেতাদের ঈদ
দুই বছর করোনাভাইরাস সংক্রমণে নানা বিধি-নিষেধের কারণে রাজনীতিকদের ঈদ কেন্দ্রিক রাজনীতিও ছিল সীমাবদ্ধ। এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই রাজনীতিবিদরা ঈদ উপলক্ষে ছুটছেন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায়। উদ্দেশ্য সরকারবিরোধী জনমত গড়ে তুলতে ঈদে নির্বাচনী এলাকার নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করা।
এবারের ঈদের দিন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলটির মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় সন্ধ্যার পর শীর্ষ নেতারা দলীয় প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। তখনই তারা পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঈদের দিন বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতে যাবেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকার উত্তরার একটি মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
এ ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ঈদের দিন ঢাকায় থাকবেন। এ ছাড়া ড. আব্দুল মঈন খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী তাদের নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করবেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক যুগেরও বেশি সময় ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, কন্যা জাইমা রহমান, ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিথী ও তার দুই মেয়েও ঈদ করবেন লন্ডনে।
এদিকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ দীর্ঘদিন ভারতে। অনুপ্রবেশের দায়ে সেখানে তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। তিনি জামিনে থাকলেও (ভারত) দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাকে এবারও সেখানে ঈদ করতে হচ্ছে।
ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ও শামসুজ্জামান দুদু তাদের নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদের নামাজ পড়বেন বলে জানা গেছে।
উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, তাহমিনা রুশদীর লুনা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল ঢাকায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন। এ ছাড়া যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন তাদের নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করবেন।
বিএনপির দলীয় ছয়জন এমপির মধ্যে পাঁচজন নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। তবে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ঈদের দিন ঢাকায় থাকবেন।
এমপি হারুনুর রশীদ, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, মোশাররফ হোসেন, আমিনুল ইসলাম, উকিল আব্দুস সাত্তার, জাহিদুর রহমান নিজ এলাকায় ঈদের জামাত আদায় করার কথা রয়েছে।
ছাত্রদলের সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ঢাকায় ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল নিজ এলাকা বরিশালে ঈদ করবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান ঢাকায় ঈদ করবেন।
অন্য রাজনৈতিক দলের অধিকাংশ নেতাই ঢাকায় ঈদ করছেন। গণফোরামের ড. কামাল হোসেন, বিকল্পধারার এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির সভাপতি অলি আহমেদ ও মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, এলডিপির আরেক অংশের সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসী ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম ঢাকায় ঈদ উদযাপন করবেন। অবশ্য তাদের কেউ কেউ ঢাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেই নির্বাচনী এলাকায় যাবেন বলে জানিয়েছেন।
এসএন