রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঢাকা জেলা বিএনপি

কাউন্সিল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ, কমিটি পুনর্গঠনের দাবি

বিএনপির একটি বড় অংশকে বাদ দিয়ে ঢাকা জেলার বিভিন্ন উপজেলা, থানা ও পৌরসভায় তথাকথিত কর্মী সম্মেলন ও কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ উসমানি এসব অভিযোগ করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিভিন্ন উপজেলা, থানা, পৌরসভার কাউন্সিল ও কমিটি গঠনে ঢাকা জেলা বিএনপির স্বেচ্ছাচারী মনোভাব, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম করে যাচ্ছে। অথচ ঢাকা জেলা বরাবরই বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আন্দোলন-সংগ্রামের ভূমিকা বিবেচনায় ঢাকা জেলা বিএনপি সাংগঠনিকভাবে সবসময়ই অন্য যেকোনো জেলার চেয়ে অনেক শক্তিশালী। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে ঢাকা জেলা বিএনপির বর্তমান শীর্ষ নেতৃত্ব নিজেদের অবস্থান রক্ষার স্বার্থে অতীত ইতিহাস ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করছে। আজ তারা ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে দলকে ছিন্নভিন্ন করতে পিছপা হচ্ছে না।

ঢাকা জেলা বিএনপির কাউন্সিলকে সামনে রেখে শীর্ষ নেতারা দলের একটি বড় অংশকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন ইউনিটে তাদের অনুসারীদের নিয়ে কর্মী সম্মেলন করছে। নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপায় নিজ গ্রামে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের বাড়িতে দোহার থানা ও পৌরসভা বিএনপির কর্মী সম্মেলন হয়েছে। একই দিনে একই স্থানে, একই অতিথি নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা, দোহার থানা ও পৌরসভার কর্মী সম্মেলন হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে সাভার থানা ও পৌরসভা এবং আশুলিয়া থানায়।

হারুনুর রশিদ উসমানি বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক চাচ্ছেন যেনতেনভাবে উপজেলা, থানা ও পৌরসভা বিএনপির কমিটি গঠন করে সেই কমিটির মাধ্যমে জেলা বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন করতে। যাতে তারা আবারও নিজ নিজ পদে বহাল হতে পারেন। কিন্তু তারা এটা জানেন না যে, তাদের এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে দলের শত শত নেতা-কর্মী প্রস্তুত রয়েছেন। কিন্তু দলের বৃহত্তর একটি অংশ বাদে কর্মী সম্মেলন বা কমিটি গঠন কখনোই দলের জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে না। তাই দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত ও যোগ্য নেতাদের সমন্বয়ে কমিটি পুনর্গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি উপেক্ষা করে বিতর্কিত কমিটির মাধ্যমে জেলা বিএনপির কাউন্সিল হলে যেকোনো পরিস্থিতির দায়ভার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিতে হবে। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঢাকা জেলা বিএনপির কমিটি গঠন সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা সমাধানের বিকল্প নেই। আশা করি দলের বৃহত্তর স্বার্থে জেলা বিএনপি পরিস্থিতি বিবেচনায় যত দ্রুত সম্ভব একটি যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছাবেন। অন্যথায় তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। জেলা বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবেদ হোসেন, দোহার থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি নূরুল ইসলাম ব্যাপারী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহিন খন্দকার, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর খালাসী, আবদুর রশিদ, ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন, ঢাকা জেলা যুবদলের বর্তমান সভাপতি রেজাউল কবির পল, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, যুবদল নেতা ফজলুল হক বেলায়েতি, সহসভাপতি তপন মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক দলের রফিকুল ইসলাম রফিক, সাবেক ভিপি জিএম আরিফুর রহমান সুজন, সাবেক জিএস এসএম রাসেল, ঢাকা জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক মনির হোসেন রানা, বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল আকন্দ, যুবদল নেতা শরিফ হোসেন, ডালিম, ঢাকা জেলা যুবদলের নজরুল ইসলাম খান, মহিলা দলের সায়মা ইসলাম, মিঠু ব্যাপারী, পাপ্পু ও রাকিবুজ্জামান রাকিব প্রমুখ।

এসএন

Header Ad

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯

প্রতীকী ছবি

বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুর তাণ্ডব। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে; যা এ বছর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। একই সময় ১ হাজার ৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে; যা এ বছর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হলো ৪৫৯ জনের।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।

Header Ad

আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত

ঋষভ পান্ত। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলামে শুরুতে রেকর্ড গড়ে বিক্রি হয়েছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। তাকে ২৬.৭৫ কোটি রুপিতে কিনেছিল পাঞ্জাব কিংস। কিন্তু সেই রেকর্ডও টেকেনি বেশিক্ষণ। আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছেন ঋষভ পান্ত। তাকে ২৭ কোচটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের মেগা নিলাম। আর যেখানে ২৭ কোটি রুপিতে পান্থকে দলে নিয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্ট। সেই সঙ্গে আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে দাবি খেলোয়াড় হলেন পান্থ।

২ কোটি রুপি ভিত্তি মূল্যতে নিলামে উঠে ছিলেন পান্থ। শুরুতে তাকে নিয়ে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে লড়াই করতে থাকেন লখনৌ। এই দুই দলের লড়াইয়ে লখনৌ বিজয়ী হলেও, দ্বিতীয় ধাপে পান্থকে দলে নিতে মাঠে নামে সানারাইজার্স হায়দরাবাদ। এখানেও শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছে লখনৌ।

কিন্তু তার জন্য দলটিকে খরচ করতে হয়েছে ২৭ কোটি রুপি। যা আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ। সুতরাং আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় এখন পান্থ।

গত আসরের নিলামে মিচেল স্টার্ককে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে দলে ভিড়িয়ে রেকর্ড গড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু এবারে ২৬ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে শ্রেয়াস আইয়ারকে দলে নিয়ে সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। এর একজন পরেই নিলামে ওঠা পান্থের নাম। সেখানেই জাতীয় দলের সতীর্থকে পিছনে ফেলেছেন তিনি।

Header Ad

আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে পুলিশের দায়ের করা আরো এক মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩২ জন। রবিবার (২৪ নভেম্বর) গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. বাহউদ্দিন কাজী দীর্ঘ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলার তৎকালীন হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি আওতাধীন মনিপুরের খাসপাড়া এলাকায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে একটি পার্কিং করা বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘোষণায় ওই এলাকার মোতালেব মেম্বারকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা (বিস্ফোরক) আইনে জয়দেবপুর থানা পুলিশ এস আই দিলীপ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে ১০১(১)১৫ নম্বর মামলাটি দায়ের করেন।

পরে একই বছরের আগস্টে এস আই এমদাদুল হক তদন্ত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সাবেক মেয়র ও প্রতিমন্ত্রী মৃত অধ্যাপক এমএ মান্নানের ছেলে মনজুরুল করিম রনিকে সংযুক্ত করে ৩২ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে আদালত তা গ্রহণ করেন। মামলাটি দীর্ঘ শুনানি শেষে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আজ রোববার আসামিদের ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আদালতে শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না এবং বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন ড. সহিদুজ্জামান, মেহেদী হাসান এলিস, আনোয়ার হোসেন, নাসির উদ্দিন, শফিকুল আলম মিলুসহ বিপুলসংখ্যক আইনজীবী।

এর আগে গত বুধবার শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মন্তব্যের অভিযোগে করা মানহানি মামলা থেকে খালাস পান তারেক রহমান।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন